শোকের প্রকাশ কালো পতাকা উত্তোলন, কালো পোশাক ও কালো ব্যাচ ধারণ এবং যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল আটটার দিকে ক্যাম্পাসে অবস্থিত বধ্যভূমি ও গণকবর স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এসময় মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও বুদ্ধিজীবীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লৎফুল হাসান বলেন, এদেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যেই একাত্তরের স্বাধীনতা অর্জনের ঠিক আগে আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী এদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জঘন্য কাজটি করেছিল। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু দেশকে এগিয়ে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু যদি বুদ্ধিজীবীদের পাশে পেতেন তাহলে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আরো বেগবান হতো।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টায় বাকৃবি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে দুপুর দেড়টায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশ্ব বিদ্যালয়ের সকল মসজিদ, মন্দির ও স্ব স্ব উপাসনালয়ে দোয়া মাহফিল ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব