০৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সুন্দর ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য – জাহাঙ্গীর আলম

সুন্দর ব্যবহার গড়ে তুলতে হলে মানুষের মন-প্রাণ উদার হতে হয়। আবার ব্যবহার সুন্দর হলে তার মন উদার ও মানবিক গুণাবলিতে ভরপুর হয়ে ওঠে। ভদ্র ও সংযমী আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সুন্দর ব্যবহার। কারও মধ্যে এসব সদ গুণের সমাহার থাকলে তা ধীরে ধীরে মানুষের ব্যবহারকে সুন্দর ও শোভন করে গড়ে তোলে।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সে একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। নানা কারণে তাকে অন্যের সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে হয়।

মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মানুষের মনে কষ্ট আসে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদায় মানুষের সাথে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা।ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। আমরা ঘরে বাইরে, অফিস আদালতে চারপাশে চলাফিরায় বেড়াতে যে ব্যাপারটা বারবারই চোখে পড়ে, মনের মধ্যে দাগ কাটে তা হলো মানুষের ব্যবহার। এই এক বিষয়, কী যে প্রয়োজন মানুষের! কাজ করি, জীবন যাপন করি, পড়াশোনা করি, বিদ্যার্জন করে জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ হই যা কিছুই হই না কেন ভাল ব্যবহারের সুন্দর ব্যাবহারের বিকল্প নেই।

সব মানুষেরই নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করার জন্য তার ব্যবহারকে অমায়িক করে গড়ে তোলা দরকার। কেননা আচার-ব্যবহারের মধ্য দিয়েই মনুষ্যত্বের প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে। মানুষ ভালো কথাবার্তা ও আচার-ব্যবহার গঠনের মাধ্যমে নিজেকে শোভন, সুন্দর আর পরিশীলিত করে অন্যের প্রতিভাজন হয়ে উঠতে পারে।

সবার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।’ (সূরা আন নিসা-৩৬)।

মানবসমাজে বংশের আসল পরিচয় তার আচার-ব্যবহার। তাই মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য আচার-ব্যবহার সুন্দর হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। মানুষের সত্যিকার পরিচয় তার ব্যবহারেই ফুটে ওঠে। একজন মানুষ ভালো কি মন্দ, তা তার ব্যবহার দেখেই ধরে নেয়া যায়। ভদ্রলোকের কথাবার্তা, আদব-কায়দা ও আচার-আচরণ থেকে সদ্ব্যবহার প্রকাশ পায়। একজনের ব্যবহার ভালো হলে সে সহজেই সবার প্রিয়ভাজন হয়ে উঠতে পারে। যেমনভাবে হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘ভালো কথা ও সাদকা করা উত্তম কাজ’।

সুন্দর আচরণ আমরা সবাই প্রত্যাশা করি। কিন্তু আমরা প্রায়ই অন্যের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে ভুলে যাই। সামান্য একটু অসতর্কতার কারণে আমাদের আচরণে একজন মানুষ অনেক কষ্ট পেতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সচেতন থাকা উচিত; যাতে আমাদের আচরণে কেউ বিন্দুমাত্র কষ্ট না পায়।

যার আচরণ যত বেশি সুন্দর সবাই তাকে তত বেশি ভালোবাসে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। যার আচরণ ভালো নয় সবাই তাকে ঘৃণা করে ও এড়িয়ে চলে। সুন্দর ব্যবহার সুন্দরভাবে কথা বলা সুন্দর মনের পরিচয় বহন করে।

সমাজকে এমন আলোকিতভাবে গড়ে তোলা দরকার, যাতে সহজেই সব মানুষ ব্যক্তিগতভাবে সদ্বব্যবহার করার সুযোগ পায়। সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে মানবজীবনকে সুখী, সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ করার পাশাপাশি চিরন্তন জীবনের মহাশান্তি লাভের পথ সুগম করা সম্ভব।

লেখক,জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকর্মী।

বিজনেস বাংলাদেশ/  হাবিব

ট্যাগ :

সুন্দর ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য – জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত : ০৩:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

সুন্দর ব্যবহার গড়ে তুলতে হলে মানুষের মন-প্রাণ উদার হতে হয়। আবার ব্যবহার সুন্দর হলে তার মন উদার ও মানবিক গুণাবলিতে ভরপুর হয়ে ওঠে। ভদ্র ও সংযমী আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সুন্দর ব্যবহার। কারও মধ্যে এসব সদ গুণের সমাহার থাকলে তা ধীরে ধীরে মানুষের ব্যবহারকে সুন্দর ও শোভন করে গড়ে তোলে।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সে একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। নানা কারণে তাকে অন্যের সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে হয়।

মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মানুষের মনে কষ্ট আসে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদায় মানুষের সাথে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা।ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। আমরা ঘরে বাইরে, অফিস আদালতে চারপাশে চলাফিরায় বেড়াতে যে ব্যাপারটা বারবারই চোখে পড়ে, মনের মধ্যে দাগ কাটে তা হলো মানুষের ব্যবহার। এই এক বিষয়, কী যে প্রয়োজন মানুষের! কাজ করি, জীবন যাপন করি, পড়াশোনা করি, বিদ্যার্জন করে জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ হই যা কিছুই হই না কেন ভাল ব্যবহারের সুন্দর ব্যাবহারের বিকল্প নেই।

সব মানুষেরই নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করার জন্য তার ব্যবহারকে অমায়িক করে গড়ে তোলা দরকার। কেননা আচার-ব্যবহারের মধ্য দিয়েই মনুষ্যত্বের প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে। মানুষ ভালো কথাবার্তা ও আচার-ব্যবহার গঠনের মাধ্যমে নিজেকে শোভন, সুন্দর আর পরিশীলিত করে অন্যের প্রতিভাজন হয়ে উঠতে পারে।

সবার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।’ (সূরা আন নিসা-৩৬)।

মানবসমাজে বংশের আসল পরিচয় তার আচার-ব্যবহার। তাই মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য আচার-ব্যবহার সুন্দর হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। মানুষের সত্যিকার পরিচয় তার ব্যবহারেই ফুটে ওঠে। একজন মানুষ ভালো কি মন্দ, তা তার ব্যবহার দেখেই ধরে নেয়া যায়। ভদ্রলোকের কথাবার্তা, আদব-কায়দা ও আচার-আচরণ থেকে সদ্ব্যবহার প্রকাশ পায়। একজনের ব্যবহার ভালো হলে সে সহজেই সবার প্রিয়ভাজন হয়ে উঠতে পারে। যেমনভাবে হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘ভালো কথা ও সাদকা করা উত্তম কাজ’।

সুন্দর আচরণ আমরা সবাই প্রত্যাশা করি। কিন্তু আমরা প্রায়ই অন্যের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে ভুলে যাই। সামান্য একটু অসতর্কতার কারণে আমাদের আচরণে একজন মানুষ অনেক কষ্ট পেতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সচেতন থাকা উচিত; যাতে আমাদের আচরণে কেউ বিন্দুমাত্র কষ্ট না পায়।

যার আচরণ যত বেশি সুন্দর সবাই তাকে তত বেশি ভালোবাসে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। যার আচরণ ভালো নয় সবাই তাকে ঘৃণা করে ও এড়িয়ে চলে। সুন্দর ব্যবহার সুন্দরভাবে কথা বলা সুন্দর মনের পরিচয় বহন করে।

সমাজকে এমন আলোকিতভাবে গড়ে তোলা দরকার, যাতে সহজেই সব মানুষ ব্যক্তিগতভাবে সদ্বব্যবহার করার সুযোগ পায়। সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে মানবজীবনকে সুখী, সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ করার পাশাপাশি চিরন্তন জীবনের মহাশান্তি লাভের পথ সুগম করা সম্ভব।

লেখক,জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকর্মী।

বিজনেস বাংলাদেশ/  হাবিব