১০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশুলিয়া এখনও বন্ধ ৪৯ কারখানা

দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর প্রচেষ্টায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন চলছে। তবে কিছু কারখানা অজানা রহস্যে আজও বন্ধ দেখা গেছে। তবে সবগুলো কারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কোথাও শ্রমিকদের জমায়েত নাই।

বিভিন্ন দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেছে। সেই পরিস্থিতি আশুলিয়ায় এখন দেখা না গেলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। এর মধ্যে ৩৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এই হিসেবে ৪৯টির মধ্যেই রয়েছে বলে জানান আশুলিয়া শিল্পপুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্য অধিকাংশ কারখানায়ই পোশাক কারখানা। দুই একটি রয়েছে ওষুধ ও জুতা তৈরি কারখানা। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।

তার দাবি, আজ শিল্পাঞ্চলে কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ নেই ও শ্রমিকরা রাস্তায় নামেননি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। শনিবার সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।

নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে।

শিল্প মালিকদের দাবি, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না।

বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।

জনপ্রিয়

আশুলিয়া এখনও বন্ধ ৪৯ কারখানা

প্রকাশিত : ০২:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর প্রচেষ্টায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন চলছে। তবে কিছু কারখানা অজানা রহস্যে আজও বন্ধ দেখা গেছে। তবে সবগুলো কারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কোথাও শ্রমিকদের জমায়েত নাই।

বিভিন্ন দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেছে। সেই পরিস্থিতি আশুলিয়ায় এখন দেখা না গেলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। এর মধ্যে ৩৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এই হিসেবে ৪৯টির মধ্যেই রয়েছে বলে জানান আশুলিয়া শিল্পপুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্য অধিকাংশ কারখানায়ই পোশাক কারখানা। দুই একটি রয়েছে ওষুধ ও জুতা তৈরি কারখানা। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।

তার দাবি, আজ শিল্পাঞ্চলে কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ নেই ও শ্রমিকরা রাস্তায় নামেননি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। শনিবার সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।

নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে।

শিল্প মালিকদের দাবি, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না।

বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।