ভেজাল পণ্যে সয়লাব বাজার। খাদ্যপণ্য, কসমেটিকস, জ্বালানি তেল, ইলেকট্র্রিক্যাল ও ইলেকট্র্রনিক পণ্য থেকে শিশুর ব্যবহার্য ডায়াপার, কোনো কিছুতেই আস্থা রাখতে পারছেন না ভোক্তারা। নকল ও ভেজাল পণ্য কিনে পদে পদে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা। মানহীন খাদ্য ও কসমেটিকস পণ্য বাড়িয়ে তুলছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। নকল ইলেকট্র্রিক্যাল ও ইলেকট্র্রনিক পণ্য বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। ভেজাল জ্বালানি তেলে আয়ু কমছে যানবাহনের। দূষণ ঘটছে পরিবেশের। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নামে তিনটি সরকারি সংস্থা মাঠে থাকলেও ঠেকাতে পারছে না ভেজালের বিস্তার।
দেশে সব পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিএসটিআই বাধ্যতামূলক তালিকায় থাকা পণ্যগুলোরও সঠিক তদারকি হচ্ছে না। ফলে মানহীন ও ভেজাল পণ্যে ছেয়ে গেছে বাজার। ভেজাল খাদ্যে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ।
সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকা পাউরুটি, বনরুটি, কেক মেয়াদ শেষে আবারও ফেরত যাচ্ছে বেকারিতে। নতুন মেয়াদ লাগিয়ে ফিরে আসছে দোকানে। কসমেটিকস পণ্যের মেয়াদ শেষে কাগজের স্টিকার লাগিয়ে বাড়ানো হচ্ছে দাম ও মেয়াদ। লাগেজ পার্টির মাধ্যমে আনা বিদেশি পণ্য বলে দেদার বিক্রি হচ্ছে নকল কসমেটিকস ও খাদ্যপণ্য। অনেক প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইর মান সনদ নিলেও পরবর্তীতে বাজারে মান বজায় রাখছেন কি না তা যাচাই হচ্ছে না। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে অভিযান হলেই সামনে আসছে ভেজালের চিত্র। ভোক্তারা বলছেন, চোখের সামনেই ভেজাল পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে অভিযানের খবর মাঝেমধ্যে গণমাধ্যমে দেখা গেলেও বাস্তবে খুব একটা চোখে পড়ে না।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব


























