১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবী

গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সোমবার অপরাহ্নে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এর সদস্যবৃন্দ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এর সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী’র সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার (রোড ক্রাশ) উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরা হয় এবং সড়ক ব্যবহারকরীদের (পথচারী, আরোহী, গাড়িচালক, মোটরসাইকেল চালক, সাইকেল চালক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত একটি কার্যকর সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবী তুলে ধরেন।

তারা আরও উল্লেখ করেন যে, বিদ্যমান “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” ও “সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২” মূলত: যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ট্রাফিক নিয়ম-কানুন পালন বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এখানে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বিষয়ে তেমন কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তাই সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি পৃথক আইন প্রণয়ন করা অপরিহার্য বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি ৩.৬ ও ১১.২ এবং গ্লোবাল সেকেন্ড ডিকেড এ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী ২০৩০ সনের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৫০% হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এমতাবস্থায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত “সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ” এর আলোকে (১. মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট, ২. সেইফ রোড, ৩. সেইফ ভেহিক্যাল, ৪. সেইফ রোড ইউজার ও ৫. পোস্ট-ক্রাশ ম্যানেজমেন্ট) একটি “স্বয়ংসম্পূর্ণ সড়ক নিরাপত্তা আইন বা কমপ্রিহেনসিভ রোড সেফটি ল” প্রণয়নের জন্য রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জোর আহবান জানানো হয়। জবাবে অনুষ্ঠানের সভাপতি সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি যুক্তিযুক্ত বলে মত প্রকাশ করেন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সাথে আলোচনাক্রমে যতদ্রুত সম্ভব “সড়ক নিরাপত্তা আইন” প্রণয়নের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে নভেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে একটি যথাযথ “গতিসীমা ব্যবস্হাপনা নির্দেশিকা” বা “” স্পিড ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন” জারীর আশ্বাস প্রদান করেন।

আমি তৃণমূল থেকে করে দিয়েছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

স্বামীর কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত আপসহীন নেত্রী

একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবী

প্রকাশিত : ০৯:২৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সোমবার অপরাহ্নে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এর সদস্যবৃন্দ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এর সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী’র সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার (রোড ক্রাশ) উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরা হয় এবং সড়ক ব্যবহারকরীদের (পথচারী, আরোহী, গাড়িচালক, মোটরসাইকেল চালক, সাইকেল চালক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত একটি কার্যকর সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবী তুলে ধরেন।

তারা আরও উল্লেখ করেন যে, বিদ্যমান “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” ও “সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২” মূলত: যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ট্রাফিক নিয়ম-কানুন পালন বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এখানে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বিষয়ে তেমন কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তাই সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি পৃথক আইন প্রণয়ন করা অপরিহার্য বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি ৩.৬ ও ১১.২ এবং গ্লোবাল সেকেন্ড ডিকেড এ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী ২০৩০ সনের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৫০% হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এমতাবস্থায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত “সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ” এর আলোকে (১. মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট, ২. সেইফ রোড, ৩. সেইফ ভেহিক্যাল, ৪. সেইফ রোড ইউজার ও ৫. পোস্ট-ক্রাশ ম্যানেজমেন্ট) একটি “স্বয়ংসম্পূর্ণ সড়ক নিরাপত্তা আইন বা কমপ্রিহেনসিভ রোড সেফটি ল” প্রণয়নের জন্য রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জোর আহবান জানানো হয়। জবাবে অনুষ্ঠানের সভাপতি সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবটি যুক্তিযুক্ত বলে মত প্রকাশ করেন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সাথে আলোচনাক্রমে যতদ্রুত সম্ভব “সড়ক নিরাপত্তা আইন” প্রণয়নের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে নভেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে একটি যথাযথ “গতিসীমা ব্যবস্হাপনা নির্দেশিকা” বা “” স্পিড ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন” জারীর আশ্বাস প্রদান করেন।

আমি তৃণমূল থেকে করে দিয়েছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh