০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হাতে নবম শ্রেণির বই পৌঁছায়নি, প্রাথমিকে বাকি ৫০ভাগ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বছরের শুরুতে ছাত্রছাত্রীদের হাতে আংশিক নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাকি বই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও মাস শেষে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার সরকারি বই এখনো পৌঁছায়নি শিক্ষার্থীদের হাতে। এর মধ্যে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছায়নি সরকারি নতুন বই। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও ৫০ শতাংশ সরকারি নতুন বই পৌঁছায়নি।

উপজেলায় ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এবছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০হাজার ৩০৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৭০হাজার ৩১২টি বই এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ হাজার ৭৫০জন শিক্ষার্থীর ১লক্ষ ৩৮হাজার ৭৮০টি বই ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩হাজার ৬০০জন শিক্ষার্থীদের ৪৭ হাজার ১৬০টি নতুন বই প্রদান করার কথা ছিল। এর মধ্যে পহেলা জানুয়ারি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ভাগ নতুন বই প্রদান করা হয় বলে জানান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মাসুদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ৩টি বইয়ের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলা ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২টি বিষয়ের বই প্রদান করা হয়েছিল। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি বইয়ের মধ্যে ৩টি করে সরকারি নতুন বই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত বছরে ব্যবহার করা পুরাতন বই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কিছু শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।’

মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে ৯৬.৬৬ ভাগ বই প্রদান করা হয়েছিল। বাকি ৭.৩৪ ভাগ বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছেছে। এ বইগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের কাজ চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসায় প্রথম থেকে দাখিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যে ৪১ হাজার ২৯০টি নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকী ১২.৪৫ ভাগ বই উপজেলায় আসলে ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করা হবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসার দাখিল পর্যায়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন নতুন বই পায়নি। উপজেলার কারামাতিয়া ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল শাখা, আলহেরা মাদ্রাসা সহ কয়েকটি মাদ্রাসায় সড়েজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘মাদ্রাসার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার মোট ১৯টি বিষয়ের মধ্যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ের ৩টি নতুন বই এসেছে। এগুলো শীঘ্রই বিতরণ করা হবে। বাকি বইগুলো পাওয়া সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্রুত বিতরণ করা হবে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার নন্দী জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বাকি বইগুলো এসেছে যা প্রধান শিক্ষকদের কাছে আজ দিয়ে দেওয়া হবে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাকি ৫০ ভাগ বই এলে দ্রুততার সাথে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হাতে নবম শ্রেণির বই পৌঁছায়নি, প্রাথমিকে বাকি ৫০ভাগ

প্রকাশিত : ০১:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বছরের শুরুতে ছাত্রছাত্রীদের হাতে আংশিক নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাকি বই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও মাস শেষে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার সরকারি বই এখনো পৌঁছায়নি শিক্ষার্থীদের হাতে। এর মধ্যে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছায়নি সরকারি নতুন বই। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও ৫০ শতাংশ সরকারি নতুন বই পৌঁছায়নি।

উপজেলায় ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এবছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০হাজার ৩০৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৭০হাজার ৩১২টি বই এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ হাজার ৭৫০জন শিক্ষার্থীর ১লক্ষ ৩৮হাজার ৭৮০টি বই ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩হাজার ৬০০জন শিক্ষার্থীদের ৪৭ হাজার ১৬০টি নতুন বই প্রদান করার কথা ছিল। এর মধ্যে পহেলা জানুয়ারি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ভাগ নতুন বই প্রদান করা হয় বলে জানান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মাসুদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ৩টি বইয়ের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলা ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২টি বিষয়ের বই প্রদান করা হয়েছিল। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি বইয়ের মধ্যে ৩টি করে সরকারি নতুন বই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত বছরে ব্যবহার করা পুরাতন বই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কিছু শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।’

মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে ৯৬.৬৬ ভাগ বই প্রদান করা হয়েছিল। বাকি ৭.৩৪ ভাগ বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছেছে। এ বইগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের কাজ চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসায় প্রথম থেকে দাখিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যে ৪১ হাজার ২৯০টি নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকী ১২.৪৫ ভাগ বই উপজেলায় আসলে ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করা হবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসার দাখিল পর্যায়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন নতুন বই পায়নি। উপজেলার কারামাতিয়া ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল শাখা, আলহেরা মাদ্রাসা সহ কয়েকটি মাদ্রাসায় সড়েজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘মাদ্রাসার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার মোট ১৯টি বিষয়ের মধ্যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ের ৩টি নতুন বই এসেছে। এগুলো শীঘ্রই বিতরণ করা হবে। বাকি বইগুলো পাওয়া সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্রুত বিতরণ করা হবে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার নন্দী জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বাকি বইগুলো এসেছে যা প্রধান শিক্ষকদের কাছে আজ দিয়ে দেওয়া হবে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাকি ৫০ ভাগ বই এলে দ্রুততার সাথে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব