০৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

‘শিল্পীজীবনে তিনি ছিলেন মাটির মানুষ’

গোলাপী এখন ট্রেনে, সুজন সখী সারেং বউ, লাঠিয়াল, নয়নমণি, মিয়াভাই, আলোর মিছিল- এমন কালজয়ী সিনেমার নায়ক ফারুক আর নেই। প্রয়াত হয়েছেন তিনি। নায়কের মৃত্যুতে শোকাহত তার অনেক সিনেমার নায়িকা ববিতা।

প্রিয় নায়কের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ববিতা বলেন, ‘ফারুক ভাই নেই, সংবাদটি শোনার পর সকালটা বিষণ্ণ হয়ে গেল, যা ভাবিনি তাই হলো। সবকিছু ছাড়িয়ে তিনি ছিলেন অনেক আপন মানুষ। প্রতিবাদী মানুষ। সিনেমার পর্দায় যেমন প্রতিবাদ করতে পারতেন, বাস্তবেও তাই করতেন। তিনি সিনেমার পর্দার মতো বাস্তবেও প্রতিবাদী ছিলেন।’

ববিতা বলেন, ‘ফারুক ভাই অনেকদিন ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুনেছিলাম অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কয়েক মাস আগে তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কী থেকে কী যে হয়ে গেল। প্রিয় মানুষটি আর নেই।’

ফারুক সম্পর্কে বলতে গিয়ে কিংবদন্তি অভিনেত্রী বলেন, ‘ফারুকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় অনেক বছর আগে। শুনেছি ব্যক্তিজীবনে তিনি অনেক সাহসী ও রাগী ছিলেন। তবে, শিল্পীজীবনে তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। ক্যামেরার সামনে সত্যিই মাটির মানুষ হয়ে যেতেন। কীভাবে সংলাপ দিতে হবে, কীভাবে দৃশ্যটি আরও সুন্দর হবে—বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ভাবতেন। সত্যি বলতে গ্রামের প্রতিবাদী চরিত্রে ফারুক ভাই ছিলেন অতুলনীয়। ফারুক ভাই এত ন্যাচারাল অভিনয় করতেন যে পর্দায় তার চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে উঠতো যা আমাকে অবাক করতো।’

ববিতা বলেন, ‘অভিনয়ের বাইরেও তার সঙ্গে আমাদের তিন বোনের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আমি সুচন্দা আপা, চম্পা মাঝে মাঝে তার বাসায় বেড়াতে যেতাম। ফারুক ভাইও তার পরিবার নিয়ে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতেন।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh

ট্যাগ :

২০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা, উন্নয়ন প্রকল্প আলোচনা

‘শিল্পীজীবনে তিনি ছিলেন মাটির মানুষ’

প্রকাশিত : ০৬:২২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

গোলাপী এখন ট্রেনে, সুজন সখী সারেং বউ, লাঠিয়াল, নয়নমণি, মিয়াভাই, আলোর মিছিল- এমন কালজয়ী সিনেমার নায়ক ফারুক আর নেই। প্রয়াত হয়েছেন তিনি। নায়কের মৃত্যুতে শোকাহত তার অনেক সিনেমার নায়িকা ববিতা।

প্রিয় নায়কের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ববিতা বলেন, ‘ফারুক ভাই নেই, সংবাদটি শোনার পর সকালটা বিষণ্ণ হয়ে গেল, যা ভাবিনি তাই হলো। সবকিছু ছাড়িয়ে তিনি ছিলেন অনেক আপন মানুষ। প্রতিবাদী মানুষ। সিনেমার পর্দায় যেমন প্রতিবাদ করতে পারতেন, বাস্তবেও তাই করতেন। তিনি সিনেমার পর্দার মতো বাস্তবেও প্রতিবাদী ছিলেন।’

ববিতা বলেন, ‘ফারুক ভাই অনেকদিন ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুনেছিলাম অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কয়েক মাস আগে তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কী থেকে কী যে হয়ে গেল। প্রিয় মানুষটি আর নেই।’

ফারুক সম্পর্কে বলতে গিয়ে কিংবদন্তি অভিনেত্রী বলেন, ‘ফারুকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় অনেক বছর আগে। শুনেছি ব্যক্তিজীবনে তিনি অনেক সাহসী ও রাগী ছিলেন। তবে, শিল্পীজীবনে তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। ক্যামেরার সামনে সত্যিই মাটির মানুষ হয়ে যেতেন। কীভাবে সংলাপ দিতে হবে, কীভাবে দৃশ্যটি আরও সুন্দর হবে—বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ভাবতেন। সত্যি বলতে গ্রামের প্রতিবাদী চরিত্রে ফারুক ভাই ছিলেন অতুলনীয়। ফারুক ভাই এত ন্যাচারাল অভিনয় করতেন যে পর্দায় তার চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে উঠতো যা আমাকে অবাক করতো।’

ববিতা বলেন, ‘অভিনয়ের বাইরেও তার সঙ্গে আমাদের তিন বোনের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আমি সুচন্দা আপা, চম্পা মাঝে মাঝে তার বাসায় বেড়াতে যেতাম। ফারুক ভাইও তার পরিবার নিয়ে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতেন।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh