১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মাওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৭৬ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মুরিদান, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে।

সকাল সাড়ে ৭টায় মজলুম জননেতার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও ভাসানীর মাজারের অদূরে দরবার হল ও আশে পাশের এলাকায় ৩ দিন ব্যাপী মেলা বসেছে।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে মাওলানা ভাসানী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মাওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মাওলানা ভাসানী।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মাওলানা ভাসানী তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, একজন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, একজন সুফী সাধক, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ও সমাজসেবী ভাসানীর মাজারে বিশ্বাবিদ্যালয়ের সকলকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ভাসানীর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়াও আর্কাইভ তৈরির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। অপরদিকে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হচ্ছে, আশা রাখছি তার জন্মদিনের আগেই প্রকাশ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

মাওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ১১:০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৭৬ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মুরিদান, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে।

সকাল সাড়ে ৭টায় মজলুম জননেতার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও ভাসানীর মাজারের অদূরে দরবার হল ও আশে পাশের এলাকায় ৩ দিন ব্যাপী মেলা বসেছে।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে মাওলানা ভাসানী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মাওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মাওলানা ভাসানী।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মাওলানা ভাসানী তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, একজন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, একজন সুফী সাধক, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ও সমাজসেবী ভাসানীর মাজারে বিশ্বাবিদ্যালয়ের সকলকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ভাসানীর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়াও আর্কাইভ তৈরির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। অপরদিকে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হচ্ছে, আশা রাখছি তার জন্মদিনের আগেই প্রকাশ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব