০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকদের

চলতি আমন মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কৃষকদের ধান দেওয়ার কোন সাড়া মেলেনি সাতক্ষীরার কলারোয়া খাদ্য গুদামে। খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করেননি। যার ফলে কলারোয়ায় সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু পাইকারী বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান বাইরে বিক্রয় করছেন। যার ফলে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ৫৯৫ মে.টন ধান ও ৫৭৪ মে.টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চালের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় অর্জন হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে ৫ থেকে ৬ টন।

কলারোয়া উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান জানান, সরকারি দরের চেয়ে বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ৩২ টাকা, আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান-চাল দিলে এবার বেশি লোকসান গুনতে হবে। এই জন্য কেউ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান চাল দিতে আগ্রহী নন। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মুল্য পুন:নির্ধারণ করে তাহলে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, পাইকারীতে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি আশাবাদী।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ট্যাগ :

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকদের

প্রকাশিত : ১১:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি আমন মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কৃষকদের ধান দেওয়ার কোন সাড়া মেলেনি সাতক্ষীরার কলারোয়া খাদ্য গুদামে। খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করেননি। যার ফলে কলারোয়ায় সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু পাইকারী বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান বাইরে বিক্রয় করছেন। যার ফলে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ৫৯৫ মে.টন ধান ও ৫৭৪ মে.টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চালের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় অর্জন হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে ৫ থেকে ৬ টন।

কলারোয়া উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান জানান, সরকারি দরের চেয়ে বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ৩২ টাকা, আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান-চাল দিলে এবার বেশি লোকসান গুনতে হবে। এই জন্য কেউ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান চাল দিতে আগ্রহী নন। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মুল্য পুন:নির্ধারণ করে তাহলে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, পাইকারীতে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি আশাবাদী।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব