০৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান

 ফাইল ছবি

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ভারতে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। রপ্তানির জন্য এরই মধ্যে ৩৭ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অনুমতি সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এরআগে ৮ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছর ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি।

৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই আদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল রপ্তানিকারকদের। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ৩৭ প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেলো। এ বছর প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার।

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো। গতবার সব মিলিয়ে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে।

মানতে হবে যেসব শর্ত

রপ্তানিকারকদের রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ অনুমতির মেয়াদ চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এ সময় শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ থেকে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ সংক্রান্ত সব তথ্য প্রমাণ দাখিল করতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না। প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম (ASYCUDA World System) পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন।

এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক কোনোক্রমেই নিজে রপ্তানি না করে সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে পারবে না। সরকার প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ রপ্তানি অনুমতি বাতিল করতে পারবে। যদিও সব সময়ই এসব শর্ত থাকে।

ডিএস./

ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত : ০৫:২১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ভারতে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। রপ্তানির জন্য এরই মধ্যে ৩৭ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অনুমতি সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এরআগে ৮ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছর ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি।

৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই আদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল রপ্তানিকারকদের। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ৩৭ প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেলো। এ বছর প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার।

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো। গতবার সব মিলিয়ে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে।

মানতে হবে যেসব শর্ত

রপ্তানিকারকদের রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ অনুমতির মেয়াদ চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এ সময় শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ থেকে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ সংক্রান্ত সব তথ্য প্রমাণ দাখিল করতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না। প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম (ASYCUDA World System) পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন।

এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক কোনোক্রমেই নিজে রপ্তানি না করে সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে পারবে না। সরকার প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ রপ্তানি অনুমতি বাতিল করতে পারবে। যদিও সব সময়ই এসব শর্ত থাকে।

ডিএস./