০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য

প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হয়েও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী

দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া পৌর এলাকার রাস্তা ঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও পৌর কর্তৃপক্ষের এখনো নজরে আসছে না। শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মজমপুর গেট থেকে বড়বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কটি চলাচলের উপযোগী থাকলেও আশপাশের রাস্তাগুলো খানা খন্দ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করেই প্রতিদিন ঘটছে সড়ক দূঘর্টনা। রাস্তার উপর উল্টে পড়ছে রিক্সা, অটো রিক্সাসহ ছোট খাট যান বাহন। এই সীমাহীন কষ্টের মধ্যেও চান চলাচল করছে ঝুকি নিয়ে।

এ ছাড়া শহরের ড্রেন গুলো অপরিষ্কারসহ ড্রেন গুলো আকারে ছোট হওয়া একটু বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এর ফলে ড্রেন দিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় শহর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বৈরী আবহাওয়ায় এ যেন মহামারী রূপ নিয়েছে। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া, সরকারী কলেজ, টালিপাড়া, হাউজিং, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া, থানাপাড়া, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বর, মিলপাড়াসহ সকল এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও পৌর প্রশাসন যেন চোখ বুজে ঘুমিয়ে আছে। কয়েকটি রাস্তা মেরামতের নাম করে মাসের পর মাস খোয়া ফেলে আরো সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে। ওই সব রাস্তা গুলোর উপর রোলার দিয়ে সমান করলেও কিছুটা হলেও যান চলাচলে ভোগান্তি লাঘব হতো। কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড় থেকে রাম চন্দ্র রায় ষ্ট্রীট কোর্টপাড়া, হাসপাতাল মোড়, র‌্যাব গলিসহ অলি গলির রাস্তার দিকে তাকালেই চোখে পানি চলে আসছে। এই সড়কেই বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতাল, বিশ^বিদ্যালয়, কিনিক গড়ে উঠেছে। অথচ সেই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে যেয়ে রাস্তায় উল্টে পড়ছে। এতে করে রোগীরা চিকিৎসার পরিবর্তে অসুস্থ্য হচ্ছে বেশী।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌর সভার কর্মকর্তাদের সাখে আলোচনা করতে গেলেই তারা এক এক কর্মকর্তা যেন দায় সারা যুক্তি দিয়ে নিজেদেরকে আড়াল করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।

কুষ্টিয়া পৌর সভা একটি প্রথম শ্রেনীর পৌর সভা হলেও নাগরিক সুবিধা এখনো বাড়েনি। বেড়েছে শুধু পৌর সভার আয়। কথায় কথায় পানির বিল, হোল্ডিং ডিজিটাল নেম প্লেট লাগানোর নামে অর্থ আদায়, বিভিন্ন লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করে হাতিয়ে নিচ্ছে জনগনের পকেটের টাকা। আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের সময় থেকে কুষ্টিয়া পৌর সভা যেন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। যা এখনো কেউ রোধ করতে পারছে না।

কুষ্টিয়া পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুর রহমান শহরের রাস্তাঘাট সম্পর্কে জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে। কাজের টেন্ডার হয়েছে। তবে বর্ষার জন্য কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভাংগা চুড়া রাস্তা মেরামতের জন্য অস্থায়ীভাবে খোয়া রেডি করা আছে তা দিয়ে মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ওই মেরামত বর্ষার কারনে থাকছেনা। বর্ষা চলে গেলেই সকল রাস্তা পিজ (বিটুমিন) দিয়ে শেষ করা হবে। তখন রাস্তা টিকসই হবে।

 

ডিএস./

জনপ্রিয়

জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য

প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হয়েও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী

প্রকাশিত : ০২:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া পৌর এলাকার রাস্তা ঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও পৌর কর্তৃপক্ষের এখনো নজরে আসছে না। শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মজমপুর গেট থেকে বড়বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কটি চলাচলের উপযোগী থাকলেও আশপাশের রাস্তাগুলো খানা খন্দ হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করেই প্রতিদিন ঘটছে সড়ক দূঘর্টনা। রাস্তার উপর উল্টে পড়ছে রিক্সা, অটো রিক্সাসহ ছোট খাট যান বাহন। এই সীমাহীন কষ্টের মধ্যেও চান চলাচল করছে ঝুকি নিয়ে।

এ ছাড়া শহরের ড্রেন গুলো অপরিষ্কারসহ ড্রেন গুলো আকারে ছোট হওয়া একটু বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এর ফলে ড্রেন দিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় শহর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বৈরী আবহাওয়ায় এ যেন মহামারী রূপ নিয়েছে। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া, সরকারী কলেজ, টালিপাড়া, হাউজিং, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া, থানাপাড়া, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বর, মিলপাড়াসহ সকল এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও পৌর প্রশাসন যেন চোখ বুজে ঘুমিয়ে আছে। কয়েকটি রাস্তা মেরামতের নাম করে মাসের পর মাস খোয়া ফেলে আরো সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে। ওই সব রাস্তা গুলোর উপর রোলার দিয়ে সমান করলেও কিছুটা হলেও যান চলাচলে ভোগান্তি লাঘব হতো। কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড় থেকে রাম চন্দ্র রায় ষ্ট্রীট কোর্টপাড়া, হাসপাতাল মোড়, র‌্যাব গলিসহ অলি গলির রাস্তার দিকে তাকালেই চোখে পানি চলে আসছে। এই সড়কেই বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতাল, বিশ^বিদ্যালয়, কিনিক গড়ে উঠেছে। অথচ সেই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে যেয়ে রাস্তায় উল্টে পড়ছে। এতে করে রোগীরা চিকিৎসার পরিবর্তে অসুস্থ্য হচ্ছে বেশী।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌর সভার কর্মকর্তাদের সাখে আলোচনা করতে গেলেই তারা এক এক কর্মকর্তা যেন দায় সারা যুক্তি দিয়ে নিজেদেরকে আড়াল করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।

কুষ্টিয়া পৌর সভা একটি প্রথম শ্রেনীর পৌর সভা হলেও নাগরিক সুবিধা এখনো বাড়েনি। বেড়েছে শুধু পৌর সভার আয়। কথায় কথায় পানির বিল, হোল্ডিং ডিজিটাল নেম প্লেট লাগানোর নামে অর্থ আদায়, বিভিন্ন লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করে হাতিয়ে নিচ্ছে জনগনের পকেটের টাকা। আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের সময় থেকে কুষ্টিয়া পৌর সভা যেন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। যা এখনো কেউ রোধ করতে পারছে না।

কুষ্টিয়া পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুর রহমান শহরের রাস্তাঘাট সম্পর্কে জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে। কাজের টেন্ডার হয়েছে। তবে বর্ষার জন্য কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভাংগা চুড়া রাস্তা মেরামতের জন্য অস্থায়ীভাবে খোয়া রেডি করা আছে তা দিয়ে মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ওই মেরামত বর্ষার কারনে থাকছেনা। বর্ষা চলে গেলেই সকল রাস্তা পিজ (বিটুমিন) দিয়ে শেষ করা হবে। তখন রাস্তা টিকসই হবে।

 

ডিএস./