০৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

‘স্মিথকে টি-টোয়েন্টি দলে রাখা লজ্জাজনক’

টি-টোয়েন্টির মারদাঙ্গা ফরম্যাটে এখন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনায় পড়েন তারকা ব্যাটাররা। সেই তোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না হালের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, বাবর আজম ও স্টিভ স্মিথরা। তাই তো সাবেক ক্রিকেটারদের মুখে এসব ক্রিকেটারদের ছাড়াই টি-টোয়েন্টি দল গড়ার কথা বলতে শোনা যায়। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৪ জনের দলে রাখা হয়েছে স্মিথকে। যা নির্বাচকদের জন্য ‌‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন তার সাবেক স্বদেশি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।

ওয়ানডে ও টেস্ট দলে ব্যাট হাতে এখনও বেশ ধারাবাহিক ৩৪ বছর বয়সী স্মিথ। সর্বশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং অ্যাশেজ সিরিজেও তিনি সেই প্রমাণ দিয়েছেন। তবে ঘরের মাঠে হওয়া গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর ফরম্যাটটিতে জাতীয় দলে সুযোগ মেলেনি স্মিথের। অবশ্য বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন কেবল এক ম্যাচ। তাই মনে করা হচ্ছিল তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার
সেখানেই শেষ।

তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের আগে তাকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে রেখে বেশ চমকে দিয়েছে অজি ক্রিকেট বোর্ড। এ নিয়ে বিস্মিত সাবেক অধিনায়ক ক্লার্ক। স্কাই স্পোর্টস রেডিওর দ্য বিগ স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট শোতে তিনি বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না (স্মিথকে দলে নেওয়ার ব্যাপারটা)… আমার কাছে নির্বাচকদের জন্য এটিকে লজ্জাজনক মনে হচ্ছে।’

গত বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনে ক্লার্ক বলেন, ‘তাকে গত বিশ্বকাপের দলেও রেখেছিল তারা, কিন্তু একাদশে সুযোগ পায়নি। সে ম্যাচ পায়নি একটিও (আদতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি স্মিথ খেলেছিলেন), এরপর আমরা বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছি। গত ১৫ মাসে দল নির্বাচন নিয়ে খুবই ধোঁয়াশা আছে। স্মিথ ওই বিশ্বকাপে খেলেনি। আমার তো এটি বিশ্বাসই হচ্ছিল না।’

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির বর্তমানে গুরু দায়িত্ব রয়েছে জর্জ বেইলির কাঁধে। তাকে নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন ক্লার্ক, ‘কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। সমস্যাগুলো চাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি ভিন্ন কোনো খেলা দেখছি। আমি জানি না তারা স্মিথিকে (স্মিথ) টি-টোয়েন্টিতে রেখে কী ভাবছে। বিশ্বের আর কোথাও সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বলেও মনে হয় না। আইপিএলেও দল পাচ্ছে না। সে যদিও এখনো খেলতে চায়।’

মিচেল মার্শকে অধিনায়ক বানিয়ে ঘোষিত দলে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে। ফলে স্টয়নিস, ম্যাক্সওয়েল, ট্র্যাভিস হেড কিংবা ম্যাথু শর্টের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে স্মিথকে। এ সফরে বেশ নতুন চেহারার দলই দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ডাকা হয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা স্পেনসার জনসন, অ্যারন হার্ডি ও ম্যাথু শর্টকে। শেষের দুজন অবশ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলেও রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৬৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা স্মিথের স্ট্রাইক রেট ১২৫.২১। মিচেল মার্শ, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের সঙ্গে সেটি বেমানান বলে সমালোচনা করা হয়। অবশ্য সর্বশেষ বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও বিগ ব্যাশ লিগে আলো ছড়িয়েছিলেন স্মিথ। সিডনি সিক্সার্সের হয়ে ৫৬ বলে ১০১, ৬৬ বলে ১২৫ রানের মতো ইনিংস খেলেছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ একে

২০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা, উন্নয়ন প্রকল্প আলোচনা

‘স্মিথকে টি-টোয়েন্টি দলে রাখা লজ্জাজনক’

প্রকাশিত : ১১:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

টি-টোয়েন্টির মারদাঙ্গা ফরম্যাটে এখন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনায় পড়েন তারকা ব্যাটাররা। সেই তোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না হালের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, বাবর আজম ও স্টিভ স্মিথরা। তাই তো সাবেক ক্রিকেটারদের মুখে এসব ক্রিকেটারদের ছাড়াই টি-টোয়েন্টি দল গড়ার কথা বলতে শোনা যায়। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৪ জনের দলে রাখা হয়েছে স্মিথকে। যা নির্বাচকদের জন্য ‌‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন তার সাবেক স্বদেশি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।

ওয়ানডে ও টেস্ট দলে ব্যাট হাতে এখনও বেশ ধারাবাহিক ৩৪ বছর বয়সী স্মিথ। সর্বশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং অ্যাশেজ সিরিজেও তিনি সেই প্রমাণ দিয়েছেন। তবে ঘরের মাঠে হওয়া গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর ফরম্যাটটিতে জাতীয় দলে সুযোগ মেলেনি স্মিথের। অবশ্য বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন কেবল এক ম্যাচ। তাই মনে করা হচ্ছিল তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার
সেখানেই শেষ।

তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের আগে তাকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে রেখে বেশ চমকে দিয়েছে অজি ক্রিকেট বোর্ড। এ নিয়ে বিস্মিত সাবেক অধিনায়ক ক্লার্ক। স্কাই স্পোর্টস রেডিওর দ্য বিগ স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট শোতে তিনি বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না (স্মিথকে দলে নেওয়ার ব্যাপারটা)… আমার কাছে নির্বাচকদের জন্য এটিকে লজ্জাজনক মনে হচ্ছে।’

গত বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনে ক্লার্ক বলেন, ‘তাকে গত বিশ্বকাপের দলেও রেখেছিল তারা, কিন্তু একাদশে সুযোগ পায়নি। সে ম্যাচ পায়নি একটিও (আদতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি স্মিথ খেলেছিলেন), এরপর আমরা বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছি। গত ১৫ মাসে দল নির্বাচন নিয়ে খুবই ধোঁয়াশা আছে। স্মিথ ওই বিশ্বকাপে খেলেনি। আমার তো এটি বিশ্বাসই হচ্ছিল না।’

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির বর্তমানে গুরু দায়িত্ব রয়েছে জর্জ বেইলির কাঁধে। তাকে নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন ক্লার্ক, ‘কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। সমস্যাগুলো চাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি ভিন্ন কোনো খেলা দেখছি। আমি জানি না তারা স্মিথিকে (স্মিথ) টি-টোয়েন্টিতে রেখে কী ভাবছে। বিশ্বের আর কোথাও সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বলেও মনে হয় না। আইপিএলেও দল পাচ্ছে না। সে যদিও এখনো খেলতে চায়।’

মিচেল মার্শকে অধিনায়ক বানিয়ে ঘোষিত দলে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে। ফলে স্টয়নিস, ম্যাক্সওয়েল, ট্র্যাভিস হেড কিংবা ম্যাথু শর্টের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে স্মিথকে। এ সফরে বেশ নতুন চেহারার দলই দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ডাকা হয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা স্পেনসার জনসন, অ্যারন হার্ডি ও ম্যাথু শর্টকে। শেষের দুজন অবশ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলেও রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৬৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা স্মিথের স্ট্রাইক রেট ১২৫.২১। মিচেল মার্শ, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের সঙ্গে সেটি বেমানান বলে সমালোচনা করা হয়। অবশ্য সর্বশেষ বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও বিগ ব্যাশ লিগে আলো ছড়িয়েছিলেন স্মিথ। সিডনি সিক্সার্সের হয়ে ৫৬ বলে ১০১, ৬৬ বলে ১২৫ রানের মতো ইনিংস খেলেছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ একে