০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভালুকায় স্কুল ছাত্রী রিয়া হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার,দা উদ্ধার

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত ব্যক্তি রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ঘোড়াই হাটুভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এ বিষয়ে আজ ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রীফ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মেদ ভূইয়া ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রিপন মিয়া (২৯)। তিনি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

নিহত ছাত্রীর নাম রাখিয়া সুলতানা রিয়া। সে উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাটাজোর গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, এক বছর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রাখিয়া সুলতানার রিয়ার কিছুদিন পর রিপন সৌদি আরব চলে যান। স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর রাখিয়ার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। ছয় মাস আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসে রাখিয়া। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার পড়ালেখা শুরু করে মেয়েটি। এর মধ্যে স্বামী সৌদি আরব থেকে ২ অক্টোবর ফিরে এলেও আর শ্বশুরবাড়িতে যায়নি রাখিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবার ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সমাপনী প্রস্তুতি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় রাখিয়া। বাড়ি থেকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে রাস্তার পাশে কলাখেতে ওত পেতে থাকা কাপড় দিয়ে মুখ মোড়ানো ও মাথায় ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি রাখিয়াকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন সে মা বলে চিৎকার করে দৌড়াতে শুরু করে। হামলাকারী পেছন থেকে ঘাড়, পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মেয়েটিকে জখম করে। চিৎকার শুনে মা মাজেদা খাতুন দৌড়ে এসে পাশের ধানখেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাখিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে মাজেদা খাতুনের ডাকচিৎকারে অন্য ব্যক্তিরা ছুটে আসেন। কিন্তু হামলাকারীকে তাঁরা ধরতে পারেননি।
পরে রাখিয়াকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে রাখিয়ার বাবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামী গ্রেপ্তারে সখীপুর, গাজীপুরে ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালায় পুলিশ। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে মির্জাপুরের ঘোড়াই হাটু ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল হোসেন বলেন, স্কুল ছাত্রীর হত্যাকারী রিপন মিয়াকে মির্জাপুরের ঘোড়াই হাটু ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ঘটনাস্থলের ধান খেত থেকে আজ সকালে সেই দা উদ্ধার করা হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান আমরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আসামি কে গ্রেফতার করে সক্ষম হয়েছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ভালুকায় স্কুল ছাত্রী রিয়া হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার,দা উদ্ধার

প্রকাশিত : ০৪:২০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত ব্যক্তি রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ঘোড়াই হাটুভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এ বিষয়ে আজ ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রীফ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মেদ ভূইয়া ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রিপন মিয়া (২৯)। তিনি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

নিহত ছাত্রীর নাম রাখিয়া সুলতানা রিয়া। সে উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাটাজোর গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, এক বছর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রাখিয়া সুলতানার রিয়ার কিছুদিন পর রিপন সৌদি আরব চলে যান। স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর রাখিয়ার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। ছয় মাস আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসে রাখিয়া। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার পড়ালেখা শুরু করে মেয়েটি। এর মধ্যে স্বামী সৌদি আরব থেকে ২ অক্টোবর ফিরে এলেও আর শ্বশুরবাড়িতে যায়নি রাখিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবার ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সমাপনী প্রস্তুতি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় রাখিয়া। বাড়ি থেকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে রাস্তার পাশে কলাখেতে ওত পেতে থাকা কাপড় দিয়ে মুখ মোড়ানো ও মাথায় ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি রাখিয়াকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন সে মা বলে চিৎকার করে দৌড়াতে শুরু করে। হামলাকারী পেছন থেকে ঘাড়, পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মেয়েটিকে জখম করে। চিৎকার শুনে মা মাজেদা খাতুন দৌড়ে এসে পাশের ধানখেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাখিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে মাজেদা খাতুনের ডাকচিৎকারে অন্য ব্যক্তিরা ছুটে আসেন। কিন্তু হামলাকারীকে তাঁরা ধরতে পারেননি।
পরে রাখিয়াকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে রাখিয়ার বাবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামী গ্রেপ্তারে সখীপুর, গাজীপুরে ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালায় পুলিশ। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে মির্জাপুরের ঘোড়াই হাটু ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল হোসেন বলেন, স্কুল ছাত্রীর হত্যাকারী রিপন মিয়াকে মির্জাপুরের ঘোড়াই হাটু ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ঘটনাস্থলের ধান খেত থেকে আজ সকালে সেই দা উদ্ধার করা হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান আমরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আসামি কে গ্রেফতার করে সক্ষম হয়েছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh