০৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

৩৮ বছর ধরে স্বর্গীয় যে সন্তানকে বুকে আগলে রেখেছেন মা

বয়সে বড় হলেও শারীরিক গঠনে বড় হয়নি, মানসিক বিকাশ হয়নি। প্রতিবন্ধী এই সন্তানকে নিয়ে অনেকে কটুক্তি করলেও মায়ের চোখে স্বর্গ থেকে নেমে আসা সন্তান। ৩৮ বছর ধরে সন্তানকে আগলে রেখেছে ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের চেনুয়ারা বেগম। প্রতিবন্ধী সন্তানকে লালন পালন করে মা জননী। মা শুধু মা পৃথিবীতে মায়ের তুলনা হবে না আর কোনো কিছুতেই।

এই জননীর সুখ যেন প্রতিবন্ধী এই সন্তানকে ঘিরে। অন্যান্য সন্তানদের মতোই মা-বাবার কোল আলো করে জন্ম হয় মাছুমের। তবে বয়সে বড় হলেও মানসিক বিকাশ ঘটেনি তার। চিকিৎসকরা বলছেন এনেসটিয়া রোগে আক্রান্ত মাছুম। তারএই রোগের চিকিৎসা নেই। এই প্রতিবন্ধী মাছুমের সবকিছুই তার মায়ের উপর নির্ভর। মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই সন্তানকে তিন বেলা খেয়ে দিতে হয়, টয়লেটে গেলে পানি খরচ করে দিতে হয়, ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয়, গোসল করা থেকে শুরু করে সবকিছুই করে দিতে হয়। মা যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এই বাচ্চাটা দেখলে আবারো তা প্রমাণ হয়। অভাব অনটন সংসারের মধ্য দিয়ে এই সন্তানকে বড় করে তুলছে এই মা। অনেকেই অবহেলা করলেও নিজেকে অনেক সুখি মনে করে চেনুয়ারা বেগম।

প্রতিবন্দী ছেলেকে নিয়ে মায়ের জীবন যুদ্ধ। নিজের ছেলের জন্য খুঁজছেন একটা হুইল চেয়ার আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা যদি কেউ ব্যবস্থা করে দিত তাহলে উপকার হতো।মায়ের মমতা নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী সন্তানেরা সবাই ভালো থাকুক।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

৩৮ বছর ধরে স্বর্গীয় যে সন্তানকে বুকে আগলে রেখেছেন মা

প্রকাশিত : ০২:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

বয়সে বড় হলেও শারীরিক গঠনে বড় হয়নি, মানসিক বিকাশ হয়নি। প্রতিবন্ধী এই সন্তানকে নিয়ে অনেকে কটুক্তি করলেও মায়ের চোখে স্বর্গ থেকে নেমে আসা সন্তান। ৩৮ বছর ধরে সন্তানকে আগলে রেখেছে ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের চেনুয়ারা বেগম। প্রতিবন্ধী সন্তানকে লালন পালন করে মা জননী। মা শুধু মা পৃথিবীতে মায়ের তুলনা হবে না আর কোনো কিছুতেই।

এই জননীর সুখ যেন প্রতিবন্ধী এই সন্তানকে ঘিরে। অন্যান্য সন্তানদের মতোই মা-বাবার কোল আলো করে জন্ম হয় মাছুমের। তবে বয়সে বড় হলেও মানসিক বিকাশ ঘটেনি তার। চিকিৎসকরা বলছেন এনেসটিয়া রোগে আক্রান্ত মাছুম। তারএই রোগের চিকিৎসা নেই। এই প্রতিবন্ধী মাছুমের সবকিছুই তার মায়ের উপর নির্ভর। মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই সন্তানকে তিন বেলা খেয়ে দিতে হয়, টয়লেটে গেলে পানি খরচ করে দিতে হয়, ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয়, গোসল করা থেকে শুরু করে সবকিছুই করে দিতে হয়। মা যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এই বাচ্চাটা দেখলে আবারো তা প্রমাণ হয়। অভাব অনটন সংসারের মধ্য দিয়ে এই সন্তানকে বড় করে তুলছে এই মা। অনেকেই অবহেলা করলেও নিজেকে অনেক সুখি মনে করে চেনুয়ারা বেগম।

প্রতিবন্দী ছেলেকে নিয়ে মায়ের জীবন যুদ্ধ। নিজের ছেলের জন্য খুঁজছেন একটা হুইল চেয়ার আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা যদি কেউ ব্যবস্থা করে দিত তাহলে উপকার হতো।মায়ের মমতা নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী সন্তানেরা সবাই ভালো থাকুক।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব