০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০২৪

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কান্তাকাপল্লিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, ট্রেন চালকের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক সিগন্যাল মানেননি। রেড সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও তিনি সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যান। ফলে ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৪০ জন।

আহতদের বিভিন্ন হামপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কান্তাকাপল্লির কাছে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে রোববার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহু বলেন, ‘বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালকই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। রেলের সিগন্যালিংয়ের কোনও সমস্যা ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ওই লাইনে থাকায়, পেছন থেকে আসা বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রেড সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক সেই সিগন্যাল না মানায় দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি গিয়ে পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।’

রোববার এই ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেলের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, ২২টি ট্রেনের রুট বদল করা হয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন। আর গুরুতর আহতরা আড়াই লাখ রুপি করে এবং সামান্য আহত যাত্রীরা ৫০ হাজার রুপি করে পাবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে অবশ্য রেল দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ব্যাপার। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটির ওড়িশা রাজ্যে তিন ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ২৮০ জন মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি দুর্ঘটনার শিকার হলো ভারতীয় রেল।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩

প্রকাশিত : ১২:৩০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কান্তাকাপল্লিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, ট্রেন চালকের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক সিগন্যাল মানেননি। রেড সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও তিনি সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যান। ফলে ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৪০ জন।

আহতদের বিভিন্ন হামপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কান্তাকাপল্লির কাছে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে রোববার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহু বলেন, ‘বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালকই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। রেলের সিগন্যালিংয়ের কোনও সমস্যা ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ওই লাইনে থাকায়, পেছন থেকে আসা বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রেড সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক সেই সিগন্যাল না মানায় দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি গিয়ে পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয়। ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।’

রোববার এই ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেলের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, ২২টি ট্রেনের রুট বদল করা হয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন। আর গুরুতর আহতরা আড়াই লাখ রুপি করে এবং সামান্য আহত যাত্রীরা ৫০ হাজার রুপি করে পাবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে অবশ্য রেল দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ব্যাপার। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটির ওড়িশা রাজ্যে তিন ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ২৮০ জন মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি দুর্ঘটনার শিকার হলো ভারতীয় রেল।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে