০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আদমদীঘিতে অস্ত্রের মুখে মা-বাবাকে জিম্মি করে মেয়েকে অপহরণ

বগুড়ায় প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মা বাবার সামনে থেকে সাদিয়া আক্তার প্রত্যাশা (১৬) নামে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রান ইউনিয়নের স্টেশন পাড়া এলাকায় শনিবার (২০ জানুয়ারী ) দুপুর দুটোয়।
এ বিষয়ে অপহরণকৃত কলেজ ছাত্রী প্রত্যাশার বাবা মোঃ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় ০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অঙ্গাত আরও ৭ জনের বিরোদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলেন, ১। মোঃ মোমিন (২৫) পিতা- মৃত জাহিদুল ইসলাম বাঁচ্চু, সাং-ছাতিয়ান গ্রাম, থানা- আদমদীঘি,জেলা-বগুড়া ২। মোঃ প্রিতম (২৬) পিতা- মোঃ গোলাম সাং- নামা নুরপুর, থানা ও জেলা- নওগাঁ ৩। মোঃ রবিউল (১৯) পিতা- মোঃ রেজাউল ৪। মোঃ বাবর (৫০) পিতা- মৃত কোকরা মুনসি যাদের সাং- ছাতিয়ানগ্রাম, থানা-আদমদীঘি জেলা-বগুড়া।
অপহরণ ঘটনার ৩ রাত অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
এ দিকে অভিযুক্ত মোমিন নিজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে স্বাচ্ছেন্দ্যে দিন পাড়ি দিচ্ছে। স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানাযায়, এর আগে ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাতিয়ান গ্রাম দ্বি-মুখি উচ্চ-বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণকৃত প্রত্যাশাকে কৌশলে জিম্মিকরে তুলে নিয়ে যায় মোমিন নামে এই যুবক ।
সে সসয়ে এ বিষয়ে প্রত্যাশার ভাই মো রাজ বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৭, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর (সং/০৩)এর ৭/৩০। সে মামলায় পুলিশ  প্রধান আসামি মমিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যার পরিপেক্ষিতে ৬ মাস হাজত বাস শেষে পরবর্তীতে মুমিন জামিনে বের হোন।মামলাটি বর্তমান আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জামিনে ছাড়া পাবার পর থেকেই মমিন প্রত্যাশার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি-ধামকি দেন মামলা তুলে নেবার জন্য। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার (২০ জানুয়ারি)  বিকেল ৩.৩০ মিনিট এর সময় ধারালো অস্ত্র সহ ১০-১২ জন যুবক মুমিনের নেতৃত্বে মুখোশ পরে বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকে অপহরণকৃত কলেজ ছাত্রীর মা-বাবা কে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রত্যাশাকে  অপহরুণ করে। এ সময় বিভিন্ন ভয় ভৃতি প্রদর্শন করে এলাকা ত্যাগ করে মমিন ।
প্রত্যাশার বাবা বেলাল হোসেন জানান, মেরে ফেলার স্লোগান দিয়ে  দিয়ে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার ১ দিন পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামিসহ অন্যরা। মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। আমিও আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছি।
স্থানীয়রা জানায়, এভাবে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিল্ম স্টাইলে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোনোভাবে মেনে নেয়ার মতো নয়। প্রধান অভিযুক্ত মুমিনের বিরুদ্ধে  অপহরণ ও চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায় । তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তাই সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার বলেন, অপহরণের ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে থানায় গত ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে একটা এজাহার দায়ের করেছে। আইন অনুযায়ি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আদমদীঘিতে অস্ত্রের মুখে মা-বাবাকে জিম্মি করে মেয়েকে অপহরণ

প্রকাশিত : ০৭:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
বগুড়ায় প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মা বাবার সামনে থেকে সাদিয়া আক্তার প্রত্যাশা (১৬) নামে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রান ইউনিয়নের স্টেশন পাড়া এলাকায় শনিবার (২০ জানুয়ারী ) দুপুর দুটোয়।
এ বিষয়ে অপহরণকৃত কলেজ ছাত্রী প্রত্যাশার বাবা মোঃ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় ০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অঙ্গাত আরও ৭ জনের বিরোদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলেন, ১। মোঃ মোমিন (২৫) পিতা- মৃত জাহিদুল ইসলাম বাঁচ্চু, সাং-ছাতিয়ান গ্রাম, থানা- আদমদীঘি,জেলা-বগুড়া ২। মোঃ প্রিতম (২৬) পিতা- মোঃ গোলাম সাং- নামা নুরপুর, থানা ও জেলা- নওগাঁ ৩। মোঃ রবিউল (১৯) পিতা- মোঃ রেজাউল ৪। মোঃ বাবর (৫০) পিতা- মৃত কোকরা মুনসি যাদের সাং- ছাতিয়ানগ্রাম, থানা-আদমদীঘি জেলা-বগুড়া।
অপহরণ ঘটনার ৩ রাত অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
এ দিকে অভিযুক্ত মোমিন নিজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে স্বাচ্ছেন্দ্যে দিন পাড়ি দিচ্ছে। স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানাযায়, এর আগে ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাতিয়ান গ্রাম দ্বি-মুখি উচ্চ-বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণকৃত প্রত্যাশাকে কৌশলে জিম্মিকরে তুলে নিয়ে যায় মোমিন নামে এই যুবক ।
সে সসয়ে এ বিষয়ে প্রত্যাশার ভাই মো রাজ বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৭, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর (সং/০৩)এর ৭/৩০। সে মামলায় পুলিশ  প্রধান আসামি মমিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যার পরিপেক্ষিতে ৬ মাস হাজত বাস শেষে পরবর্তীতে মুমিন জামিনে বের হোন।মামলাটি বর্তমান আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জামিনে ছাড়া পাবার পর থেকেই মমিন প্রত্যাশার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি-ধামকি দেন মামলা তুলে নেবার জন্য। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার (২০ জানুয়ারি)  বিকেল ৩.৩০ মিনিট এর সময় ধারালো অস্ত্র সহ ১০-১২ জন যুবক মুমিনের নেতৃত্বে মুখোশ পরে বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকে অপহরণকৃত কলেজ ছাত্রীর মা-বাবা কে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রত্যাশাকে  অপহরুণ করে। এ সময় বিভিন্ন ভয় ভৃতি প্রদর্শন করে এলাকা ত্যাগ করে মমিন ।
প্রত্যাশার বাবা বেলাল হোসেন জানান, মেরে ফেলার স্লোগান দিয়ে  দিয়ে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার ১ দিন পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামিসহ অন্যরা। মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। আমিও আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছি।
স্থানীয়রা জানায়, এভাবে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিল্ম স্টাইলে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোনোভাবে মেনে নেয়ার মতো নয়। প্রধান অভিযুক্ত মুমিনের বিরুদ্ধে  অপহরণ ও চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায় । তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তাই সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার বলেন, অপহরণের ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে থানায় গত ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে একটা এজাহার দায়ের করেছে। আইন অনুযায়ি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।