পাবনায় ভোর রাতে র্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওয়াকার্স পার্টির নেতা কমরেড জাকির হোসেনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পাবনা পৌর এলাকার পাথরতলার বাসায় এঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব। সাবেক ডেপুটি স্পিকার এড. শামসুল হক টুকুর পাথরতলার ছয়তলা বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জানান, রাত তিনটার দিকে বিল্ডিংয়ের মেইন গেইট কেটে ৭ জনের একটি দল ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর র্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়ায় দরজা খুলে দিলে তারা বাসায় প্রবেশ করেই আমাকে হাতকড়া পরায়। তাদের হাতে পিস্তল ও রিভলবার সহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিলো। গায়ে ডিবি ও র্যাবের পোশাক। এরপর বাসার আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্রের তালা ভেঙে তল্লাশি চালায়। কিছু গহনা ও টাকা ছাড়া কিছুই না পেলে তারা বলেন তাদের কাছে তথ্য আছে বাসায় ব্যাপক টাকা ও গহনা আছে। সেগুলো কই। বাসায় তেমন কিছুই নেই জানালে তারা কখনো হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকায়, কখনো মারতে আসে।
এভাবে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে বিল্ডিংয়ের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়ও লুটের চেষ্টা করে। তবে টুকটাক জিনিস ছাড়া কোত্থাও-ই তেমন কিছু পায়নি। কারণ চতুর্থ তলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকারের পরিবার কখনো কখনো থাকতেন। অধিকাংশ সময় ফাঁকা থাকতো। তৃতীয় তলাও ফাঁকা। তবে আমার বাসা থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ও ৩ থেকে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার পায়। সেগুলো নিয়ে চলে যায়।
জাকির হোসেন বলেন, ওরা যেভাবে তল্লাশি চালালো ও কথা বলল তাতে মনে হলো, এই বিল্ডিংয়ে ব্যাপক টাকা আছে এমন তথ্য ওদের কাছে ছিলো। বাসাটি সাবেক ডেপুটি স্পিকারের, তার টাকাও থাকতে পারে এমন তথ্যও থাকতে পারে। সেখান থেকেই এই বিল্ডিংয়ে ডাকাতিটা করতে এসেছিলো বলে মনে হলো। এধরণের ঘটনা দেশের বিভিন্ন জায়গায়ই ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আতঙ্কজনক বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত ভূমিকা ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান বাশির জানান, সদর থানার ওসি সাহেব সহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিদর্শন শেষে তদন্ত করে দ্রুতই ডাকাত চক্রকে গ্রেফতার করা হবে।
ডএস..