শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুঁড়া ইউনিয়ন ও নয়াবিল ইউনিয়নের ভোগাই নদীতে লাগামহীন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৮আগস্ট) ৪টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুঁড়া ইউনিয়ন ও নয়াবিল ইউনিয়নের ভোগাই নদীতে লাগামহীন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা। ওইখানকার স্থানীয় লোকেরা বলেন ৫ তারিখে সরকার পতনের পর থেকে এভাবে বৈধ আর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে নদীর দুই পাড়ে বসতবাড়ি, ফসলে মাঠ, কাঠের গাছের বাগান, নদীর বাঁধ, ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, এবং চারালি ব্রিজটি নাকুগাঁও স্থলবন্দরের চার পাশের মানুষের একমাত্র ভরসা।বালু উত্তোলনের কারণে ব্রিজটি পিলারের মাটি সরে গেছে এবং কি ব্রীজজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নদীর ডাকের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে ও ডাক ছাড়াও আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একদল অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। উপজেলা ও জেলা থেকে সাংবাদিকেরা এসে বিভিন্ন পত্রিকায় এবং টিভিতে খবর করছে তবুও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করছে না। উপজেলা প্রশাসনের লোকেরা বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে গেলে দুই এক দিন বন্ধ রেখে আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা শুরু করে দেয়। উপজেলা থেকে মাইক দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করেছেন কিন্তু তারা তার পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করছে না। উপজেলা নিবার্হী অফিসার এসে ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে জরিমানা, মামলা, বালু জব্দ করেন এবং তাদের মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় ও পাইপ ভাঙ্গচুর করে তার পরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে না।

এই ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা বলেছেন, সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুঁড়া ইউনিয়ন ও নয়াবিল ইউনিয়নের ভোগাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। যদি কেহ এ কাজ করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকলকে অনুরোধ করবো তাদের নাম ঠিকানা ও ছবিসহ প্রশাসনকে জানানোর জন্য।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ