০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪
পা‌নিব‌ন্দি কয়েক হাজার মানুষ

টাঙ্গাইলে যমুনাসহ নদ নদী‌র পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বৃ‌ষ্টি ও উজানের পাহা‌ড়ি ঢ‌লের কার‌ণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদী‌সহ জেলার সবগু‌লো নদী‌র পা‌নি কয়েকদিন যাবত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চচল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকা‌লে জেলা পা‌নি উন্নয়ন। বো‌র্ডের তথ‌্য অনুযায়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফ‌লে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া ভাঙ‌নের পাশাপা‌শি ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ফসলী জ‌মি। লোকাল‌য়ে পা‌নি প্রবেশ করায় ব‌্যাপক বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছে মানুষ।

এদি‌কে নদীর পা‌নি বি‌ভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করার পর বন‌্যা কব‌লিত হওয়ার পাশাপা‌শি সাপের আত‌ঙ্কে র‌য়ে‌ছে পা‌নিব‌ন্দি লোকজন। বি‌শেষ ক‌রে রা‌সেলস ভাইপার সা‌পের কার‌ণে বে‌শি আত‌ঙ্কিত র‌য়ে‌ছে।

গতকাল বৃহস্প‌তিবাব রা‌তে জেলার ভুঞাপুর উপ‌জেলার গো‌বিন্দাসীর কষ্টাপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পা‌নি প্রবেশ ক‌রে‌ছে। এতে ওই এলাকার অর্ধশত প‌রিবার পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে। এছাড়া গো‌বিন্দাসী বাজা‌রে পা‌নি প্রবেশ করায় বেকায়দায় প‌ড়ে‌ছে ব‌্যবসায়ীরা। বাজা‌রের খাল‌টি ময়লায় ভরা‌টের কার‌ণে পা‌নি বাজা‌রে ঢু‌কে‌ছে। এদি‌কে গত বুধবার জেলার কালিহাতী উপ‌জেলার দুর্গাপুরে পাঁকা সড়ক ভেঙ্গে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

‌গো‌বিন্দাসী বাজা‌রের ব‌্যবসায়ীরা জানান, সকা‌লেই বাজা‌রের একাং‌শে পা‌নি প্রবেশ ক‌রে‌ছে। খাল‌টি য‌দি দখল মুক্ত আর ময়লা আবর্জনায় ভরাট না থাক‌তো তাহ‌লে পা‌নি বাজা‌রে উঠ‌তো না। পা‌নি তার গ‌তিপথ বাঁধাগ্রস্থ হ‌য়ে বাজা‌রে প্রবেশ ক‌রে‌ছে।

এদিকে কালিহাতির দুর্গাপুর ইউনিয়নে একটি ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন দিন আগে পাকা সড়কটি ভেঙে ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। অনেকের দুর্ভোগ হচ্ছে।

ভূঞাপুর উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ ব‌লেন, গো‌বিন্দাসী বাজা‌রের একাংশসহ কষ্টাপাড়া এলাকায় পা‌নি উঠে‌ছে। এছাড়া নদী‌তে পা‌নি বৃ‌দ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের প‌ক্ষ থে‌কে সার্বক্ষ‌নিক নজরদারী রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল প‌রিদর্শন ক‌রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানা‌নোসহ প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাঁটিতে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

পা‌নিব‌ন্দি কয়েক হাজার মানুষ

টাঙ্গাইলে যমুনাসহ নদ নদী‌র পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত : ০১:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

টানা বৃ‌ষ্টি ও উজানের পাহা‌ড়ি ঢ‌লের কার‌ণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদী‌সহ জেলার সবগু‌লো নদী‌র পা‌নি কয়েকদিন যাবত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চচল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকা‌লে জেলা পা‌নি উন্নয়ন। বো‌র্ডের তথ‌্য অনুযায়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফ‌লে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া ভাঙ‌নের পাশাপা‌শি ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ফসলী জ‌মি। লোকাল‌য়ে পা‌নি প্রবেশ করায় ব‌্যাপক বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছে মানুষ।

এদি‌কে নদীর পা‌নি বি‌ভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করার পর বন‌্যা কব‌লিত হওয়ার পাশাপা‌শি সাপের আত‌ঙ্কে র‌য়ে‌ছে পা‌নিব‌ন্দি লোকজন। বি‌শেষ ক‌রে রা‌সেলস ভাইপার সা‌পের কার‌ণে বে‌শি আত‌ঙ্কিত র‌য়ে‌ছে।

গতকাল বৃহস্প‌তিবাব রা‌তে জেলার ভুঞাপুর উপ‌জেলার গো‌বিন্দাসীর কষ্টাপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পা‌নি প্রবেশ ক‌রে‌ছে। এতে ওই এলাকার অর্ধশত প‌রিবার পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে। এছাড়া গো‌বিন্দাসী বাজা‌রে পা‌নি প্রবেশ করায় বেকায়দায় প‌ড়ে‌ছে ব‌্যবসায়ীরা। বাজা‌রের খাল‌টি ময়লায় ভরা‌টের কার‌ণে পা‌নি বাজা‌রে ঢু‌কে‌ছে। এদি‌কে গত বুধবার জেলার কালিহাতী উপ‌জেলার দুর্গাপুরে পাঁকা সড়ক ভেঙ্গে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

‌গো‌বিন্দাসী বাজা‌রের ব‌্যবসায়ীরা জানান, সকা‌লেই বাজা‌রের একাং‌শে পা‌নি প্রবেশ ক‌রে‌ছে। খাল‌টি য‌দি দখল মুক্ত আর ময়লা আবর্জনায় ভরাট না থাক‌তো তাহ‌লে পা‌নি বাজা‌রে উঠ‌তো না। পা‌নি তার গ‌তিপথ বাঁধাগ্রস্থ হ‌য়ে বাজা‌রে প্রবেশ ক‌রে‌ছে।

এদিকে কালিহাতির দুর্গাপুর ইউনিয়নে একটি ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন দিন আগে পাকা সড়কটি ভেঙে ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। অনেকের দুর্ভোগ হচ্ছে।

ভূঞাপুর উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ ব‌লেন, গো‌বিন্দাসী বাজা‌রের একাংশসহ কষ্টাপাড়া এলাকায় পা‌নি উঠে‌ছে। এছাড়া নদী‌তে পা‌নি বৃ‌দ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের প‌ক্ষ থে‌কে সার্বক্ষ‌নিক নজরদারী রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল প‌রিদর্শন ক‌রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানা‌নোসহ প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাঁটিতে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস