পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের জেরে দুই দেশের মধ্যে তীব্র চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আন্তঃসীমান্ত নদী কুনারের ওপর বাঁধ নির্মাণে আফগানিস্তানের তড়িঘড়ি উদ্যোগ নতুন করে আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই ইস্যুতে এবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে খাজা আসিফের মন্তব্য প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের সামনে বিকল্প আছে; যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে উন্মুক্ত যুদ্ধ হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষই শান্তি চায় এবং চুক্তি হওয়ার পর গত চার থেকে পাঁচ দিনে নতুন করে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি, যা একটি ইতিবাচক দিক।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও সতর্ক করে বলেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চলমান আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে তা উভয় দেশকে উন্মুক্ত যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে। আর তেমনটি হলে পাকিস্তান কোনো ছাড় দেবে না বলে দেশটির নেতারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিনিধিদের মধ্যে রোববারও আলোচনা চলবে। নতুন করে সীমান্ত সংঘাত এড়াতে দুই দেশ চলমান সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে আগ্রহী।
এদিকে, এই বৈঠকের মধ্যেই আফগানিস্তানের তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা দেশটির জ্বালানি ও পানি মন্ত্রণালয়কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুনার নদীর ওপর একটি বাঁধ নির্মাণ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তালেবানের জ্বালানি ও পানিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ মনসুর জানান, আখুন্দজাদা বিদেশি কোম্পানির জন্য অপেক্ষা না করে বরং দেশীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রকল্পটি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। মনসুর আখুন্দজাদাকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, আফগানদের নিজস্ব পানি ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে।
পাকিস্তানের শুষ্ক অঞ্চলের পানির অন্যতম উৎস কুনার নদী। এ নদীর পানি বন্টন ইস্যুটি ইস্তাম্বুলে চলমান আলোচনায় স্থান পেতে পারে। কারণ, এই নদীর পানি প্রবাহে সামান্য বাধাও পাকিস্তানিদের ভাগ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
ডিএস./






















