০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

ব্যর্থতাগুলো আমরা অতীতেই ফেলে এসেছি : রোহিত

আরও একবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, যেখানে দীর্ঘ ১২ বছরের শিরোপাখরা কাটাতে চায় ভারত। কিন্তু ঘুরেফিরে আগের দুই আসরে হতাশাজনক বিদায়ের মুহূর্তগুলো রোহিত শর্মার দলকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অতীত সেই পরিসংখ্যান বারবার আলোচনায় আনছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার, এমনকি রোহিতের সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরাও। বিপরীতে রোহিতদের বর্তমান ভারত অনেক ছন্দময় ও অপ্রতিরোধ্য কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যার বলেই রোহিতের কণ্ঠে ঝরেছে— ‘ব্যর্থতাগুলো আমরা অতীতেই ফেলে এসেছি।’

এর আগের তিন আসরেই সেমিফাইনালে ওঠেও শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পা রাখতে পারেনি ভারত। ২০১৫ আসরে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও একই ব্যাপার। দারুণ গতিতে ছুটে চলা ভারতের বিদায় হলো সেমিফাইনালে হেরে, তারা আচমকা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তাও মহেন্দ্র সিং ধোনি আর রবীন্দ্র জাদেজা মিলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ধোনির সেই বিখ্যাত রান আউটে আর শেষ রক্ষা হয়নি।

আজ (বুধবার) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। তার আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে আসা ভারত অধিনায়কের সামনে ‘সেমিফাইনাল জুজু’ ভারতকে ফের তাড়া করবে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছিল। বিষয়টা রোহিত বর্ণনা করলেন এভাবে— ‘এই যে আমরা সেমিফাইনালে উঠে বারবার হেরেছি, এটাই খেলাটার সৌন্দর্য। আমরা যখন ১৯৮৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতি, তখন আমাদের বর্তমান দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের জন্মই হয়নি। এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার সময় এই স্কোয়াডের অনেকে ক্রিকেট খেলাই শুরু করেনি। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো তারা অতীত নিয়ে অতটা ভাবে না। তারা বরং বর্তমানটাই মাথায় রাখে। আজ কী করল, কাল কী করবে, তাদের ভাবনা এই নিয়েই। আমি কাউকেই অতীত নিয়ে কথা বলতে দেখিনি বা শুনিনি। তাদের মনোযোগ ক্রিকেটার হিসেবে নিজেদের তারা কতটা এগিয়ে নিতে পারবে, তা নিয়েই। এটিই এই স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্য। এটা আমি মনে করি খুব ভালো একটা ব্যাপার।’

এরপরই রোহিতের দৃঢ় জবাব, ‘অবশ্যই সাফল্য না পেলে অনেক কিছু শিক্ষণীয় থাকে সেসব ব্যাপারে। কোন জায়গায় ভুলটা হলো, কেন হারলাম—এসব নিয়ে আলোচনা হয়। খেলোয়াড়রাও শেখে। তবে আমি বলতে চাই, অতীতে যেসব দল খেলেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের এই দলের কোনো সম্পর্কই নেই। এটা পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের দল। এমনকি ২০১৯ সাল থেকেও এই দল ভিন্ন। আমরা অবশ্যই আগের ব্যর্থতাগুলো থেকে শিখেছি। তবে এটা বলব, সেই সব ম্যাচ, ব্যর্থতাগুলো আমরা অতীতেই ফেলে এসেছি।’

একইসঙ্গে মুম্বাইয়ে টস কোনো ফ্যাক্টর হবে না বলেও জানান ভারতীয় তারকা ওপেনার। নিজের ঘরের মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এই চার কিংবা পাঁচ ম্যাচ ওয়াংখেড়ে নিয়ে আপনাকে খুব বেশি কিছু বলবে না। ওয়াংখেড়ে নিয়ে আমি খুব বেশি কথা বলতে চাই না। তবে আমি বিশ্বাস করি যে টস কোনো ফ্যাক্টর হবে না।’

হার্দিক পান্ডিয়া চোটে পড়ায় একজন বোলার কমে গেল ভারতের। সে হিসেবে পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে হচ্ছে রোহিতদের, যদিও সেটি এখন পর্যন্ত তাদের কোনো বিপত্তিতে ফেলেনি। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ম্যাচে অনিয়মিত বোলার মিলিয়ে বল করতে দেখা যায় ভারতের ৯ জনকে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে রোহিত বলেন, ‘হার্দিক চোটে পড়ার পর আমরা নিজেদের বোলিংয়ের সমন্বয় বদলে গেছে। এর আগে প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের চেষ্টা ছিল বাকিদের দিয়ে কীভাবে বোলিং করানো যায়, কবে করানো যায়। পরিস্থিতি তৈরি হওয়াও জরুরি। শেষ ম্যাচে এমন পরিস্থিতি এসে যে কিছু বিষয় চেষ্টা করে দেখা যেত। বিকল্প আছে, এটা খুব ভালো। আশা করছি, এর প্রয়োজন হবে না।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

ব্যর্থতাগুলো আমরা অতীতেই ফেলে এসেছি : রোহিত

প্রকাশিত : ১১:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

আরও একবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, যেখানে দীর্ঘ ১২ বছরের শিরোপাখরা কাটাতে চায় ভারত। কিন্তু ঘুরেফিরে আগের দুই আসরে হতাশাজনক বিদায়ের মুহূর্তগুলো রোহিত শর্মার দলকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অতীত সেই পরিসংখ্যান বারবার আলোচনায় আনছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার, এমনকি রোহিতের সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরাও। বিপরীতে রোহিতদের বর্তমান ভারত অনেক ছন্দময় ও অপ্রতিরোধ্য কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যার বলেই রোহিতের কণ্ঠে ঝরেছে— ‘ব্যর্থতাগুলো আমরা অতীতেই ফেলে এসেছি।’

এর আগের তিন আসরেই সেমিফাইনালে ওঠেও শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পা রাখতে পারেনি ভারত। ২০১৫ আসরে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও একই ব্যাপার। দারুণ গতিতে ছুটে চলা ভারতের বিদায় হলো সেমিফাইনালে হেরে, তারা আচমকা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তাও মহেন্দ্র সিং ধোনি আর রবীন্দ্র জাদেজা মিলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ধোনির সেই বিখ্যাত রান আউটে আর শেষ রক্ষা হয়নি।

আজ (বুধবার) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। তার আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে আসা ভারত অধিনায়কের সামনে ‘সেমিফাইনাল জুজু’ ভারতকে ফের তাড়া করবে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছিল। বিষয়টা রোহিত বর্ণনা করলেন এভাবে— ‘এই যে আমরা সেমিফাইনালে উঠে বারবার হেরেছি, এটাই খেলাটার সৌন্দর্য। আমরা যখন ১৯৮৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতি, তখন আমাদের বর্তমান দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের জন্মই হয়নি। এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার সময় এই স্কোয়াডের অনেকে ক্রিকেট খেলাই শুরু করেনি। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো তারা অতীত নিয়ে অতটা ভাবে না। তারা বরং বর্তমানটাই মাথায় রাখে। আজ কী করল, কাল কী করবে, তাদের ভাবনা এই নিয়েই। আমি কাউকেই অতীত নিয়ে কথা বলতে দেখিনি বা শুনিনি। তাদের মনোযোগ ক্রিকেটার হিসেবে নিজেদের তারা কতটা এগিয়ে নিতে পারবে, তা নিয়েই। এটিই এই স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্য। এটা আমি মনে করি খুব ভালো একটা ব্যাপার।’

এরপরই রোহিতের দৃঢ় জবাব, ‘অবশ্যই সাফল্য না পেলে অনেক কিছু শিক্ষণীয় থাকে সেসব ব্যাপারে। কোন জায়গায় ভুলটা হলো, কেন হারলাম—এসব নিয়ে আলোচনা হয়। খেলোয়াড়রাও শেখে। তবে আমি বলতে চাই, অতীতে যেসব দল খেলেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের এই দলের কোনো সম্পর্কই নেই। এটা পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের দল। এমনকি ২০১৯ সাল থেকেও এই দল ভিন্ন। আমরা অবশ্যই আগের ব্যর্থতাগুলো থেকে শিখেছি। তবে এটা বলব, সেই সব ম্যাচ, ব্যর্থতাগুলো আমরা অতীতেই ফেলে এসেছি।’

একইসঙ্গে মুম্বাইয়ে টস কোনো ফ্যাক্টর হবে না বলেও জানান ভারতীয় তারকা ওপেনার। নিজের ঘরের মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এই চার কিংবা পাঁচ ম্যাচ ওয়াংখেড়ে নিয়ে আপনাকে খুব বেশি কিছু বলবে না। ওয়াংখেড়ে নিয়ে আমি খুব বেশি কথা বলতে চাই না। তবে আমি বিশ্বাস করি যে টস কোনো ফ্যাক্টর হবে না।’

হার্দিক পান্ডিয়া চোটে পড়ায় একজন বোলার কমে গেল ভারতের। সে হিসেবে পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে হচ্ছে রোহিতদের, যদিও সেটি এখন পর্যন্ত তাদের কোনো বিপত্তিতে ফেলেনি। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ম্যাচে অনিয়মিত বোলার মিলিয়ে বল করতে দেখা যায় ভারতের ৯ জনকে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে রোহিত বলেন, ‘হার্দিক চোটে পড়ার পর আমরা নিজেদের বোলিংয়ের সমন্বয় বদলে গেছে। এর আগে প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের চেষ্টা ছিল বাকিদের দিয়ে কীভাবে বোলিং করানো যায়, কবে করানো যায়। পরিস্থিতি তৈরি হওয়াও জরুরি। শেষ ম্যাচে এমন পরিস্থিতি এসে যে কিছু বিষয় চেষ্টা করে দেখা যেত। বিকল্প আছে, এটা খুব ভালো। আশা করছি, এর প্রয়োজন হবে না।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে