সিংড়ায় ১৫ হাজার ছেলে-মেয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সিংড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ১৪ বছরে সিংড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। গত ৩৭ বছরে ৩০ শতাংশ ঘরেও বিদ্যুৎ ছিল না। গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা সিংড়ায় শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। জননেত্রী আমাদের একশ প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করে দিয়েছেন। আমাদের শেরকোলের মাটিতে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজ সরকারিকরণ করে দিয়েছেন। সিংড়ার ছেলে-মেয়েদের আগে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকা যেতে হত। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সিংড়ায় তিনটি কলেজ অনার্স কলেজে উন্নতি করেছেন। যার ফলে আমাদের সন্তানরা সিংড়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের প্রতিটি সন্তানদের সোনার মানুষে পরিণিত করতে চাই। আমাদের সিংড়ার ৫ লাখ জনগণের জন্য জননেত্রী একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি কলেজ মিলে ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্য ৮৫ হাজার ছেলেমেয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শুধু শিক্ষিতরাই নয়, স্বল্প শিক্ষিতরা এ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করতে পারবে। অনেক ছেলে-মেয়েরা ড্রাইভিং শিখে বিদেশে গিয়ে একজন এমপি বা মন্ত্রীর চেয়ে বেশি বেতন উপার্জন করছে। আমাদের সেই সুযোগটা করে দিতে হবে। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে বা বিদেশি গিয়ে তারা পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে পারে। আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা বিদেশ থেকে প্রতি বছর ২২ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন।
পলক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যআয়ের ডিজিটাল বিনির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের মূল আর্কিটেক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নেতৃত্বে ভবিষৎ প্রজন্মের সন্তানদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। সাড়ে ৮ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টার, সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ১৬ হাজার ছেলে-মেয়ে সরকারের দুই হাজার রকম সেবা প্রতিমাসে ১ কোটি মানুষকে প্রদান করছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এনডিসি-র মহাপরিচালক শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্কা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব প্রমুখ।
বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ


























