০৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান আর নেই

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। আজ গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান খেলছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে। ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলতে খেলতেই ৫টা ৫২ মিনিটে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর।

পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি। জিয়া লুটিয়ে পড়লে তাঁর প্রতিপক্ষসহ আরও অনেকেই এগিয়ে এসে তাঁকে তুলে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবা ফেডারেশন থেকে হাসপাতালে পৌঁছাতে ৯ মিনিট সময় লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন।

দাবা ফেডারেশনের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসকেরা তাঁর পালস খুঁজে পাননি। পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা গেছেন জিয়া। ১৯৭৪ সালের ১ মে জন্ম নেওয়া এই গ্র্যান্ডমাস্টারের মৃত্যুসনদ চিকিৎসকেরা দিয়েছেন ৭টা ২০ মিনিটের দিকে।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই জিয়ার স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিকিৎসকদের কাছ থেকে মৃত্যুসনদ পাওয়ার পর কান্নার সেই বেগ আরও বাড়ে। কারও সান্ত্বনাই থামাতে পারছিল না তাঁর সেই কান্না।

শুধু জিয়ার স্ত্রীই নন, এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর সহখেলোয়াড়দের অনেকেই। জিয়ার অকালমৃত্যুতে দাবাসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান আর নেই

প্রকাশিত : ০৭:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। আজ গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান খেলছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে। ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলতে খেলতেই ৫টা ৫২ মিনিটে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর।

পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি। জিয়া লুটিয়ে পড়লে তাঁর প্রতিপক্ষসহ আরও অনেকেই এগিয়ে এসে তাঁকে তুলে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবা ফেডারেশন থেকে হাসপাতালে পৌঁছাতে ৯ মিনিট সময় লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন।

দাবা ফেডারেশনের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসকেরা তাঁর পালস খুঁজে পাননি। পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা গেছেন জিয়া। ১৯৭৪ সালের ১ মে জন্ম নেওয়া এই গ্র্যান্ডমাস্টারের মৃত্যুসনদ চিকিৎসকেরা দিয়েছেন ৭টা ২০ মিনিটের দিকে।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই জিয়ার স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিকিৎসকদের কাছ থেকে মৃত্যুসনদ পাওয়ার পর কান্নার সেই বেগ আরও বাড়ে। কারও সান্ত্বনাই থামাতে পারছিল না তাঁর সেই কান্না।

শুধু জিয়ার স্ত্রীই নন, এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর সহখেলোয়াড়দের অনেকেই। জিয়ার অকালমৃত্যুতে দাবাসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।