০২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা

পোশাক খাতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মুখে আশুলিয়ায় বেশ কিছু কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানায় প্রবেশ করে কাজ না করা, কারখানায় ভাঙচুরসহ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে শ্রম আইনের ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকেরা সকালে কারখানার সামনে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে যান।

আজ শনিবার সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া, নরসিংহপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র চোখে পড়ে।

কারখানার সামনে এসে অনেক শ্রমিককে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নোটিশ পড়তে দেখা যায়। পরে নীরবে বাসায় ফিরে গেছেন বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর মেলেনি। তবে কয়েকটি স্থানে শ্রমিকেরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন অল্প।

কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা অনেকে মানছেন না। আবার যাদের মজুরি ন্যূনতমের ওপরে ছিল তাঁদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তারাও বিক্ষুব্ধ।

আশুলিয়ার হলিউড গার্মেন্টসের শ্রমিক মো. শামীম বলেন, ‘আমরা চাই গার্মেন্টস খুলে দিক। টাকা-পয়সার সিদ্ধান্ত না নিয়ে হুট করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিচ্ছে এতে তো আমাদের সবারই ক্ষতি হচ্ছে। ভাঙচুরের ও দরকার নাই, গন্ডগোলেরও দরকার নাই। সরকার সুষ্ঠু একটা সমাধান করে দিক, মীমাংসা করে দিক। হেলপারদের বেতনের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা তো আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আয়রনম্যান, অপারেটর, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার এদের কারও কথা বলে নাই। এ জন্যই তো সমস্যা।’

ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আজকে শ্রমিকেরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও পারেনি। তাঁরা সড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলেও পারেনি। তাই এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা

প্রকাশিত : ১১:২৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

পোশাক খাতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মুখে আশুলিয়ায় বেশ কিছু কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানায় প্রবেশ করে কাজ না করা, কারখানায় ভাঙচুরসহ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে শ্রম আইনের ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকেরা সকালে কারখানার সামনে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে যান।

আজ শনিবার সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া, নরসিংহপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র চোখে পড়ে।

কারখানার সামনে এসে অনেক শ্রমিককে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নোটিশ পড়তে দেখা যায়। পরে নীরবে বাসায় ফিরে গেছেন বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর মেলেনি। তবে কয়েকটি স্থানে শ্রমিকেরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন অল্প।

কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা অনেকে মানছেন না। আবার যাদের মজুরি ন্যূনতমের ওপরে ছিল তাঁদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তারাও বিক্ষুব্ধ।

আশুলিয়ার হলিউড গার্মেন্টসের শ্রমিক মো. শামীম বলেন, ‘আমরা চাই গার্মেন্টস খুলে দিক। টাকা-পয়সার সিদ্ধান্ত না নিয়ে হুট করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিচ্ছে এতে তো আমাদের সবারই ক্ষতি হচ্ছে। ভাঙচুরের ও দরকার নাই, গন্ডগোলেরও দরকার নাই। সরকার সুষ্ঠু একটা সমাধান করে দিক, মীমাংসা করে দিক। হেলপারদের বেতনের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা তো আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আয়রনম্যান, অপারেটর, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার এদের কারও কথা বলে নাই। এ জন্যই তো সমস্যা।’

ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আজকে শ্রমিকেরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও পারেনি। তাঁরা সড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলেও পারেনি। তাই এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি