দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখি, তুমি কে আমি কে বাংলাদেশ, আমার বিচার তুমি কর তোমার বিচার করবে কে, চাঁদা দিলেও মাইর নিলেও মাইর, আইন মানে না যে দেশদ্রোহী সে, এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি শোভা পাচ্ছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে দেয়ালে।
যে দেয়ালে ছিল বিভিন্ন পণ্যের , বিজ্ঞাপনের পসরা। তার পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে সেখানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রঙ তুলির ছোঁয়ায় ফুটে তুলেছে কোটা আন্দোলনের শ্লোগানসহ দেশের বিভিন্ন চিত্র আর সমাজ সংস্কারমূলক উক্তি।
বৃহস্পতিবার(১৫আগস্ট) সকালের দিকে দেখা যায়’এসো শেরপুর সাজাই’ গ্রুপের উদ্যোগে শহরের ডিসি গেইট, সরকারি কলেজ, খরমপুর, থানামোড়, খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর, এটিআই ভবনের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় শিক্ষার্থীদের এমন চিত্র আঁকতে দেখা যাচ্ছে।
এ সময় শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, এসো শেরপুর সাজাই গ্রুপের উদ্যোগে আমরা বিভিন্ন স্থাপনায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, কোটা আন্দোলন সহ নানান উক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে মেসেজ দিচ্ছি। আমরা চাই বাংলাদেশ তথা শেরপুর সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উঠুক। শেরপুরকে সুন্দর ভাবে সাজাতে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
একজন দর্শনার্থী বলেন, দেয়ালে দেয়ালে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের পোস্টার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। এসব পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করে সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়ালে দেয়ালে লিখন চলছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উক্তি স্লোগান লিখছে দেখতে সুন্দরই লাগছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন ক্লিনআপ শেরপুর’র সদস্য আশরাফুল ইসলাম জানান, শেরপুর শহর অপরিচ্ছন্ন ছিল আমরা প্রায় তিন শতাধিক ভলান্টিয়ার শহরকে পরিচ্ছন্ন করেছি। এখন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে রং তুলিতে দেয়াল লিখন করছে। সেই সঙ্গে দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন চিত্র,উক্তি,ছবি আঁকা হচ্ছে। এটি পরিবেশের জন্য এবং শহর সৌন্দর্যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
অপরদিকে আজকের তারুণ্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে আমাদের প্রাণের শেরপুর অপরিচ্ছন্ন ও নানান সমস্যায় পতিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের সংগঠন থেকে প্রায় দু শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মাঠে নামি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন পরিস্কারসহ ট্রাফিকের কাজও আমরা করেছি। মূলত আমরা সবসময় মানবতার সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করছি।
বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ