০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমন করে রাখার চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেওয়ায় তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন। ইদানিং অবশ্য তাদের দেখা যাচ্ছে না। বিবৃতিজীবীরা বেশিরভাগ হারিয়ে গেছেন। দেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না। এ বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও তাদের খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হল কি না! তাদের নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সে সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। তারা ফিলিস্তিনে সাধারণ মানুষসহ দশ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা নিয়ে বিবৃতি দেয়নি। অথচ তারা বরিশালে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল এবং কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্য বিবৃতি দিল। আমি কথাগুলো বলছি, কারণ আগামী পরশু দিন ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে। ওই সময় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। ওই সময় নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। একজনের নামের সঙ্গে আরেকজনের মিল আছে, সেজন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং ফাঁসি কার্যকর হবার পর রায় হয়েছে ফাঁসির, এমন ঘটনাও আছে। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫:০৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমন করে রাখার চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেওয়ায় তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন। ইদানিং অবশ্য তাদের দেখা যাচ্ছে না। বিবৃতিজীবীরা বেশিরভাগ হারিয়ে গেছেন। দেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না। এ বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও তাদের খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হল কি না! তাদের নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সে সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। তারা ফিলিস্তিনে সাধারণ মানুষসহ দশ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা নিয়ে বিবৃতি দেয়নি। অথচ তারা বরিশালে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল এবং কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্য বিবৃতি দিল। আমি কথাগুলো বলছি, কারণ আগামী পরশু দিন ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে। ওই সময় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। ওই সময় নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। একজনের নামের সঙ্গে আরেকজনের মিল আছে, সেজন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং ফাঁসি কার্যকর হবার পর রায় হয়েছে ফাঁসির, এমন ঘটনাও আছে। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ