০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোট: ৫ কেন্দ্রে এগিয়ে নৌকা

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকায় ৪টার পরও ভোট নেওয়া হয়। এখন চলছে ভোট গণনা।
সর্বশেষ ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারিভাবে পাঁচ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। পাঁচ কেন্দ্রে ১৬৬২ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মো. শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১১৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৩২৯টি, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছে ৫৯ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১১৯টি ভোট।
এদিন বিকেলে খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
খুলনায় মেয়র প্রার্থীরা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। খুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব। সোমবার খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
অন্যদিকে, ইভিএম মেশিনে ভোট নিতে অনেক সময় লাগছে বলে দাবি করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম মধু। এতে ভোট কারচুপি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, ইভিএমে হাতপাখায় চাপ দিলে ভোট নৌকায় চলে যাচ্ছে। সোমবার সকালে পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদ্রাসায় ভোট দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
এদিকে ফুলবাড়ী গেট মীরেরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৮৬) বয়সের কারণে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন। তিনি বলেন, জীবনে প্রথম এই মেশিনে ভোট দিলাম ভোট দিয়া ভালই লাগছে। ভোট নাগরিক অধিকার তাই যত কষ্টই হোক ভোট দিতে আসতে হয় তাই আসছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :

কালিহাতীতে ১৩ লক্ষ টাকার চায়না জাল জব্দ

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোট: ৫ কেন্দ্রে এগিয়ে নৌকা

প্রকাশিত : ০৭:১৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকায় ৪টার পরও ভোট নেওয়া হয়। এখন চলছে ভোট গণনা।
সর্বশেষ ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারিভাবে পাঁচ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। পাঁচ কেন্দ্রে ১৬৬২ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মো. শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১১৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৩২৯টি, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছে ৫৯ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১১৯টি ভোট।
এদিন বিকেলে খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
খুলনায় মেয়র প্রার্থীরা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। খুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব। সোমবার খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
অন্যদিকে, ইভিএম মেশিনে ভোট নিতে অনেক সময় লাগছে বলে দাবি করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম মধু। এতে ভোট কারচুপি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, ইভিএমে হাতপাখায় চাপ দিলে ভোট নৌকায় চলে যাচ্ছে। সোমবার সকালে পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদ্রাসায় ভোট দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
এদিকে ফুলবাড়ী গেট মীরেরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৮৬) বয়সের কারণে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন। তিনি বলেন, জীবনে প্রথম এই মেশিনে ভোট দিলাম ভোট দিয়া ভালই লাগছে। ভোট নাগরিক অধিকার তাই যত কষ্টই হোক ভোট দিতে আসতে হয় তাই আসছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ