০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জে জজ কোর্টে নাজিরের কাছে চাঁদা দাবি ,আটক ৩

সুনামগঞ্জের জজকোর্ট এলাকায় বিএনপি নেতাদের নামে জজ কোর্টের নাজিরের কাছে চাঁদা দাবি করায় জেলা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম রাহি, মুস্তাক আহমেদ, আইনজীবী সহকারী কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দায়রা জজ আদালতের নাজির মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া হঠাৎ করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে দুই ছাত্রদল নেতা ও এক আইনজীবী সহকারী।

পরে ঐ তিনজনকে আটকে রেখে বিষয়টি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নুরুলকে জানানো হয়।

পরে তিনি চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন।

পরে সদর থানা পুলিশ তিন চাঁদাবাজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, হঠাৎ করে কেন এ ভাবে একজন নাজিরিরে কাছে চাঁদা দাবি করা হল তা তদন্ত সাপেক্ষে আইনআনুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, এই দুই ছাত্র দল নেতা জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত ও জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাসিম চৌধুরীর কর্মী।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল জানান,বিএনপির নামে কেউ চাঁদা দাবি করলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়ার জন্য আমরা সবাইকে বলেছি। জেলা বিএনপির ইমেজ জনগণের কাছে নষ্ট করতে এ চক্রান্ত করা হচ্ছে। সামনে নির্বাচন আমরা সে ভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান মহোদয়ও আমাদের বিভাগীয় আলোচনায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন কেউ যদি বিএনপির সাথে থেকে চাঁদাবাজি বা অন্য কোনও অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণ করবে। কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজিরের কাছে চাঁদা দাবি করায় আমরা তিন জনকে আটক করেছি। অভিযোগকারি মামলা দায়ের করার পর আমরা আসামিদের আদালতে সোপর্দ করবও।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

সুনামগঞ্জে জজ কোর্টে নাজিরের কাছে চাঁদা দাবি ,আটক ৩

প্রকাশিত : ০৫:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জের জজকোর্ট এলাকায় বিএনপি নেতাদের নামে জজ কোর্টের নাজিরের কাছে চাঁদা দাবি করায় জেলা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম রাহি, মুস্তাক আহমেদ, আইনজীবী সহকারী কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দায়রা জজ আদালতের নাজির মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া হঠাৎ করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে দুই ছাত্রদল নেতা ও এক আইনজীবী সহকারী।

পরে ঐ তিনজনকে আটকে রেখে বিষয়টি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নুরুলকে জানানো হয়।

পরে তিনি চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন।

পরে সদর থানা পুলিশ তিন চাঁদাবাজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, হঠাৎ করে কেন এ ভাবে একজন নাজিরিরে কাছে চাঁদা দাবি করা হল তা তদন্ত সাপেক্ষে আইনআনুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, এই দুই ছাত্র দল নেতা জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত ও জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাসিম চৌধুরীর কর্মী।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল জানান,বিএনপির নামে কেউ চাঁদা দাবি করলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়ার জন্য আমরা সবাইকে বলেছি। জেলা বিএনপির ইমেজ জনগণের কাছে নষ্ট করতে এ চক্রান্ত করা হচ্ছে। সামনে নির্বাচন আমরা সে ভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান মহোদয়ও আমাদের বিভাগীয় আলোচনায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন কেউ যদি বিএনপির সাথে থেকে চাঁদাবাজি বা অন্য কোনও অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণ করবে। কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজিরের কাছে চাঁদা দাবি করায় আমরা তিন জনকে আটক করেছি। অভিযোগকারি মামলা দায়ের করার পর আমরা আসামিদের আদালতে সোপর্দ করবও।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস