বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী এফসিএ অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি “সীতাকুণ্ড নিউজ২৪” নামের একটি ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে বিভ্রান্তিকর ভিডিও ও অসত্য তথ্য প্রচারের ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ভুয়া প্রচারণা নিয়ে ক্ষোভ
আসলাম চৌধুরী বলেন, “আমি সীতাকুণ্ড হ্যাপিনেস টাউন প্রকল্প বা অন্য কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। অথচ ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ও ভিডিও প্রকাশ করে জনমনে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমার সম্মানহানি ও রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করার ঘৃণ্য চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, রাজনৈতিকভাবেও ষড়যন্ত্র। “আমার বিরুদ্ধে যেকোনো মিথ্যা অপপ্রচার কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে এবং এর দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
আসলাম চৌধুরী বিএনপির জাতীয় রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে দীর্ঘদিন দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারবিরোধী রাজনীতির ধারাবাহিকতায় তাকে বিভিন্ন সময় হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। এবারও তার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য প্রচারের ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
সীতাকুণ্ডের স্থানীয়রা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার এখন বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, “জনপ্রিয় বা আলোচিত নেতাদের টার্গেট করে এভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো দুঃখজনক। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়।” অন্যদিকে একজন তরুণ নেতা জানান, “আসলাম ভাইয়ের মতো একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ হওয়া জরুরি।”
ভুয়া ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আসলাম চৌধুরী বলেন, “ইতোমধ্যে আমি আইনের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। যারা এই অপপ্রচারে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া প্রচারণা শুধু ব্যক্তির মানহানি নয়, রাজনৈতিক পরিবেশেও অস্থিরতা সৃষ্টি করে—এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুয়া ফেসবুক পেজ ও আইডির মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হলে তা আইনের মাধ্যমে দ্রুত প্রতিহত করা প্রয়োজন।