০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চমক দিয়ে বিশ্বকাপের মাসকট উন্মোচন

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে এই আসরকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। এবার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তিনটি মাসকট উন্মোচন করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।

তিন আয়োজক দেশের প্রতীককে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে মাসকটগুলো। ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী, কানাডার মাসকটের নাম ‘মেপল’, মেক্সিকোর ‘ফ্রিডম’ আর যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লাচ’।

এ তিন চরিত্রকে তৈরি করা হয়েছে বৈচিত্র্য, ঐক্য ও সুন্দর খেলার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে।

এ বিষয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, মেপল, ফ্রিডম আর ক্লাচ আনন্দ, শক্তি আর একসঙ্গে থাকার মানসিকতায় ভরপুর। ঠিক যেমনটা দেখা যায় বিশ্বকাপে। শিশুদের জার্সি থেকে শুরু করে ভিডিও গেমস—সব জায়গায় এগুলো লাখো মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে আসবে।

প্রতিটি মাসকটেরই রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গল্প। ‘ক্লাচ’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতীক সাদা-মাথাওয়ালা ঈগল। দুঃসাহসিক অভিযানে উড়তে উড়তে সে দেশজুড়ে সংস্কৃতি, খেলা ও আনন্দকে আলিঙ্গন করে।

মেপল হলো এক মুজ বা কানাডিয়ান হরিণ, যে দেশজুড়ে ভ্রমণ করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। সংগীতপ্রেমী ও স্ট্রিট কালচারে অভ্যস্ত মেপল একজন শিল্পী, আবার গোলরক্ষক হিসেবেও সে কিংবদন্তি। তার গোল সেভ করার দক্ষতাই তার আসল পরিচয়।

‘ফ্রিডম’ এসেছে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের বন থেকে। সে একটি জাগুয়ার, যা ঐতিহ্য, শক্তি ও প্রাণবন্ততার প্রতীক। মাঠে সে রূপ নেয় দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকারে, যার গতি ও সৃজনশীলতা প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য হুমকি।

সামাজিকতা ও খেলাধুলার প্রতি উন্মাদনায় ভরপুর ক্লাচ একজন আদর্শ মিডফিল্ডারের মতো—যেখানেই যায়, মানুষকে একত্রিত করে।
ফিফার ভাষ্য অনুযায়ী, এই তিন মাসকট কেবল চরিত্র নয়, বরং আয়োজনের আত্মা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে ঘিরে এই প্রাণবন্ত প্রতীকগুলোই ছড়িয়ে দেবে ঐক্য আর উদযাপনের আবহ।

ডিএস./

জনপ্রিয়

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

চমক দিয়ে বিশ্বকাপের মাসকট উন্মোচন

প্রকাশিত : ০১:৫২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে এই আসরকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। এবার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তিনটি মাসকট উন্মোচন করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।

তিন আয়োজক দেশের প্রতীককে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে মাসকটগুলো। ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী, কানাডার মাসকটের নাম ‘মেপল’, মেক্সিকোর ‘ফ্রিডম’ আর যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লাচ’।

এ তিন চরিত্রকে তৈরি করা হয়েছে বৈচিত্র্য, ঐক্য ও সুন্দর খেলার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে।

এ বিষয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, মেপল, ফ্রিডম আর ক্লাচ আনন্দ, শক্তি আর একসঙ্গে থাকার মানসিকতায় ভরপুর। ঠিক যেমনটা দেখা যায় বিশ্বকাপে। শিশুদের জার্সি থেকে শুরু করে ভিডিও গেমস—সব জায়গায় এগুলো লাখো মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে আসবে।

প্রতিটি মাসকটেরই রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গল্প। ‘ক্লাচ’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতীক সাদা-মাথাওয়ালা ঈগল। দুঃসাহসিক অভিযানে উড়তে উড়তে সে দেশজুড়ে সংস্কৃতি, খেলা ও আনন্দকে আলিঙ্গন করে।

মেপল হলো এক মুজ বা কানাডিয়ান হরিণ, যে দেশজুড়ে ভ্রমণ করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। সংগীতপ্রেমী ও স্ট্রিট কালচারে অভ্যস্ত মেপল একজন শিল্পী, আবার গোলরক্ষক হিসেবেও সে কিংবদন্তি। তার গোল সেভ করার দক্ষতাই তার আসল পরিচয়।

‘ফ্রিডম’ এসেছে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের বন থেকে। সে একটি জাগুয়ার, যা ঐতিহ্য, শক্তি ও প্রাণবন্ততার প্রতীক। মাঠে সে রূপ নেয় দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকারে, যার গতি ও সৃজনশীলতা প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য হুমকি।

সামাজিকতা ও খেলাধুলার প্রতি উন্মাদনায় ভরপুর ক্লাচ একজন আদর্শ মিডফিল্ডারের মতো—যেখানেই যায়, মানুষকে একত্রিত করে।
ফিফার ভাষ্য অনুযায়ী, এই তিন মাসকট কেবল চরিত্র নয়, বরং আয়োজনের আত্মা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে ঘিরে এই প্রাণবন্ত প্রতীকগুলোই ছড়িয়ে দেবে ঐক্য আর উদযাপনের আবহ।

ডিএস./