০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এপি’র সহায়তাকারী কর্মীদের নিয়ে তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রামের সদ্য নিয়োগকৃত ৭৩ জন সহায়তাকারী কর্মীদের তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত। প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ এপি ম্যানেজার মি.পিকিং চাম্বু গং বলেন, “প্রতিটি শিশুর জন্য আমাদের স্বপ্ন, জীবন তার ভরে উঠুক পরিপূর্ণতায়। প্রতিটি হৃদয়ের জন্য আমাদের প্রার্থনা, অর্জিত হয় যেন তা ইচ্ছার দৃঢ়তায়। ”দারিদ্র্য দুরীকরণ (ভিক্ষাবৃত্তি, গৃহহীনদের পূর্নবাসন)।

ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর পরিচিতির ধারণা দিতে গিয়ে বলেন,ওয়ার্ল্ড ভিশন, একটি খ্রিষ্টান মানবিক উন্নয়ন এবং এ্যাডভোকেসি সংস্থা যা বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটি। সমাজের হতদরিদ্র শিশু এবং পরিবারকে সহায়তা করে তাদের জীবন-মানন্নোয়ন এবং দারিদ্রতা দূরীকরণে সংস্থাটি বদ্ধ পরিকর। ১৯৫০ সালে ড. বব পিয়ার্সের প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভিশন আজ বিশ্বের শতাধিক দেশে সেবা দিচ্ছে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ করছে।

১৯৭০ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে জরুরী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জরুরী ত্রাণ সহায়তা দেয় সংস্থাটি। ১৯৭২ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে পুর্নগঠণ করার জন্য নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরির সুসং দুর্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করে।

বর্তমান সময়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন দারিদ্রের মূল কারণগুলি সনাক্ত করে সমাজের হতদরিদ্র এবং সবচেয়ে অবহেলিত বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা সমাজ, পথশিশু, কর্মজীবি শিশু, আদিবাসী ও সমাজের নিগৃহীত শিশুদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্থাটি বিভিন্ন অংশীদার, বিশেষ করে সরকার এবং সুশীল সমাজের সাথে কাজ করে। এছাড়া দুর্যোগে সাড়া দেয় এবং দূর্যোগ কবলিত জনগণ বিশেষ করে শিশুদের জীবন রক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে কাজ করে।

তথ্য ও সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জানা যায়, সংস্থার লক্ষ্য: ওয়ার্ল্ড ভিশন আন্তর্জাতিক খ্রিষ্টান, অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী একটি সংস্থা, যার লক্ষ্য হল সৃষ্টিকর্তার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে কথা, কাজ এবং জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজে শান্তির প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা।ওয়ার্ল্ড ভিশনের উন্নয়ন কৌশল: প্রস্তুতি পর্ব: এই পর্যায়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রস্তাবিত কর্ম এলাকার জনগোষ্ঠিকে সংস্থার বিস্তারিত পরিচয়, কর্মকৌশল, স্পন্সরশীপ প্রোগ্রাম এবং সংস্থার মৌলিক তথ্যাদি প্রকাশ করে। এ লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মীগণ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর সাথে উন্নয়ন সংলাপের আয়োজন করে।

অংশীদারিত্বের স্বপ্ন তৈরী করা: ওয়ার্ল্ড ভিশন অংশীদারিত্বের স্বপ্ন তৈরি করার জন্য নিম্ন বর্ণিত কার্যক্রম পরিচালনা করে: কর্ম এলাকার জনগোষ্ঠীর গতিশীল সৃষ্টিকারী বিষয়সমূহ, শিশুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে এমন ব্যক্তিত্ব এবং সংস্থা সমূহ চিহ্নিত করা- শিশুদের উন্নয়ন, সমস্যা এবং সম্পদসমূহ সম্বন্ধে সুষম ধারণা ও সচেতনতা প্রদান। এলাকার জনগণের সাথে আলোচনা ও মত বিনিমিয় এর মাধ্যমে অংশীদারিত্বের স্বপ্ন তৈরী করা। যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ: শিশুদের উন্নয়নের জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন ও জনগণ যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। শিশুদের উন্নয়নের জন্য কে কি দায়িত্ব পালন করবে এবং কিভাবে সমন্বয় করা হবে তা নির্ধারণ করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন সবচেয়ে দরিদ্র শিশু এবং তার পরিবারের চাহিদা সমূহ উন্নয়ন পরিকল্পনায় যথাযথ ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সংস্থার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে অতিদরিদ্র শিশু ও তার পরিবারের জীবন-মানন্নোয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়ণ করেছে এবং নতুন আঙ্গিকে তা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। প্রতি বছর এই পরিকল্পনার অগ্রগতি পরিমাপ ও পর্যালোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী বছরের কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নিম্ন বর্ণিত কৌশলগত লক্ষ্যসমূহ প্রনয়ণের মধ্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন, শিশু শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি ও শিক্ষার গুণগত মাননোন্নয়ন, শিশুদের সুরক্ষা এবং দ্রুত নিশ্চিতকরণ, জনগণের স্থিতিস্থাপকতা/সহনশীল ক্ষমতা বৃদ্ধি করণ, কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্ট এন্ড স্পন্সরশীপ ব্যবস্থাপনা।

ওয়ার্ল্ড ভিশন এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে স্থানীয় অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করে এবং শিশুর প্রতি তার পিতা-মাতা, পরিবার এবং সমাজকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট করতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রচেষ্টা হলো পিতা-মাতা এবং পরিবারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেন তারা তাদের সন্তানদের জন্য অধিকমাত্রায় এবং মানসম্মত সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, একই সঙ্গে শিশুকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে ও তার মতামত নিতে পারে।

প্রশিক্ষণে ৭৩ জন সদ্য নিয়োগ পাওয়া সহায়তাকারী কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার পিকিং চাম্বুগং, প্রোগ্রাম অফিসার স্বপন, সানজিদা আনসারী, মিন্টু বিশ্বাস। জানা গেছে, ৫ টি ইউপি’র কর্ম এলাকার গ্রাম উন্নয়ন কমিটির ভিশন ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের গ্রামের দারিদ্রতা হ্রাস ,শতভাগ স্যানিটেশন, মা ও শিশুদের অপুষ্টি, শিশু সুরক্ষা,বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, যৌতুক সমস্যা, মাদকসহ সমাজের এ সকল ব্যাধি নির্মূলকরণে হতদরিদ্র পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন ও সম্পদ বৃদ্ধি বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

এপি’র সহায়তাকারী কর্মীদের নিয়ে তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

প্রকাশিত : ১২:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রামের সদ্য নিয়োগকৃত ৭৩ জন সহায়তাকারী কর্মীদের তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত। প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ এপি ম্যানেজার মি.পিকিং চাম্বু গং বলেন, “প্রতিটি শিশুর জন্য আমাদের স্বপ্ন, জীবন তার ভরে উঠুক পরিপূর্ণতায়। প্রতিটি হৃদয়ের জন্য আমাদের প্রার্থনা, অর্জিত হয় যেন তা ইচ্ছার দৃঢ়তায়। ”দারিদ্র্য দুরীকরণ (ভিক্ষাবৃত্তি, গৃহহীনদের পূর্নবাসন)।

ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর পরিচিতির ধারণা দিতে গিয়ে বলেন,ওয়ার্ল্ড ভিশন, একটি খ্রিষ্টান মানবিক উন্নয়ন এবং এ্যাডভোকেসি সংস্থা যা বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটি। সমাজের হতদরিদ্র শিশু এবং পরিবারকে সহায়তা করে তাদের জীবন-মানন্নোয়ন এবং দারিদ্রতা দূরীকরণে সংস্থাটি বদ্ধ পরিকর। ১৯৫০ সালে ড. বব পিয়ার্সের প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভিশন আজ বিশ্বের শতাধিক দেশে সেবা দিচ্ছে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ করছে।

১৯৭০ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে জরুরী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জরুরী ত্রাণ সহায়তা দেয় সংস্থাটি। ১৯৭২ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে পুর্নগঠণ করার জন্য নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরির সুসং দুর্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করে।

বর্তমান সময়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন দারিদ্রের মূল কারণগুলি সনাক্ত করে সমাজের হতদরিদ্র এবং সবচেয়ে অবহেলিত বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা সমাজ, পথশিশু, কর্মজীবি শিশু, আদিবাসী ও সমাজের নিগৃহীত শিশুদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্থাটি বিভিন্ন অংশীদার, বিশেষ করে সরকার এবং সুশীল সমাজের সাথে কাজ করে। এছাড়া দুর্যোগে সাড়া দেয় এবং দূর্যোগ কবলিত জনগণ বিশেষ করে শিশুদের জীবন রক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে কাজ করে।

তথ্য ও সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জানা যায়, সংস্থার লক্ষ্য: ওয়ার্ল্ড ভিশন আন্তর্জাতিক খ্রিষ্টান, অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী একটি সংস্থা, যার লক্ষ্য হল সৃষ্টিকর্তার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে কথা, কাজ এবং জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজে শান্তির প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা।ওয়ার্ল্ড ভিশনের উন্নয়ন কৌশল: প্রস্তুতি পর্ব: এই পর্যায়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রস্তাবিত কর্ম এলাকার জনগোষ্ঠিকে সংস্থার বিস্তারিত পরিচয়, কর্মকৌশল, স্পন্সরশীপ প্রোগ্রাম এবং সংস্থার মৌলিক তথ্যাদি প্রকাশ করে। এ লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মীগণ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর সাথে উন্নয়ন সংলাপের আয়োজন করে।

অংশীদারিত্বের স্বপ্ন তৈরী করা: ওয়ার্ল্ড ভিশন অংশীদারিত্বের স্বপ্ন তৈরি করার জন্য নিম্ন বর্ণিত কার্যক্রম পরিচালনা করে: কর্ম এলাকার জনগোষ্ঠীর গতিশীল সৃষ্টিকারী বিষয়সমূহ, শিশুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে এমন ব্যক্তিত্ব এবং সংস্থা সমূহ চিহ্নিত করা- শিশুদের উন্নয়ন, সমস্যা এবং সম্পদসমূহ সম্বন্ধে সুষম ধারণা ও সচেতনতা প্রদান। এলাকার জনগণের সাথে আলোচনা ও মত বিনিমিয় এর মাধ্যমে অংশীদারিত্বের স্বপ্ন তৈরী করা। যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ: শিশুদের উন্নয়নের জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন ও জনগণ যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। শিশুদের উন্নয়নের জন্য কে কি দায়িত্ব পালন করবে এবং কিভাবে সমন্বয় করা হবে তা নির্ধারণ করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন সবচেয়ে দরিদ্র শিশু এবং তার পরিবারের চাহিদা সমূহ উন্নয়ন পরিকল্পনায় যথাযথ ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সংস্থার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে অতিদরিদ্র শিশু ও তার পরিবারের জীবন-মানন্নোয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়ণ করেছে এবং নতুন আঙ্গিকে তা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। প্রতি বছর এই পরিকল্পনার অগ্রগতি পরিমাপ ও পর্যালোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী বছরের কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ নিম্ন বর্ণিত কৌশলগত লক্ষ্যসমূহ প্রনয়ণের মধ্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন, শিশু শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি ও শিক্ষার গুণগত মাননোন্নয়ন, শিশুদের সুরক্ষা এবং দ্রুত নিশ্চিতকরণ, জনগণের স্থিতিস্থাপকতা/সহনশীল ক্ষমতা বৃদ্ধি করণ, কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্ট এন্ড স্পন্সরশীপ ব্যবস্থাপনা।

ওয়ার্ল্ড ভিশন এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে স্থানীয় অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করে এবং শিশুর প্রতি তার পিতা-মাতা, পরিবার এবং সমাজকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট করতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রচেষ্টা হলো পিতা-মাতা এবং পরিবারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেন তারা তাদের সন্তানদের জন্য অধিকমাত্রায় এবং মানসম্মত সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, একই সঙ্গে শিশুকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে ও তার মতামত নিতে পারে।

প্রশিক্ষণে ৭৩ জন সদ্য নিয়োগ পাওয়া সহায়তাকারী কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার পিকিং চাম্বুগং, প্রোগ্রাম অফিসার স্বপন, সানজিদা আনসারী, মিন্টু বিশ্বাস। জানা গেছে, ৫ টি ইউপি’র কর্ম এলাকার গ্রাম উন্নয়ন কমিটির ভিশন ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের গ্রামের দারিদ্রতা হ্রাস ,শতভাগ স্যানিটেশন, মা ও শিশুদের অপুষ্টি, শিশু সুরক্ষা,বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, যৌতুক সমস্যা, মাদকসহ সমাজের এ সকল ব্যাধি নির্মূলকরণে হতদরিদ্র পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন ও সম্পদ বৃদ্ধি বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব