সমুদ্রের নোনা জলে ফসলি জমি হারাচ্ছে হাজার কৃষক, বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে না ছোট শিশু কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যাচ্ছে বৃদ্ধের ঘর। এসবের সাক্ষী দক্ষিণাঞ্চলে মানুষ। বাতাস, পানি কিংবা মাটি বাঁচাতে দরকার প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো।
তাই সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিবেশ রক্ষার্থে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে “প্লাস্টিক দিয়ে উপহার নিন” নামক অভিনব এক কর্মসূচি।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সহযোগীতায় এই কর্মসূচি চলবে ২ মাস ব্যাপী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় সৈকতের লাবণি পয়েন্টে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান। এসময় আরো উপস্তিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিন।
উক্ত কার্যক্রমে পর্যটকরা প্লাস্টিক পণ্য জমা দিয়ে উপহার সংগ্রহ করতে পারবেন। লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। ১৭ নভেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় উক্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন সকাল ১০:০০টা থেকে বিকাল ৫:০০টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন ” পরিবেশ দূষন প্রতিরোধে বিদ্যানন্দের এই উদ্যোগ খুবই যুগান্তকারী। জেলা প্রশাসন তাদের এই উদ্যোগে সহযোগীতা করতে পেরে খুবই খুশী। আশা করছি জনসাধারণ তাদের উদ্যোগের মরমারথ বুঝতে পেরে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিরোতসাহিত হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুজ্জামান বলেন “ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় পরিবেশ রক্ষায় সাহযোগীতা করে যাবে”
বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে বলা হয় বর্তমানে প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মানবজাতি, উদ্ভিদকূল, জলজ প্রাণী ও দ্বীপ অঞ্চলের প্রাণীরা প্লাস্টিক বর্জ্যের অপব্যবহারের ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে চলছে৷ খাল, বিল, নদী, এমনকি সাগরের দূষণের অন্যতম কারণ পলিথিন ও প্লাস্টিক। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত প্লাস্টিক পদার্থের অপব্যবহার প্লাস্টিক দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্থ ডে নেটওয়ার্ক এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে। প্লাস্টিকদূষণের ফলে প্রতি বছর ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখি এবং ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী মৃত্যুবরণ করে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব