০৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

৪ শতাধিক আসনে জিততে চলেছে লেবার পার্টি, ঋষির বিদায়ের ইঙ্গিত

ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণার পর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন।

ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এর মধ্যেই সামনে এসেছে এক্সিট পোল বা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষা। আর এতেই বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ৪ শতাধিক আসনে জিততে চলেছে লেবার পার্টি।

আর তেমনটি হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। শুক্রবার (৫ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। হাউজ অব কমন্সের সাড়ে ছয়শো সদস্যকে নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রয়েছে। প্রতিটি জায়গার ফলাফল রাতে এবং শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হবে।

সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ অন্তত ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হবে। নিয়ম মাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অনেকে আগামী শরতে তথা অক্টোবর মাসে নির্বাচন হতে পারে এমন অনুমান করলেও বাস্তবে তা হয়নি।

আর প্রত্যাশিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কনজারভেটিভদের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এর মাধ্যমে ব্রিটেনের মসনদ থেকে ১৪ বছর পর সরতে চলেছে ডানপন্থি কনজারভেটিভ পার্টি।

অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সবসময় মেলে না, তবে কখনও কখনও তা মিলেও যায়। ব্রিটেনের নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বামপন্থি লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার।

বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এক্সিট পোলগুলো জানিয়েছে, ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৪১০টি আসন জিততে চলেছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি আটকে যেতে পারে মাত্র ১৩১টি আসনে।

ব্রিটেনের গত ছয়টি সাধারণ নির্বাচনে শুধুমাত্র একবারই ভুল করেছিল এক্সিট পোল। ২০১৫ সালে পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, কেউই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। কিন্তু, কনজারভেটিভরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। তবে, তারপর থেকে ব্রিটেনের মসনদে বসেছেন পাঁচজন ভিন্ন ভিন্ন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে পর বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর থেকে ভোট গণনা চলছে। গণনার শুরুর প্রবণতাও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল মিলে যাওয়ার ইঙ্গিতই দিয়েছে। পাঁচ ঘণ্টার গণনার পর, লেবার পার্টির ঝুলিতে ইতোমধ্যেই ৮৯টি আসন চলে এসেছে। আর সুনাকের কনজারভেটিভরা পেয়েছেন ১০টি আসন।

উল্লেখ্য, জনমত সমীক্ষায় অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও গত মে মাসে, প্রয়োজনের থেকে অনেক আগে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। যা তার প্রতিপক্ষকে তো বটেই, নিজের দলকেও চমকে দিয়েছিল। তিনি আশা করেছিলেন, এর মধ্যে লেবারদের সঙ্গে ব্যবধান তিনি কমিয়ে ফেলবেন।

কিন্তু নির্বাচনে তার প্রচার সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। লেবার নেতা কিয়ার স্টারমারকে ক্ষমতায় আনার জন্য যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে, তা নয়। তবে, তিনি যে পরিবর্তনের সহজ-সরল বার্তা দিয়েছেন, তা ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার

৪ শতাধিক আসনে জিততে চলেছে লেবার পার্টি, ঋষির বিদায়ের ইঙ্গিত

প্রকাশিত : ১০:১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণার পর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন।

ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এর মধ্যেই সামনে এসেছে এক্সিট পোল বা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষা। আর এতেই বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ৪ শতাধিক আসনে জিততে চলেছে লেবার পার্টি।

আর তেমনটি হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। শুক্রবার (৫ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। হাউজ অব কমন্সের সাড়ে ছয়শো সদস্যকে নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রয়েছে। প্রতিটি জায়গার ফলাফল রাতে এবং শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হবে।

সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ অন্তত ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হবে। নিয়ম মাফিক পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অনেকে আগামী শরতে তথা অক্টোবর মাসে নির্বাচন হতে পারে এমন অনুমান করলেও বাস্তবে তা হয়নি।

আর প্রত্যাশিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কনজারভেটিভদের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এর মাধ্যমে ব্রিটেনের মসনদ থেকে ১৪ বছর পর সরতে চলেছে ডানপন্থি কনজারভেটিভ পার্টি।

অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সবসময় মেলে না, তবে কখনও কখনও তা মিলেও যায়। ব্রিটেনের নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বামপন্থি লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার।

বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এক্সিট পোলগুলো জানিয়েছে, ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৪১০টি আসন জিততে চলেছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি আটকে যেতে পারে মাত্র ১৩১টি আসনে।

ব্রিটেনের গত ছয়টি সাধারণ নির্বাচনে শুধুমাত্র একবারই ভুল করেছিল এক্সিট পোল। ২০১৫ সালে পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, কেউই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। কিন্তু, কনজারভেটিভরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। তবে, তারপর থেকে ব্রিটেনের মসনদে বসেছেন পাঁচজন ভিন্ন ভিন্ন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে পর বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর থেকে ভোট গণনা চলছে। গণনার শুরুর প্রবণতাও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল মিলে যাওয়ার ইঙ্গিতই দিয়েছে। পাঁচ ঘণ্টার গণনার পর, লেবার পার্টির ঝুলিতে ইতোমধ্যেই ৮৯টি আসন চলে এসেছে। আর সুনাকের কনজারভেটিভরা পেয়েছেন ১০টি আসন।

উল্লেখ্য, জনমত সমীক্ষায় অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও গত মে মাসে, প্রয়োজনের থেকে অনেক আগে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। যা তার প্রতিপক্ষকে তো বটেই, নিজের দলকেও চমকে দিয়েছিল। তিনি আশা করেছিলেন, এর মধ্যে লেবারদের সঙ্গে ব্যবধান তিনি কমিয়ে ফেলবেন।

কিন্তু নির্বাচনে তার প্রচার সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। লেবার নেতা কিয়ার স্টারমারকে ক্ষমতায় আনার জন্য যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে, তা নয়। তবে, তিনি যে পরিবর্তনের সহজ-সরল বার্তা দিয়েছেন, তা ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে