০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ প্রায় শেষ

নিজের জীবনের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে অনেক মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমান। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যান অনেক মানুষ। তবে শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ প্রায় শেষ হয়ে গেছে বলা যায়।

কারণ ২০২৬ অর্থ বছরে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জনকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলের শেষ বছরেও বিশ্ব থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একটি প্রেসিডেন্সিয়াল নথি প্রকাশ করা হয়। যদিও এটি তৈরি করা হয়েছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর।

মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জনকে আশ্রয় দেওয়ার অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থীদের কার্যক্রম বন্ধই থাকবে।

আর যে সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শেতাঙ্গদের। যারা আফ্রিকানার্স নামে পরিচিত।

ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের দ্বারা নিগৃহের শিকার হচ্ছে শেতাঙ্গরা। এ দাবি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

১৯৮০ সালে মার্কিন কংগ্রেস শরণার্থী আইন পাস করে। যারমাধ্যমে বৈধভাবে শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ব্যবস্থা হয়। সেই বছর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসে নতুন জীবন শুরু করেছেন।

গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা নিয়েই ট্রাম্প এই আইনের কার্যকারিতা কমানোর উদ্যোগ নেন। অনেক আইনি বাধা উপেক্ষা করে তিনি এতে সফল হয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

ডিএস./

জনপ্রিয়

শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ প্রায় শেষ

প্রকাশিত : ১২:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

নিজের জীবনের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে অনেক মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমান। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যান অনেক মানুষ। তবে শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ প্রায় শেষ হয়ে গেছে বলা যায়।

কারণ ২০২৬ অর্থ বছরে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জনকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলের শেষ বছরেও বিশ্ব থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একটি প্রেসিডেন্সিয়াল নথি প্রকাশ করা হয়। যদিও এটি তৈরি করা হয়েছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর।

মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জনকে আশ্রয় দেওয়ার অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থীদের কার্যক্রম বন্ধই থাকবে।

আর যে সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শেতাঙ্গদের। যারা আফ্রিকানার্স নামে পরিচিত।

ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের দ্বারা নিগৃহের শিকার হচ্ছে শেতাঙ্গরা। এ দাবি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

১৯৮০ সালে মার্কিন কংগ্রেস শরণার্থী আইন পাস করে। যারমাধ্যমে বৈধভাবে শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ব্যবস্থা হয়। সেই বছর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসে নতুন জীবন শুরু করেছেন।

গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা নিয়েই ট্রাম্প এই আইনের কার্যকারিতা কমানোর উদ্যোগ নেন। অনেক আইনি বাধা উপেক্ষা করে তিনি এতে সফল হয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

ডিএস./