উৎসবমুখর পরিবেশে রাজধানীর ১০০ ফিট সেফস টেবিল কোড সাইড মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলার সাবেক ফুটবলারদের নিয়ে গেটটুগেদার ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। শনিবার বিকেলে সূর্য যখন পশ্চিম কোলে হেলে পড়ছে তখন একে একে সবাই মাঠে উপস্থিত হলেন। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও খোশগল্পে মেতে উঠেন তারা।
ঢাকায় বসবাসরত সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতে মুহুর্তেই সুন্দর ও মনরম পরিবেশে এক অন্য রকম আনন্দ অনুভূতি ফুটে উঠে সকলের মাঝে।
খেলার মাঠে উপস্থিত হয়েই, তারা নিজেদের স্মৃতি চারণ করতে লাগলো। কে কবে কোন মাঠে গোল করেছে। কত টাকায় ভাড়া খেলতে গিয়েছে। কে মাঠে আহত হয়েছে, এদের মধ্যে অনেকেই না ফেরার দেশে চলে গেছে। এসব নিয়ে কেও কেও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়লেন।
দাপুটের সঙ্গে নিজ জেলায় ও ঢাকার মাঠে ফুটবল খেলে আজ অনেকেই প্রতিষ্ঠিত। হয়েছে দেশ সেরা। এখনো তাঁরা হয়ে মাঠে থাকতে চায় সিরাজগঞ্জের সাবেক খেলোয়াড়েরা। ৯০ মিনিট সময় নিয়ে দুই দলে ভাগ হয়ে মাঠে নামলেন আশি-নব্বই দশকের শেখ জামাল, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধাসহ জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা। মাঠে কিছু জুনিয়রও তাদের সঙ্গ দিয়েছে। অনেকেই পরিবার ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে এসে খেলা উপভোগ করেছেন।

২০ বছরের যুবকেরা ৪৫ বছরেও হার মানতে চায়না। উভয়দল সমানে সমান, কেও কাওকে ছাড় দিচ্ছে না। এক দিকে মালেক, মতিন, বিপ্লবদের দাপট অন্য দিকে ইকো, স্বপন, পান্না, রুবেলদের দাপট। এই বয়সীদের খেলা দেখতে অনেকেই রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করেছেন। কেও কেও ভিডিও করেছে। অনেক উঠতি যুবকেরা বলেছে তারা এই বয়সে যে স্টাইলে ফুটবল খেললেন আমরাও এমন খেলা খেলতে পারবোনা । দারুণ লেগেছে খেলা।
খেলা শেষে সুন্দর এই আয়োজনের জন্য প্রশংসা করেছেন অনেকে। শহিদ তরিকুল ইসলাম খানের স্মৃতিতে খেলাটিকে উৎসর্গ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)’র হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, হঠাৎ করে উদ্যোগ গ্রহণ করায় আয়োজনে কিছু ত্রুটি ছিল এ জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও বড় করে উদ্যোগ নেয়া হবে। তখন আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আমরা রাজধানীতে সকলে মিলে ভাতৃত্ব টিকে রাখতে মাঝে মধ্যে একত্রিত হব। ফুটবলকে এগিয়ে নিতে নতুনদের উৎসাহিত করাটাও আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই




















