০৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার ৪টি আসনের ২টিতে বিএনপির স্বস্তি : ২টিতে জামায়াতের ফুরফুরে আমেজ

কুষ্টিয়ার-৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও ২টি আসনে স্বস্তিতে নেই প্রার্থীরা। মনোনয়ন ঘোষনার পর ২টি আসনে প্রতিক্রিয়া দেখান মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতাদের অনুসারীরা। মিছিল-সমাবেশ এমনকি সড়ক অবরোধ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলন ও সমাবেশ থেকে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিও জানানো হয়েছে। এমনকি প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে আসন জামায়াতের ঘরে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নেতাকর্মীরা। কুষ্টিয়া-২ ও ৪ আসনে মনোনয়ন ঘোষনার পর ক্ষুব্ধ হন দলের একটি অংশ। শুধুমাত্র কুষ্টিয়া-১ ও ৩ আসনে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন দলের প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু ও প্রকৌশলী জাকর হোসেন সরকার। এখানে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় অনেকটাই ভাল অবস্থানে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।

দলীয় মনোনয়ন ঘোষনার পর কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখাখী-খোকসা) আসনে বিদ্রোহীরা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। তার বাবা আব্দুর রউফ চৌধুরী সাংসদ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকও তার বাবা। দলের একটি অংশ রাগীব রউফ চৌধুরীর পক্ষে মাঠে আছেন।

এখানে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে মিছিল-সমাবেশ করে প্রার্থী পুনঃ বিবেচনার করা দাবী অব্যাহত রেখেছেন। তারা টানা কয়েকদিন সমাবেশ করে দলের সকল ইউনিটের নেতারা একতা বদ্ধ হয়ে সমাবেশ করে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি করেন।

মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান বলেন,‘ শহীদুল ইসলাম এর আগে এ আসন থেকে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিপুল জনপ্রিয়তা আছে। দুই উপজেলার প্রায় সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে আছে। সাধারন মানুষ তার পক্ষে। এখানে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে রেজাল্ট হিতে বিপরীত হতে পারে।’

কুষ্টিয়া-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর। ১৯৮৬ সালে জামায়াত থেকে প্রয়াত আব্দুল ওয়াহেদ এমপি নির্বাচিত হন। জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি মিরপুরে অনেক বেশি। বিএনপির সকল পক্ষ বিভেদ ভুলে এক না হলে জামায়াতের প্রার্থীকে ঠেকানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন সাধারন ভোটাররা।

অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন,‘ দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী আমাকে চাই। সাধারন মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। দল সিদ্ধান্ত নিবে এখানে প্রার্থী কে হবে। একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখনো সময় আছে। দেখা যাক কি হয়?

এদিকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। জাকির হোসেন সরকার এর আগে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ আমলে। ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের অনুসারীদের হামলা-মামলায় মাঠে নামতে না পারলেও ভালো ভোট পান। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি জনপ্রিয়। “গ্রীণ-কুষ্টিয়া, ক্লিন-কুষ্টিয়া” নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে শহরের ফোর লেন সড়কে বনায়ন করে বিপুল সাড়া ফেলেছেন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া দলের প্রায় সকল ইউনিট জাকির সরকারের পক্ষে আছেন।

জাকির হোসেন সরকার বলেন,‘ দলে অনেক যোগ্য নেতা আছে। এর মধ্যে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীও সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করছি। বিপুল সাড়া পাচ্ছি। আসা করছি বিপুল ভোটে জয়ী হব ইনশাআল্লাহ।

আরেক জন অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন,‘ আমি দলের নির্দেশনা মেনে চলতে পছন্দ করি। মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে নেই। মাঠে থেকে দলের জন্য কাজ করে যাব।’ এদিকে সদরে জামায়াতের প্রার্থী আমির হামজা। মাঠে তার পক্ষেও জনসমর্থন বাড়ছে।

কুষ্টিয়া-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম আনসার প্রামানিকের অনুসারীরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা মিছিল-সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন করে দ্রুত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে। এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন না হলে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হবে বলেও আনসার অনুসারীরা দাবি করেছেন।

আনসার অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কেএম আলম টমে বলেন,‘ বিএনপির প্রার্থী মেহেদী রুমীকে পরিবর্তন করতে হবে। এখানে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। না হলে আসন জামায়াতের ঘরে চলে যেতে পারে।’

এদিকে মেহেদী রুমী অনুসারীরা মাঠে আছেন। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ আসনে মেহেদী রুমীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা। তবে দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপ থাকায় এখানে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবাইকে এক কাতারে না নিয়ে আসতে পারলে ফলাফল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা আছে।

জামায়াত তাদের উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনকে প্রার্থী করেছেন। তবে কুমারখালী উপজেলায় জামায়াতের সংগঠনিক শক্তি থাকলেও খোকসায় কিছুটা দুর্বল।

কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু। তার বাবা প্রয়াত আহসানুল হক পচা মোল্লা এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি থেকে। বাবার জনপ্রিয়তা ধরে বাচ্চু মোল্লাও উপ-নির্বাচনে এমপি হন ২০০৪ সালে। এবারো মনোনয়ন পাওয়ার পর দলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে সমর্থন দিয়েছে। তবে যুবদলের ঢাকা উত্তরের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল মনোয়ন প্রত্যাশী থাকলেও তিনি দল যাকে মনোয়ন দেবে তার পক্ষে মাঠে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

ডিএস./

ট্যাগ :

কুষ্টিয়ার ৪টি আসনের ২টিতে বিএনপির স্বস্তি : ২টিতে জামায়াতের ফুরফুরে আমেজ

প্রকাশিত : ০৪:০১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার-৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও ২টি আসনে স্বস্তিতে নেই প্রার্থীরা। মনোনয়ন ঘোষনার পর ২টি আসনে প্রতিক্রিয়া দেখান মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতাদের অনুসারীরা। মিছিল-সমাবেশ এমনকি সড়ক অবরোধ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলন ও সমাবেশ থেকে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিও জানানো হয়েছে। এমনকি প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে আসন জামায়াতের ঘরে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নেতাকর্মীরা। কুষ্টিয়া-২ ও ৪ আসনে মনোনয়ন ঘোষনার পর ক্ষুব্ধ হন দলের একটি অংশ। শুধুমাত্র কুষ্টিয়া-১ ও ৩ আসনে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন দলের প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু ও প্রকৌশলী জাকর হোসেন সরকার। এখানে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় অনেকটাই ভাল অবস্থানে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।

দলীয় মনোনয়ন ঘোষনার পর কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখাখী-খোকসা) আসনে বিদ্রোহীরা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। তার বাবা আব্দুর রউফ চৌধুরী সাংসদ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকও তার বাবা। দলের একটি অংশ রাগীব রউফ চৌধুরীর পক্ষে মাঠে আছেন।

এখানে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে মিছিল-সমাবেশ করে প্রার্থী পুনঃ বিবেচনার করা দাবী অব্যাহত রেখেছেন। তারা টানা কয়েকদিন সমাবেশ করে দলের সকল ইউনিটের নেতারা একতা বদ্ধ হয়ে সমাবেশ করে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি করেন।

মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান বলেন,‘ শহীদুল ইসলাম এর আগে এ আসন থেকে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিপুল জনপ্রিয়তা আছে। দুই উপজেলার প্রায় সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে আছে। সাধারন মানুষ তার পক্ষে। এখানে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে রেজাল্ট হিতে বিপরীত হতে পারে।’

কুষ্টিয়া-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর। ১৯৮৬ সালে জামায়াত থেকে প্রয়াত আব্দুল ওয়াহেদ এমপি নির্বাচিত হন। জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি মিরপুরে অনেক বেশি। বিএনপির সকল পক্ষ বিভেদ ভুলে এক না হলে জামায়াতের প্রার্থীকে ঠেকানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন সাধারন ভোটাররা।

অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন,‘ দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী আমাকে চাই। সাধারন মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। দল সিদ্ধান্ত নিবে এখানে প্রার্থী কে হবে। একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখনো সময় আছে। দেখা যাক কি হয়?

এদিকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। জাকির হোসেন সরকার এর আগে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ আমলে। ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের অনুসারীদের হামলা-মামলায় মাঠে নামতে না পারলেও ভালো ভোট পান। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি জনপ্রিয়। “গ্রীণ-কুষ্টিয়া, ক্লিন-কুষ্টিয়া” নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে শহরের ফোর লেন সড়কে বনায়ন করে বিপুল সাড়া ফেলেছেন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া দলের প্রায় সকল ইউনিট জাকির সরকারের পক্ষে আছেন।

জাকির হোসেন সরকার বলেন,‘ দলে অনেক যোগ্য নেতা আছে। এর মধ্যে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীও সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করছি। বিপুল সাড়া পাচ্ছি। আসা করছি বিপুল ভোটে জয়ী হব ইনশাআল্লাহ।

আরেক জন অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন,‘ আমি দলের নির্দেশনা মেনে চলতে পছন্দ করি। মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে নেই। মাঠে থেকে দলের জন্য কাজ করে যাব।’ এদিকে সদরে জামায়াতের প্রার্থী আমির হামজা। মাঠে তার পক্ষেও জনসমর্থন বাড়ছে।

কুষ্টিয়া-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম আনসার প্রামানিকের অনুসারীরা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা মিছিল-সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন করে দ্রুত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে। এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন না হলে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হবে বলেও আনসার অনুসারীরা দাবি করেছেন।

আনসার অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কেএম আলম টমে বলেন,‘ বিএনপির প্রার্থী মেহেদী রুমীকে পরিবর্তন করতে হবে। এখানে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। না হলে আসন জামায়াতের ঘরে চলে যেতে পারে।’

এদিকে মেহেদী রুমী অনুসারীরা মাঠে আছেন। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ আসনে মেহেদী রুমীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা। তবে দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপ থাকায় এখানে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবাইকে এক কাতারে না নিয়ে আসতে পারলে ফলাফল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা আছে।

জামায়াত তাদের উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনকে প্রার্থী করেছেন। তবে কুমারখালী উপজেলায় জামায়াতের সংগঠনিক শক্তি থাকলেও খোকসায় কিছুটা দুর্বল।

কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু। তার বাবা প্রয়াত আহসানুল হক পচা মোল্লা এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি থেকে। বাবার জনপ্রিয়তা ধরে বাচ্চু মোল্লাও উপ-নির্বাচনে এমপি হন ২০০৪ সালে। এবারো মনোনয়ন পাওয়ার পর দলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে সমর্থন দিয়েছে। তবে যুবদলের ঢাকা উত্তরের আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল মনোয়ন প্রত্যাশী থাকলেও তিনি দল যাকে মনোয়ন দেবে তার পক্ষে মাঠে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

ডিএস./