০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে বসে পড়েন তারা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বার বার প্রকম্পিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিক্ষোভ সমাবেশে করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের দলে দলে জড়ো হতে দেখা যায় এ আন্দোলনে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্যানেল গঠনের মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে সংস্কার করে ১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি আমাদের। কোটাধারী শিক্ষার্থীরা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবহার করলে চাকরিতে আর কোটা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোটায় যদি কোনও যোগ্য পার্থী না পাওয়া যায় তাহলে মেধা তালিকা থেকে তা পূর্ণ করতে হবে। আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এ সময় ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’; ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’; ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’; এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলরত শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।’

বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজনিন ফাতেমা বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি যাতে এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা উঠে যায়। আমরা চাইনা কোটায় কেউ একটা যোগ্যতাসম্পন্ন জায়গায় যাক। এই জায়গায় যাওয়ার অধিকার শুধু মেধাবীদের। আমরা চাই মেধার যথাযথ ব্যবহার হোক। তবে পিছিয়ে পড়া জনগণ অর্থাৎ প্রতিবন্ধীদের ব্যাপার আলাদা।তারা কোটার যোগ্য। তবে মুক্তিযোদ্ধারা তো আর পিছিয়ে পড়া জনগণ নয়। তাই আমরা চাই। এই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠে যাক।’

বিজনেস বাংলাদশে/একে

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত : ০১:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে বসে পড়েন তারা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বার বার প্রকম্পিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিক্ষোভ সমাবেশে করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের দলে দলে জড়ো হতে দেখা যায় এ আন্দোলনে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘প্যানেল গঠনের মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে সংস্কার করে ১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি আমাদের। কোটাধারী শিক্ষার্থীরা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবহার করলে চাকরিতে আর কোটা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোটায় যদি কোনও যোগ্য পার্থী না পাওয়া যায় তাহলে মেধা তালিকা থেকে তা পূর্ণ করতে হবে। আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এ সময় ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’; ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’; ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’; এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলরত শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।’

বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজনিন ফাতেমা বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি যাতে এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা উঠে যায়। আমরা চাইনা কোটায় কেউ একটা যোগ্যতাসম্পন্ন জায়গায় যাক। এই জায়গায় যাওয়ার অধিকার শুধু মেধাবীদের। আমরা চাই মেধার যথাযথ ব্যবহার হোক। তবে পিছিয়ে পড়া জনগণ অর্থাৎ প্রতিবন্ধীদের ব্যাপার আলাদা।তারা কোটার যোগ্য। তবে মুক্তিযোদ্ধারা তো আর পিছিয়ে পড়া জনগণ নয়। তাই আমরা চাই। এই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠে যাক।’

বিজনেস বাংলাদশে/একে