০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলোর বানান ভুলের প্রতিযোগিতা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমসংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৩টি বানান ভুল ও অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি কয়েকটি লাইনে ছিল একাধিক ভুল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মতো সংগঠনে এমন অসংগতি ও বানান ভুল ভীষণভাবে অপ্রত্যাশিত ও লজ্জার বিষয় বলছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির এধরনের ভুল নতুন কিছু নয়। প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতেই কোনো না কোনো ভুল করেই আসছেন দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই সংগঠনটি। ২০২৩ সালে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ৩০ এর অধিক বানান ভুল পাওয়া গেছে। কয়েকটি লাইনে ছিল একাধিক ভুল। কিছু ক্ষেত্রে ব্যকরণ নিয়মও মানা হয়নি। এমনকি জাতির পিতা শব্দকে ‘জতির পিতা’ লেখা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে অহরহ ভুল পাওয়া গেলেও, তাদের এই বিষয়ে কোনো সচেতনতা নেই।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমসংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৪০টি বানান ভুল ও অসংগতি লক্ষ করা গেছে। রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে এসব ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বায়জিদ বলেন, শিক্ষক সমিতির নিয়মিত এধরণের ভুল সাধারণ মানুষের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান যথেষ্ট ক্ষুণ্ন করেছে, যা শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদেরকে দারুণভাবে আহত করেছে। বানান ভুল হওয়ার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে- প্রথমত, বাংলা একাডেমি তাদের খেয়াল-খুশিমতো বানানের নিয়ম যখন তখন পরিবর্তন করে, যে কারণে এই ভুলটি হয়ে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিজ্ঞপ্তিটি যিনি তৈরি করেছেন তিনি যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করেননি।

রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে ভুলগুলো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভুলগুলো শুধরে নেওয়ারও কথাও বলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়ার সঙ্গে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তিনি মিটিংয়ে রয়েছেন বলে কোনো মন্তব্য করেননি।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলোর বানান ভুলের প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত : ০৪:১৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন স্কিমসংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৩টি বানান ভুল ও অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি কয়েকটি লাইনে ছিল একাধিক ভুল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মতো সংগঠনে এমন অসংগতি ও বানান ভুল ভীষণভাবে অপ্রত্যাশিত ও লজ্জার বিষয় বলছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির এধরনের ভুল নতুন কিছু নয়। প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতেই কোনো না কোনো ভুল করেই আসছেন দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই সংগঠনটি। ২০২৩ সালে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ৩০ এর অধিক বানান ভুল পাওয়া গেছে। কয়েকটি লাইনে ছিল একাধিক ভুল। কিছু ক্ষেত্রে ব্যকরণ নিয়মও মানা হয়নি। এমনকি জাতির পিতা শব্দকে ‘জতির পিতা’ লেখা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে অহরহ ভুল পাওয়া গেলেও, তাদের এই বিষয়ে কোনো সচেতনতা নেই।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমসংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৪০টি বানান ভুল ও অসংগতি লক্ষ করা গেছে। রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে এসব ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বায়জিদ বলেন, শিক্ষক সমিতির নিয়মিত এধরণের ভুল সাধারণ মানুষের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান যথেষ্ট ক্ষুণ্ন করেছে, যা শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদেরকে দারুণভাবে আহত করেছে। বানান ভুল হওয়ার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে- প্রথমত, বাংলা একাডেমি তাদের খেয়াল-খুশিমতো বানানের নিয়ম যখন তখন পরিবর্তন করে, যে কারণে এই ভুলটি হয়ে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিজ্ঞপ্তিটি যিনি তৈরি করেছেন তিনি যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করেননি।

রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে ভুলগুলো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভুলগুলো শুধরে নেওয়ারও কথাও বলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়ার সঙ্গে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তিনি মিটিংয়ে রয়েছেন বলে কোনো মন্তব্য করেননি।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে