১২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

পাবনায় মাদক বিরোধী অভিযানে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা, পুলিশসহ আহত ৭, কাউন্সিলরসহ আটক ২

পাবনায় মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা দিয়ে অভিযানকারীদের অবরুদ্ধ করে মারপিট করেছেন এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার অনুসারীরা। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার পৌর ১০ নং ওয়ার্ডে সিংগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিম্মি দশা থেকে তাদের মুক্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মারপিটের শিকার হন। এতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের  কর্মী, পুলিশসহ আহত হন অন্তত ৭ জন।
অভিযানিক দলে থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে সিঙ্গা স্কুলের পাশে কয়েকজনকে মাদক সেবন ও বিক্রিরত অবস্থায় হাতে নাতে আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজীবের নেতৃত্বে বেশ একদল লোক গালিগালাজ করে আসামিদের ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় আমরা তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের ঘেরাও করে আটকে রাখে এবং সিপাহি বরাত আলীকে মারধোর করতে শুরু করে। আমরা তাদের বাধা দিলে তারা অভিযানিক দলের সবার উপরই চড়াও হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতে আমরা উদ্ধারের জন্য পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে আসা পুলিশের উপরও তারা হামলা করে।
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আটকে রাখার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাজীব কাউন্সিলরের নির্দেশে মাদকসেবীদের স্বজনরা পুলিশের উপর হামলা করে লাথি কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন। কাউন্সিলর নিজেও পুলিশ সদস্যদের গায়ে হাত তুলেছেন। এতে এসআই মাহবুব, এসআই গোলাম মোস্তফা, কনস্টেবল রতন, শিপ্রা ও অন্তরা আহত হন।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ জানান, পাবনায় মাদক বিরোধী অভিযানে হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে এমন কাজ করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, অভিযানিক দল ও পুলিশের উপরে হামলার বিষয়ে জানতে পেরে আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করি। এ সময় সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার দায়ে কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজীব, বিপুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগ :

পাবনায় মাদক বিরোধী অভিযানে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা, পুলিশসহ আহত ৭, কাউন্সিলরসহ আটক ২

প্রকাশিত : ০৯:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
পাবনায় মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা দিয়ে অভিযানকারীদের অবরুদ্ধ করে মারপিট করেছেন এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার অনুসারীরা। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার পৌর ১০ নং ওয়ার্ডে সিংগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিম্মি দশা থেকে তাদের মুক্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মারপিটের শিকার হন। এতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের  কর্মী, পুলিশসহ আহত হন অন্তত ৭ জন।
অভিযানিক দলে থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে সিঙ্গা স্কুলের পাশে কয়েকজনকে মাদক সেবন ও বিক্রিরত অবস্থায় হাতে নাতে আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজীবের নেতৃত্বে বেশ একদল লোক গালিগালাজ করে আসামিদের ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় আমরা তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের ঘেরাও করে আটকে রাখে এবং সিপাহি বরাত আলীকে মারধোর করতে শুরু করে। আমরা তাদের বাধা দিলে তারা অভিযানিক দলের সবার উপরই চড়াও হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতে আমরা উদ্ধারের জন্য পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে আসা পুলিশের উপরও তারা হামলা করে।
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আটকে রাখার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাজীব কাউন্সিলরের নির্দেশে মাদকসেবীদের স্বজনরা পুলিশের উপর হামলা করে লাথি কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন। কাউন্সিলর নিজেও পুলিশ সদস্যদের গায়ে হাত তুলেছেন। এতে এসআই মাহবুব, এসআই গোলাম মোস্তফা, কনস্টেবল রতন, শিপ্রা ও অন্তরা আহত হন।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ জানান, পাবনায় মাদক বিরোধী অভিযানে হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে এমন কাজ করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, অভিযানিক দল ও পুলিশের উপরে হামলার বিষয়ে জানতে পেরে আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করি। এ সময় সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার দায়ে কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজীব, বিপুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।