০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় ফতুল্লায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এমভি মনিপুরা নামে ট্রলারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে থাকা তেলের ড্রাম একেক পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে অন্তত পাঁচজন শ্রমিক অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

বিকেল ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ট্রলারে আবার আগুন জ্বলে ওঠে এবং ট্রলারটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসতে ভাসতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের দিকে চলে যায়। সেখানে রাতে ট্রলারটির আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ডুবিয়ে দেওয়া হয় বলে জানায় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সন্ধ্যায় আবার আগুন জ্বলে ওঠে। একপর্যায়ে ট্রলারটির রশি পুড়ে গিয়ে নদীর ওই অংশে চলে যায়। এ কারণে আগুন নেভানো শেষে ট্রলারটিকে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্ট গার্ড, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও মেঘনা ডিপোসহ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনার জন্য কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। তদন্ত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ফরিদপুর চর অঞ্চল ও কৃষকদের মাঝে জেলা প্রসাশকের গামবুট বিতরণ

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত : ০৪:১৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় ফতুল্লায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এমভি মনিপুরা নামে ট্রলারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে থাকা তেলের ড্রাম একেক পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে অন্তত পাঁচজন শ্রমিক অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

বিকেল ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ট্রলারে আবার আগুন জ্বলে ওঠে এবং ট্রলারটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসতে ভাসতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের দিকে চলে যায়। সেখানে রাতে ট্রলারটির আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ডুবিয়ে দেওয়া হয় বলে জানায় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সন্ধ্যায় আবার আগুন জ্বলে ওঠে। একপর্যায়ে ট্রলারটির রশি পুড়ে গিয়ে নদীর ওই অংশে চলে যায়। এ কারণে আগুন নেভানো শেষে ট্রলারটিকে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্ট গার্ড, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও মেঘনা ডিপোসহ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনার জন্য কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। তদন্ত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে