০১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

বাণিজ্য মেলায় বিআরটিসি’র সার্ভিসে খুশি যাত্রীরা

  • নাজমুল ইসলাম:
  • প্রকাশিত : ১২:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 172

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৮তম আসর শুরু হয়েছে। এবারের মেলার আকর্ষণ পরিবহন ব্যবস্থায় বিআরটিসিরি বিশেষ সার্ভিস। মেলায় খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছে সাধারণ মানুষ। খুশি সাধারণ যাত্রীরা।

এ বিষয়ে আজকের বিজনেস বাংলাদেশের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, বিআরটিসি পরিবহন সেবায় নগর পরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিআরটিসি’র বাস সার্ভিস, পর্যটক বাস সার্ভিস, বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শাটল বাস সার্ভিসসহ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়ায় পরিবহন সেবা চালু রেখেছে। যে কারণে এগিয়ে যাচ্ছে বিআরটিসি সার্ভিস।

চেয়ারম্যান বলেন, ২০২১ সালে পূর্বচলে প্রথম বারের মত বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। মেলা কর্তৃপক্ষের তখন থেকেই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল; কিভাবে মেলাটি জমজমাট করা যায়। কি ভাবে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করবে। এই বিষয় নিয়ে তখনি সর্বমহলে আলোচনার ঝড় উঠে। এর পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাকে একটি চিঠি দেয়। মেলায় ৩০ টি বাস সার্ভিস প্রদানের জন্য। তখন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়কে আমি আশ্বাস্ত করি আমাদের বাস সংকট নিয়ে চিন্তা না করতে। আমরা তখন থেকেই ছুঁটির দিনসহ অন্যান্য দিনে ১০০ গাড়ি দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিবহন সেবা চালু করি। শেষ পর্যন্ত ১৬৫ গাড়ি চলাচল করেছে।

এদিকে মেলায় মহিলা উদ্দ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া ছিল আমাদের চ্যালেঞ্জ। সেখানে টিনএজের মেয়েদের সংখ্যাও বেশি ছিল। যাত্রীরা যেন গাড়িতে ওঠা-নামার সময় ও গাড়ির ভিতরে কোন প্রকার অনিরাপত্তায় বোধ না করে সেদিকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। মেলায় বিআরটিসি গাড়ী রাত ১২ টা পর্যন্ত চলাচল করে। আমাদের মিশন হলো মেলায় শেষে ১ জন যাত্রী থাকলেও তাকে নিয়ে যাতায়াত করতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অন্যবারের তুলনায় আরও ভালো করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত বারের তুলনায় এবার যাত্রী সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার ১ লাখ যাত্রীর যায়গায় এবার প্রতিদিন ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী বিআরটিসিতে চলাচল করছে। গত শুক্রবার আমাদের ১৬৭টি গাড়ী চলাচল করেছে। এবার আমাদের ধারণা ২৫০টি গাড়ী লাগবে একদিনে। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার যাতায়াত করছে একটি গাড়ী।

এবছরে আমারা গাড়ী চলাচলের জন্য রুট গুলো সম্প্রসারণ করেছি। কুড়িল বিশ্বেরোড, খেজুর বাগান (ফার্মগেট), মতিঝিল, দিয়াবাড়ি, টঙ্গী-গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্দেশে বিআরটিসি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা, খেজুর বাগান (ফার্মগেট) থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। নরসিংদী থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ টাকা।

এসকল চলাচলস্থলে পুলিশের কায়দায় আমাদের লোকজন নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ীতে উঠতে পকেট কাটা ও লাইনে বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সে জন্য অতিরিক্ত লোকবল দিয়ে সার্বক্ষণিক দেখভাল করা হচ্ছে। এ কারণে বাণিজ্য মেলা কর্তৃপক্ষ অনেকটাই সফল বলে মনে করেছেন।

চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিভাবক মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্যারের নির্দেশনায় আমি দূর্বার গতিতে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেছেন, সিন্ডিকেট ভেঙ্গ দিতে আমি সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করে যাচ্ছি। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছি। যে কারণে অসৎ ব্যাক্তিরা আমার কাজে অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন উপায়ে প্রপাকান্ডা ছড়াতে ব্যাস্ত তারা। আসলে আমি কাওকে ভয় পাইনা। মানুষের আস্থা ফেরাতে লাল সবুজের বিআরটিসির জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।

সঠিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার সাথে যাতায়াতের জন্য খুবই আনন্দিত আসাদ গেটের বাসিন্দা সায়লা বিথি। তিনি নিজেই একজন নারী উদ্দ্যোক্তা। ২০২১ সালের পূর্বে আগারগাঁওয়ে যখন মেলা হত তখন হেঁটেই মেলায় চলাচল করা হত। পূর্বাচলে মেলা স্থানান্তরিত হওয়ার পর অনেক কষ্ট লেগেছে নিজের কাছে। বিআরটিসির এবারে উদ্দ্যেগে এতসব কষ্ট আর আক্ষেপ মুহুর্তেই ভুলে গেছি। এবার ফার্মগেটের খেজুরের বাগান থেকে সরাসরি পূর্বাচলে মেলা প্রান্তে খুব অল্প সময়ে যাওয়াটা আমার জন্য স্বপ্নের মত। একজন নারী হিসেবে আমি সরকারের এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বিআরটিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) সুকদেব ঢালী আজকের বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের সময়ে বিআরটিসি’তে একটি গতি এসেছে। অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আমরা আস্থার সাথে কাজ করে বিআরটিসি’কে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিতে পেরেছি। বিআরটিসি গত তিন বছরে অভ‚তপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বাণিজ্য মেলাসহ অন্যান্য জায়গায় যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন প্রশংসনীয়।

বাণিজ্য মেলার পরিচালক, ইপিবি সচিব বিবেক সরকার আজকের বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো যাতায়াত ব্যবস্থা। সেই নিতে আমাদের সঙ্গে একমত হয়ে কাজ করছে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। গতবছরের তুলনায় এবার আরও ভালো সার্ভিস দিচ্ছে বিআরটিসি। যে কারনে প্রতিদিন মেলায় দর্শার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আমরা কৃতজ্ঞ বিআরটিসির কাছে।

ইতোমধ্যে বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তায় সব ধরনের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও সাদা পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সদস্য নিরাপত্তায় সার্বিক নজরদারিতে রেখেছে বাণিজ্য মেলায়। মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে ৪টি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা আছে। উল্লেখ্য, ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ৯ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাণিজ্য মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মেলায় ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশও পাওয়া যায়। মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানায় ইপিবি।

বিজনেসা বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

বাণিজ্য মেলায় বিআরটিসি’র সার্ভিসে খুশি যাত্রীরা

প্রকাশিত : ১২:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৮তম আসর শুরু হয়েছে। এবারের মেলার আকর্ষণ পরিবহন ব্যবস্থায় বিআরটিসিরি বিশেষ সার্ভিস। মেলায় খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছে সাধারণ মানুষ। খুশি সাধারণ যাত্রীরা।

এ বিষয়ে আজকের বিজনেস বাংলাদেশের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, বিআরটিসি পরিবহন সেবায় নগর পরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিআরটিসি’র বাস সার্ভিস, পর্যটক বাস সার্ভিস, বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শাটল বাস সার্ভিসসহ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়ায় পরিবহন সেবা চালু রেখেছে। যে কারণে এগিয়ে যাচ্ছে বিআরটিসি সার্ভিস।

চেয়ারম্যান বলেন, ২০২১ সালে পূর্বচলে প্রথম বারের মত বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। মেলা কর্তৃপক্ষের তখন থেকেই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল; কিভাবে মেলাটি জমজমাট করা যায়। কি ভাবে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করবে। এই বিষয় নিয়ে তখনি সর্বমহলে আলোচনার ঝড় উঠে। এর পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাকে একটি চিঠি দেয়। মেলায় ৩০ টি বাস সার্ভিস প্রদানের জন্য। তখন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়কে আমি আশ্বাস্ত করি আমাদের বাস সংকট নিয়ে চিন্তা না করতে। আমরা তখন থেকেই ছুঁটির দিনসহ অন্যান্য দিনে ১০০ গাড়ি দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিবহন সেবা চালু করি। শেষ পর্যন্ত ১৬৫ গাড়ি চলাচল করেছে।

এদিকে মেলায় মহিলা উদ্দ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া ছিল আমাদের চ্যালেঞ্জ। সেখানে টিনএজের মেয়েদের সংখ্যাও বেশি ছিল। যাত্রীরা যেন গাড়িতে ওঠা-নামার সময় ও গাড়ির ভিতরে কোন প্রকার অনিরাপত্তায় বোধ না করে সেদিকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। মেলায় বিআরটিসি গাড়ী রাত ১২ টা পর্যন্ত চলাচল করে। আমাদের মিশন হলো মেলায় শেষে ১ জন যাত্রী থাকলেও তাকে নিয়ে যাতায়াত করতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অন্যবারের তুলনায় আরও ভালো করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত বারের তুলনায় এবার যাত্রী সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার ১ লাখ যাত্রীর যায়গায় এবার প্রতিদিন ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী বিআরটিসিতে চলাচল করছে। গত শুক্রবার আমাদের ১৬৭টি গাড়ী চলাচল করেছে। এবার আমাদের ধারণা ২৫০টি গাড়ী লাগবে একদিনে। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার যাতায়াত করছে একটি গাড়ী।

এবছরে আমারা গাড়ী চলাচলের জন্য রুট গুলো সম্প্রসারণ করেছি। কুড়িল বিশ্বেরোড, খেজুর বাগান (ফার্মগেট), মতিঝিল, দিয়াবাড়ি, টঙ্গী-গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্দেশে বিআরটিসি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা, খেজুর বাগান (ফার্মগেট) থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। নরসিংদী থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ টাকা।

এসকল চলাচলস্থলে পুলিশের কায়দায় আমাদের লোকজন নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ীতে উঠতে পকেট কাটা ও লাইনে বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সে জন্য অতিরিক্ত লোকবল দিয়ে সার্বক্ষণিক দেখভাল করা হচ্ছে। এ কারণে বাণিজ্য মেলা কর্তৃপক্ষ অনেকটাই সফল বলে মনে করেছেন।

চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভিভাবক মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্যারের নির্দেশনায় আমি দূর্বার গতিতে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেছেন, সিন্ডিকেট ভেঙ্গ দিতে আমি সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করে যাচ্ছি। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছি। যে কারণে অসৎ ব্যাক্তিরা আমার কাজে অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন উপায়ে প্রপাকান্ডা ছড়াতে ব্যাস্ত তারা। আসলে আমি কাওকে ভয় পাইনা। মানুষের আস্থা ফেরাতে লাল সবুজের বিআরটিসির জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।

সঠিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার সাথে যাতায়াতের জন্য খুবই আনন্দিত আসাদ গেটের বাসিন্দা সায়লা বিথি। তিনি নিজেই একজন নারী উদ্দ্যোক্তা। ২০২১ সালের পূর্বে আগারগাঁওয়ে যখন মেলা হত তখন হেঁটেই মেলায় চলাচল করা হত। পূর্বাচলে মেলা স্থানান্তরিত হওয়ার পর অনেক কষ্ট লেগেছে নিজের কাছে। বিআরটিসির এবারে উদ্দ্যেগে এতসব কষ্ট আর আক্ষেপ মুহুর্তেই ভুলে গেছি। এবার ফার্মগেটের খেজুরের বাগান থেকে সরাসরি পূর্বাচলে মেলা প্রান্তে খুব অল্প সময়ে যাওয়াটা আমার জন্য স্বপ্নের মত। একজন নারী হিসেবে আমি সরকারের এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বিআরটিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) সুকদেব ঢালী আজকের বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের সময়ে বিআরটিসি’তে একটি গতি এসেছে। অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আমরা আস্থার সাথে কাজ করে বিআরটিসি’কে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিতে পেরেছি। বিআরটিসি গত তিন বছরে অভ‚তপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বাণিজ্য মেলাসহ অন্যান্য জায়গায় যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন প্রশংসনীয়।

বাণিজ্য মেলার পরিচালক, ইপিবি সচিব বিবেক সরকার আজকের বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো যাতায়াত ব্যবস্থা। সেই নিতে আমাদের সঙ্গে একমত হয়ে কাজ করছে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। গতবছরের তুলনায় এবার আরও ভালো সার্ভিস দিচ্ছে বিআরটিসি। যে কারনে প্রতিদিন মেলায় দর্শার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আমরা কৃতজ্ঞ বিআরটিসির কাছে।

ইতোমধ্যে বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তায় সব ধরনের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও সাদা পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সদস্য নিরাপত্তায় সার্বিক নজরদারিতে রেখেছে বাণিজ্য মেলায়। মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে ৪টি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা আছে। উল্লেখ্য, ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ৯ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর বাণিজ্য মেলায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মেলায় ৩০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশও পাওয়া যায়। মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানায় ইপিবি।

বিজনেসা বাংলাদেশ/একে