০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী’ জোট করতে চান কিম জং উন

উত্তর কোরিয়র সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিভিন্ন দেশের সমন্বয়ে একটি কৌশলগত জোট গঠন করতে চান। সম্ভাব্য সেই জোটের নাম তিনি দিয়েছেন ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জোট’।

আগামী ২০২৪ সাল উপলক্ষে প্রতিরক্ষা খাত ও প্রশাসনকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা (সুপ্রিম লিডার) কিম জং উন। বুধবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক সভায় তিনি বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ।

পিয়ংইয়ংয়ের সভাটি ছিল মূলত উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন এবং দেশটির একমাত্র রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির উচ্চপর্যায়ের সদস্যদের বৈঠক। সেখানে নিজ বক্তব্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন কিম জং উন, পাশাপাশি গোলাবারুদ এবং পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিরও নির্দেশ দিয়েছেন।

‘সামরিক বাহিনী, গোলাবারুদ শিল্প, পরমাণু প্রকল্প এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা— প্রতিটি খাতকে যুদ্ধ বিষয়ক প্রস্তুতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি,’ প্রতিবেদনে বলেছে কেসিএনএন।

চলতি বছর মস্কো সফরে গিয়েছিলেন কিম জং উন। বুধবারের সভায় তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় উত্তর কোরিয়া। এ লক্ষ্যে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী’ বিভিন্ন স্বাধীন দেশের সমন্বয়ে একটি কৌশলগত জোট করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

সেই সঙ্গে আসন্ন ২০২৪ সালে কিছু অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে দেশের কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতেও বলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।

গত ২০২১-২২ সালে ঝড়-বৃষ্টি ও টাইফুনের কারণে উত্তর কোরিয়ার কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সেই ক্ষতির প্রভাব এখনও পুরোপুরি কাটানো সম্ভব হয়নি। এখনও খাদ্যপণ্যের মূল্য অনেক উচ্চ এবং দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা নেই।

বস্তুত, ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের পর এই প্রথম এ ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটি।

এদিকে, গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৫ বছর মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। বুধবারের সভায় সেই পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প ও পদক্ষেপ বাস্তবায়নেরও তাগিদ দিয়েছেন কিম। রয়টার্স

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সকালে বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত

‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী’ জোট করতে চান কিম জং উন

প্রকাশিত : ১২:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

উত্তর কোরিয়র সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিভিন্ন দেশের সমন্বয়ে একটি কৌশলগত জোট গঠন করতে চান। সম্ভাব্য সেই জোটের নাম তিনি দিয়েছেন ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জোট’।

আগামী ২০২৪ সাল উপলক্ষে প্রতিরক্ষা খাত ও প্রশাসনকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা (সুপ্রিম লিডার) কিম জং উন। বুধবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক সভায় তিনি বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ।

পিয়ংইয়ংয়ের সভাটি ছিল মূলত উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন এবং দেশটির একমাত্র রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির উচ্চপর্যায়ের সদস্যদের বৈঠক। সেখানে নিজ বক্তব্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন কিম জং উন, পাশাপাশি গোলাবারুদ এবং পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিরও নির্দেশ দিয়েছেন।

‘সামরিক বাহিনী, গোলাবারুদ শিল্প, পরমাণু প্রকল্প এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা— প্রতিটি খাতকে যুদ্ধ বিষয়ক প্রস্তুতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি,’ প্রতিবেদনে বলেছে কেসিএনএন।

চলতি বছর মস্কো সফরে গিয়েছিলেন কিম জং উন। বুধবারের সভায় তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় উত্তর কোরিয়া। এ লক্ষ্যে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী’ বিভিন্ন স্বাধীন দেশের সমন্বয়ে একটি কৌশলগত জোট করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

সেই সঙ্গে আসন্ন ২০২৪ সালে কিছু অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে দেশের কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতেও বলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।

গত ২০২১-২২ সালে ঝড়-বৃষ্টি ও টাইফুনের কারণে উত্তর কোরিয়ার কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সেই ক্ষতির প্রভাব এখনও পুরোপুরি কাটানো সম্ভব হয়নি। এখনও খাদ্যপণ্যের মূল্য অনেক উচ্চ এবং দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা নেই।

বস্তুত, ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের পর এই প্রথম এ ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটি।

এদিকে, গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৫ বছর মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। বুধবারের সভায় সেই পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প ও পদক্ষেপ বাস্তবায়নেরও তাগিদ দিয়েছেন কিম। রয়টার্স

বিজনেস বাংলাদেশ/একে