০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একবার তারা এ ধরনের আন্দোলন করছিল। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?’

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।’

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে, আইন মানবে না, আদালত মানবে না। সরকার কীভাবে চলে কোনো ধারণা নেই। জ্ঞান নেই। ভবিষ্যতে এরা নেতৃত্ব দেবে। পড়াশোনা করছে। ভালো রেজাল্ট করছে। কিন্তু সংবিধান কী বলে জানা উচিত। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা হয় কোনো ধারণা আছে? আদালত সুযোগ দিয়েছে। সেখানে যাক, বলুক। না, তারা রাজপথে সমাধান করবে। আদালত যখন বলেছে, এখন আমার কিছু বলার অধিকার নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে কিছু করার নেই।

হুঁশিয়ার করে সরকারপ্রধান বলেন, কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া, গাড়ি ভাঙা তখন আইন আপন গতিতে চলবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ফারুক

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ০৫:০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একবার তারা এ ধরনের আন্দোলন করছিল। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?’

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।’

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে, আইন মানবে না, আদালত মানবে না। সরকার কীভাবে চলে কোনো ধারণা নেই। জ্ঞান নেই। ভবিষ্যতে এরা নেতৃত্ব দেবে। পড়াশোনা করছে। ভালো রেজাল্ট করছে। কিন্তু সংবিধান কী বলে জানা উচিত। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা হয় কোনো ধারণা আছে? আদালত সুযোগ দিয়েছে। সেখানে যাক, বলুক। না, তারা রাজপথে সমাধান করবে। আদালত যখন বলেছে, এখন আমার কিছু বলার অধিকার নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে কিছু করার নেই।

হুঁশিয়ার করে সরকারপ্রধান বলেন, কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া, গাড়ি ভাঙা তখন আইন আপন গতিতে চলবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ফারুক