ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আঠারবাড়ি রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ও পা থেঁতলানো এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে আঠারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) আরাফাত হোসেন বলেন,’ জেসমিন আক্তার(৩৫) নামে এক গৃহবধূ ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের অধীনে হওয়ায় তারা লাশ নিয়ে গেছে।
আজ(২ অক্টোবর) বুুধবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়ের আঠারবাড়ি রেলওয়ে ষ্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ জেসমিন ওই ইউনিয়নের তেলোয়ারী গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, নিহত গৃহবধূর মাথা বিচ্ছিন্ন ও পা থেঁতলানো রক্তাক্ত দেহ রেললাইন পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার জানায়, গৃহবধূ জেসমিন গত দুই বছর যাবৎ মানসিক সমস্যায় ভোগছিলেন। বিভিন্ন ডাক্তার ও হাসপাতালে তার চিকিৎসা করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তবে ওই গৃহবধূর চিকিৎসা চলমান ছিল। গত দুইদিন আগে ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় জেসমিন অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। পরে বুুধবার ভোরে সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় জেসমিন। সকালে বাড়িতে খবর আসে জেসমিন ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সামছু মিয়া বলেন,’শুনেছি একজন নারী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। কিন্তু এটি আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা বলতে পারছি না।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,চট্টগ্রাম হতে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেন নাসিরাবাদ আঠারবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনের শেষ প্রান্তে আসা মাত্রই গৃহবধূ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যান। এলাকাটি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের আওতাধীন হওয়ায় এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে(জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. লিটন মিয়া বলেন,’ তিনি কিভাবে ট্রেনের নিচে পরলেন তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ সুরতহালের পর নিহতের পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস