০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

লালমনিরহাট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিল করতে আসা নারী আটক, দফারফায় মুক্তি

লালমনিরহাটের সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিল করতে আসা নারী আটক। নিজের পরিচয় গোপন রেখে বোরকা পরে জাল দলিল সম্পাদনের চেষ্টা করায় স্মৃতি বেগম নামে এক নারীকে আটক করে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার। তৎক্ষণাৎ ওই রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য সদস্যরা আটক নারীকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়।

লালমনিরহাট উপজেলার ৩২ হাজারি এলাকায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারীর বাড়ি সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রামজীবন গ্রামে।

সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত দলিল লেখক (লাইসেন্স নং ২৬/৯৩) আব্দুস সবুর গোপনে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রামজীবন মৌজাস্থ অন্যের ভোগ দখলীয় জমির একটি ভুয়া দলিল প্রস্তুত করেন। ওই দলিলে অভিযুক্ত স্মৃতি বেগমের নাম পরিবর্তন করে লেখা হয় শাহিদা বেগম। কৌশলে ওই নারীকে বোরকা পড়িয়ে জমির মূল স্বত্বাধিকারীরা শাহিদা বেগমের হিসেবে বিক্রেতা সাজিয়ে ভুয়া ওই দলিল সম্পাদন করার সময় হাতে নাতে আটক করেন সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব। আটক নারীকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সমিতির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে দলে বলে এসে আটক নারীকে সাব রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে অফিসের গেট পাড় করে দেন।

দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান বলেন, দলিলটির ব্যাপারে ওই নারী অভিযুক্ত নয়, তাই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মূল অভিযুক্ত হলো দলিল লেখক। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে কি ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।

এ ব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব বলেন, প্রস্তুত করা দলিল এনে জমা দিলে তাতে অসঙ্গতি মনে হয়। পরে দলিলসহ জমি বিক্রেতা বোরকা পরিহিত ওই নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে দলিলটি জাল প্রমাণিত হয়। জাল দলিল তৈরির চেষ্টা করা একটি ফৌজদারি অপরাধ বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, কোনো পুলিশ না থাকায় আমরা অভিযুক্ত নারীকে আটক করে রাখতে পারিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

লালমনিরহাট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিল করতে আসা নারী আটক, দফারফায় মুক্তি

প্রকাশিত : ০৭:৫২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

লালমনিরহাটের সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিল করতে আসা নারী আটক। নিজের পরিচয় গোপন রেখে বোরকা পরে জাল দলিল সম্পাদনের চেষ্টা করায় স্মৃতি বেগম নামে এক নারীকে আটক করে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার। তৎক্ষণাৎ ওই রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য সদস্যরা আটক নারীকে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়।

লালমনিরহাট উপজেলার ৩২ হাজারি এলাকায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারীর বাড়ি সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রামজীবন গ্রামে।

সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত দলিল লেখক (লাইসেন্স নং ২৬/৯৩) আব্দুস সবুর গোপনে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রামজীবন মৌজাস্থ অন্যের ভোগ দখলীয় জমির একটি ভুয়া দলিল প্রস্তুত করেন। ওই দলিলে অভিযুক্ত স্মৃতি বেগমের নাম পরিবর্তন করে লেখা হয় শাহিদা বেগম। কৌশলে ওই নারীকে বোরকা পড়িয়ে জমির মূল স্বত্বাধিকারীরা শাহিদা বেগমের হিসেবে বিক্রেতা সাজিয়ে ভুয়া ওই দলিল সম্পাদন করার সময় হাতে নাতে আটক করেন সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব। আটক নারীকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সমিতির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে দলে বলে এসে আটক নারীকে সাব রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে অফিসের গেট পাড় করে দেন।

দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান বলেন, দলিলটির ব্যাপারে ওই নারী অভিযুক্ত নয়, তাই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মূল অভিযুক্ত হলো দলিল লেখক। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে কি ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।

এ ব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব বলেন, প্রস্তুত করা দলিল এনে জমা দিলে তাতে অসঙ্গতি মনে হয়। পরে দলিলসহ জমি বিক্রেতা বোরকা পরিহিত ওই নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে দলিলটি জাল প্রমাণিত হয়। জাল দলিল তৈরির চেষ্টা করা একটি ফৌজদারি অপরাধ বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, কোনো পুলিশ না থাকায় আমরা অভিযুক্ত নারীকে আটক করে রাখতে পারিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি