ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, ‘আমরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবার। আমরা ব্যবসায়ী। আর ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করবো। সমস্যা হলে সমাধান করবো সবাই মিলে।

বুধবার মতিঝিল এফবিসিসিআই ভবনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরই এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

মাহবুবুল আলম বলেন, এখানে সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া বড় কিছু না। দিনশেষে আমরা ব্যবসায়ী। আগামী ২ বছর (২০২৩-২৫) আমরা যেন এক মায়ের সন্তান হিসেবে কাজ করতে পারি।’ আমি কখনো আমার চেয়ারকে ব্যবহার করে ব্যবসা করিনি, আাগামীতেও ব্যবসা বা অবৈধ কিছু করবো না।

তিনি বলেন, আমি দুই বছরের একদিন কমও থাকবো না, একদিন বেশিও থাকতে পারবো না। আমি একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছি। এখানে পরিচালকের কাছে সেই সহযোগিতা চাই। সব পরিচালককে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হবে। সবাই মিলে-মিশে একসঙ্গে কাজ করবো।

এর আগে সন্ধ্যায় এফবিসিসিআই’র ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের মাহবুবুল আলম। তিনি বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

এছাড়া আগামী দুই বছরের জন্য এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিন হেলালী, আর সহ-সভাপতি হয়েছেন ছয়জন। এরমধ্যে চেম্বার গ্রুপ থেকে তিনজন সহ-সভাপতি হয়েছেন। তারা হলেন- খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার ও জোশ জিবন দেবনাথ। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে নির্বাচিত তিন সহ-সভাপতি হলেন- শমী কায়সার, রাশিদুল হোসেন চৌধুরী (রনি) এবং মো. মনির হোসাইন।

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের মোট ৮০ জন পরিচালকের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুসারে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন পরিচালক হিসেবে আগেই মনোনীত হন। এর বাইরে চেম্বার গ্রুপ ২৩ জন এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২৩টি পদে সম্মিলিত নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেম্বার গ্রুপের ২৩টি পদের বিপরীতে ২৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ায় চেম্বার গ্রুপের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৯ জন। এর মধ্যে পরিচালক হিসেবে ২৩ জন আসেন নির্বাচনের মাধ্যমে।