১১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তফসিলি ব্যাংক কার্যক্রম আগামী মাসেই চালু

বেকারত্ব দূর করতে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে ঋণ দিতে ২০১১ সালে গঠন করা হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ছোট ছোট দুটি রুম ও একজন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিয়ে। একযুগ ব্যবধানে রাষ্ট্রয়াত্ত এই ব্যাংকটি এখন অনেক এগিয়ে গেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা, আগামীর পদক্ষেপ জানতে তার একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিবেদক নাজমুল ইসলাম।

বিজনেস বাংলাদেশ: গ্রাহকের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

মজিবর : যারা বিদেশে গিয়ে সফল হয়ে ফিরে আসতে পারেনি তাদের ঋণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আর যারা সফল হয়ে ফিরে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায় তাদেরও ঋণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঋণ নেয়ার পর দেশের বাইরে কোনো দুর্ঘটনা বা কোনো কারণে গ্রাহক মৃত্যুবরণ করে, সুদসহ তার ঋণ মাফ করে দেয়া হয়। আর কোনো ব্যাংকে এমন সুযোগ সুবিধা নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ : বিদেশে যেতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পেতে গ্রাহকের কোনো জামানত দিতে হয় ?

মজিবর রহমান : প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এই ঋণ পেতে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয় না। পাসপোর্ট ও ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ঠিক থাকলে আবেদনের সাত দিনের মধ্যেই ঋণ দেয়া হয়। তবে তিন দিন বা আরও কম সময়ের মধ্যেও ঋণ পেয়ে থাকে গ্রাহকরা। তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশিও দেয়া হয়। তবে কেউ চাইলে ১ লাখ বা ৫০ হাজার টাকাও ঋণ নিতে পারেন। ঋণের মেয়াদ ২ বছর। সুদের হার ৯ শতাংশ।

বিজনেস বাংলাদেশ: আপনি যোগদানের পরে ব্যাংকের পরিবর্তনগুলো জানতে চাই ?

মজিবর : আমি ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করি। ২০২২ সালের জুনে খেলাপি ছিল ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এসে খেলাপির দাঁড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। প্রায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট খেলাপি কমেছে। এর আগে ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ হাজার এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজারের ওপরে। বর্তমানে গ্রাহক ১ লাখ ৫০ হাজারের ওপর। গত দশ বছরে ঋণের স্থিতি ছিল মাত্র ৫ শত ১৫ কোটি টাকা। আমার এই দুই বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার দুইশত ২৭ কোটি টাকা। এই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মনির ছিলেন পর্ষদ চেয়ারম্যান। এই কৃতিত্বের পেছনে যাদের অবদান তারা হলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তফসিলি ব্যাংক কার্যক্রম আগামী মাসেই চালু করা হবে। তাছাড়া আমি এসে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করেছি। এছাড়া প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে আনার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ। শীঘ্রই হয়তো সরাসরি রেমিট্যান্স আনা সম্ভব হবে। সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। সেখানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সব গ্রাহক সোনালী ব্যাংকে সব শাখা থেকে ঋণের কিস্তি নিতে পারবে।

বিজনেস বাংলাদেশ: কোন দেশে যাওয়ার জন্য বেশি ঋণের আবেদন বেশি পান?

মজিবর : সৌদি আরব ঋণের আবেদন বেশি পাওয়া যায়। সৌদি আরবের পরে দুবাই। এছাড়া কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন এসব দেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাই বেশি আবেদন করেন। সম্প্রতি ইতালি, রোমানিয়া, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রেও ঋণের আবেদন বাড়ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ: ঋণ পেতে কী কী কাগজপত্র লাগে ?

মজিবর : বিদেশ যাওয়ার জন্য ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকা হচ্ছে অন্যতম শর্ত। ভিসা সংগ্রহ করতে হয় নিজেকে, অর্থাৎ ব্যাংক কোনো ভিসা পাইয়ে দেবে না। ঋণের জন্য আবেদন করতে কোনো টাকা লাগে না। আবেদন করতে হয় ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে। বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে, সেই কোম্পানির দেওয়া নিয়োগপত্র লাগবে। সেই সঙ্গে আবেদনকারীর সত্যায়িত ৫ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ, পাসপোর্ট ও ভিসার কপি, ম্যান পাওয়ার স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি এবং দাখিল করতে হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ: অভিবাসন ঋণ ছাড়া আর কোন খাতে ঋণ দেন ?

মজিবর : প্রবাসীদের জন্য চারটি খাতে ঋণ দেয়া হয়- অভিবাসন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এবং বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ। পুনর্বাসন ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। তবে কিছু কন্ডিশন আছে। যা হচ্ছে জামানতবিহীন ঋণ দেয়া হবে কেবল ৩ লক্ষ টাকার জন্যই। যখনই ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা অব্দি ঋণ ধার্য করা হবে তখন জামানত প্রদান করতে হবে। ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে গ্রহীতা অথবা জামিনদারের স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মটর্গেজ মূল্যে ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই ঋণের পরিশোধের সময় সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সুদের হার ৯ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণও সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। সুদের হার পুরুষের জন্য ৯ শতাংশ এবং মহিলার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ। বাকি সব নিয়ম পুনর্বাসন ঋণের মতই। বিশেষ পুনর্বাসনে একক ঋণের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা এবং গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ৫ জনের সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রেও জামানত বিহীন ঋনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকাই থাকবে। বাকি সব নিয়ম একই।

বিজনেস বাংলাদেশ: আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

মজিবর : প্রবাসীদের পাশাপাশি এসএমই ও কৃষি খাতে ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা আছে। প্রবাসী কল্যাণ নামে একটি অ্যাপ চালু করবো। যাতে প্রবাসীরা বিদেশে বসে সব লেনদেন করতে পারে। বর্তমানে ১২০টি শাখা রয়েছে। শাখা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

তফসিলি ব্যাংক কার্যক্রম আগামী মাসেই চালু

প্রকাশিত : ০৭:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

বেকারত্ব দূর করতে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে ঋণ দিতে ২০১১ সালে গঠন করা হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ছোট ছোট দুটি রুম ও একজন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিয়ে। একযুগ ব্যবধানে রাষ্ট্রয়াত্ত এই ব্যাংকটি এখন অনেক এগিয়ে গেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা, আগামীর পদক্ষেপ জানতে তার একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিবেদক নাজমুল ইসলাম।

বিজনেস বাংলাদেশ: গ্রাহকের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

মজিবর : যারা বিদেশে গিয়ে সফল হয়ে ফিরে আসতে পারেনি তাদের ঋণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আর যারা সফল হয়ে ফিরে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায় তাদেরও ঋণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঋণ নেয়ার পর দেশের বাইরে কোনো দুর্ঘটনা বা কোনো কারণে গ্রাহক মৃত্যুবরণ করে, সুদসহ তার ঋণ মাফ করে দেয়া হয়। আর কোনো ব্যাংকে এমন সুযোগ সুবিধা নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ : বিদেশে যেতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পেতে গ্রাহকের কোনো জামানত দিতে হয় ?

মজিবর রহমান : প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এই ঋণ পেতে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয় না। পাসপোর্ট ও ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ঠিক থাকলে আবেদনের সাত দিনের মধ্যেই ঋণ দেয়া হয়। তবে তিন দিন বা আরও কম সময়ের মধ্যেও ঋণ পেয়ে থাকে গ্রাহকরা। তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশিও দেয়া হয়। তবে কেউ চাইলে ১ লাখ বা ৫০ হাজার টাকাও ঋণ নিতে পারেন। ঋণের মেয়াদ ২ বছর। সুদের হার ৯ শতাংশ।

বিজনেস বাংলাদেশ: আপনি যোগদানের পরে ব্যাংকের পরিবর্তনগুলো জানতে চাই ?

মজিবর : আমি ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করি। ২০২২ সালের জুনে খেলাপি ছিল ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এসে খেলাপির দাঁড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। প্রায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট খেলাপি কমেছে। এর আগে ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ হাজার এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজারের ওপরে। বর্তমানে গ্রাহক ১ লাখ ৫০ হাজারের ওপর। গত দশ বছরে ঋণের স্থিতি ছিল মাত্র ৫ শত ১৫ কোটি টাকা। আমার এই দুই বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার দুইশত ২৭ কোটি টাকা। এই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মনির ছিলেন পর্ষদ চেয়ারম্যান। এই কৃতিত্বের পেছনে যাদের অবদান তারা হলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তফসিলি ব্যাংক কার্যক্রম আগামী মাসেই চালু করা হবে। তাছাড়া আমি এসে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করেছি। এছাড়া প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে আনার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ। শীঘ্রই হয়তো সরাসরি রেমিট্যান্স আনা সম্ভব হবে। সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। সেখানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সব গ্রাহক সোনালী ব্যাংকে সব শাখা থেকে ঋণের কিস্তি নিতে পারবে।

বিজনেস বাংলাদেশ: কোন দেশে যাওয়ার জন্য বেশি ঋণের আবেদন বেশি পান?

মজিবর : সৌদি আরব ঋণের আবেদন বেশি পাওয়া যায়। সৌদি আরবের পরে দুবাই। এছাড়া কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন এসব দেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাই বেশি আবেদন করেন। সম্প্রতি ইতালি, রোমানিয়া, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রেও ঋণের আবেদন বাড়ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ: ঋণ পেতে কী কী কাগজপত্র লাগে ?

মজিবর : বিদেশ যাওয়ার জন্য ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকা হচ্ছে অন্যতম শর্ত। ভিসা সংগ্রহ করতে হয় নিজেকে, অর্থাৎ ব্যাংক কোনো ভিসা পাইয়ে দেবে না। ঋণের জন্য আবেদন করতে কোনো টাকা লাগে না। আবেদন করতে হয় ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে। বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে, সেই কোম্পানির দেওয়া নিয়োগপত্র লাগবে। সেই সঙ্গে আবেদনকারীর সত্যায়িত ৫ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ, পাসপোর্ট ও ভিসার কপি, ম্যান পাওয়ার স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি এবং দাখিল করতে হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ: অভিবাসন ঋণ ছাড়া আর কোন খাতে ঋণ দেন ?

মজিবর : প্রবাসীদের জন্য চারটি খাতে ঋণ দেয়া হয়- অভিবাসন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এবং বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ। পুনর্বাসন ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। তবে কিছু কন্ডিশন আছে। যা হচ্ছে জামানতবিহীন ঋণ দেয়া হবে কেবল ৩ লক্ষ টাকার জন্যই। যখনই ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা অব্দি ঋণ ধার্য করা হবে তখন জামানত প্রদান করতে হবে। ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে গ্রহীতা অথবা জামিনদারের স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মটর্গেজ মূল্যে ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই ঋণের পরিশোধের সময় সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সুদের হার ৯ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণও সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। সুদের হার পুরুষের জন্য ৯ শতাংশ এবং মহিলার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ। বাকি সব নিয়ম পুনর্বাসন ঋণের মতই। বিশেষ পুনর্বাসনে একক ঋণের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা এবং গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ৫ জনের সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রেও জামানত বিহীন ঋনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকাই থাকবে। বাকি সব নিয়ম একই।

বিজনেস বাংলাদেশ: আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

মজিবর : প্রবাসীদের পাশাপাশি এসএমই ও কৃষি খাতে ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা আছে। প্রবাসী কল্যাণ নামে একটি অ্যাপ চালু করবো। যাতে প্রবাসীরা বিদেশে বসে সব লেনদেন করতে পারে। বর্তমানে ১২০টি শাখা রয়েছে। শাখা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ