০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

ভেড়ামারায় অপ্রয়োজনীয় হর্ন না দিতে যানবাহন চালকদের প্রতি আহ্বান

‘ও গাড়ি, আমাকে পড়তে দাও, ভেঁপু থামাও’ সময় অসময় অপ্রয়োজনীয় হর্ন না দিতে যানবাহনের মালিক ও চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সাধারণত প্রায় প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ সড়কসংলগ্ন হওয়াতে উচ্চ শব্দ হয়। শিক্ষার্থীরা এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। শিক্ষার্থীদের শ্লোগান, পড়তে চাই, জানতে চাই, ভেঁপু (হর্ন) থেকে বাঁচতে চাই।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেল বলে, আমরা সবাই চাই যেন হর্ন বাজানো বন্ধ করা হয়। হর্নের কারণে নানান সমস্যা হয়। ক্লাসে শিক্ষকদের কথা শুনতে কষ্ট হয়, মনোযোগ দিতে পারি না। ‘হর্নের কারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে। আমরা চাই, চালকেরা হর্ন কম দিন।

শ্রেণিকক্ষে উচ্চ শব্দের কারণে একই সমস্যার কথা জানাল আরেক শিক্ষার্থী নাইমের সঙ্গে কথা হলে সে বলে, আমাদের সকালে ক্লাস হয়। দোতলায় আমাদের ক্লাসরুম। ক্লাস থেকেই হর্নের আওয়াজ শুনতে পাই। শিক্ষকদের কথা শুনতে পাই না। মাথা ভারী লাগে, কান ধরে রাখে।

ভেড়ামারা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর জব্বার বলেন, শব্দদূষণের জন্য ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারি না, শিশুদেরও নানান সমস্যা হয়। চালকদের আরও সচেতন হতে হবে। তাঁরা যেন অহেতুক হর্ন না দেন। আমাদের প্রায় স্কুলগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় উচ্চ শব্দ আরও আতঙ্কের কারণ।

শফিউল ইসলাম নামে অভিভাবক বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানাচ্ছি। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায় উচ্চ শব্দ। শিশুদের শেখাতে হবে উচ্চ শব্দ কত খারাপ। মানুষ যদি আরও সচেতন হয়, তাহলেই উচ্চ শব্দ কমবে।

জিল্লুর রহমান নামে আরেক অভিভাবক বলেন, যে সড়কের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় সেই যানবাহনগুলোর উচিত হর্ন না দেওয়া এবং গতি কমানো। চালকদের প্রতি অনুরোধ, বিদ্যালয়টির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসার সময় অযাচিত হর্ন বাজাবেন না।

কামরুজ্জামান নামে এক পথচারী বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতি বোঝা যায় না। শব্দদূষণ রোধে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন মানা হয় না। দীর্ঘদিন উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে মানুষ বধির হয়ে যেতে পারে। উচ্চ শব্দের কারণে অবসাদ আসে, পড়ালেখায় মনোযোগ কম থাকে। এই সব প্রতিষ্ঠানের সামনে উচ্চ শব্দ রোধে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ভেড়ামারায় অপ্রয়োজনীয় হর্ন না দিতে যানবাহন চালকদের প্রতি আহ্বান

প্রকাশিত : ১২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

‘ও গাড়ি, আমাকে পড়তে দাও, ভেঁপু থামাও’ সময় অসময় অপ্রয়োজনীয় হর্ন না দিতে যানবাহনের মালিক ও চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সাধারণত প্রায় প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ সড়কসংলগ্ন হওয়াতে উচ্চ শব্দ হয়। শিক্ষার্থীরা এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। শিক্ষার্থীদের শ্লোগান, পড়তে চাই, জানতে চাই, ভেঁপু (হর্ন) থেকে বাঁচতে চাই।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেল বলে, আমরা সবাই চাই যেন হর্ন বাজানো বন্ধ করা হয়। হর্নের কারণে নানান সমস্যা হয়। ক্লাসে শিক্ষকদের কথা শুনতে কষ্ট হয়, মনোযোগ দিতে পারি না। ‘হর্নের কারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে। আমরা চাই, চালকেরা হর্ন কম দিন।

শ্রেণিকক্ষে উচ্চ শব্দের কারণে একই সমস্যার কথা জানাল আরেক শিক্ষার্থী নাইমের সঙ্গে কথা হলে সে বলে, আমাদের সকালে ক্লাস হয়। দোতলায় আমাদের ক্লাসরুম। ক্লাস থেকেই হর্নের আওয়াজ শুনতে পাই। শিক্ষকদের কথা শুনতে পাই না। মাথা ভারী লাগে, কান ধরে রাখে।

ভেড়ামারা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর জব্বার বলেন, শব্দদূষণের জন্য ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারি না, শিশুদেরও নানান সমস্যা হয়। চালকদের আরও সচেতন হতে হবে। তাঁরা যেন অহেতুক হর্ন না দেন। আমাদের প্রায় স্কুলগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় উচ্চ শব্দ আরও আতঙ্কের কারণ।

শফিউল ইসলাম নামে অভিভাবক বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানাচ্ছি। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায় উচ্চ শব্দ। শিশুদের শেখাতে হবে উচ্চ শব্দ কত খারাপ। মানুষ যদি আরও সচেতন হয়, তাহলেই উচ্চ শব্দ কমবে।

জিল্লুর রহমান নামে আরেক অভিভাবক বলেন, যে সড়কের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় সেই যানবাহনগুলোর উচিত হর্ন না দেওয়া এবং গতি কমানো। চালকদের প্রতি অনুরোধ, বিদ্যালয়টির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসার সময় অযাচিত হর্ন বাজাবেন না।

কামরুজ্জামান নামে এক পথচারী বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতি বোঝা যায় না। শব্দদূষণ রোধে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন মানা হয় না। দীর্ঘদিন উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে মানুষ বধির হয়ে যেতে পারে। উচ্চ শব্দের কারণে অবসাদ আসে, পড়ালেখায় মনোযোগ কম থাকে। এই সব প্রতিষ্ঠানের সামনে উচ্চ শব্দ রোধে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব