গাজায় নামেই কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। অবরুদ্ধ উপত্যকায় আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি হামলা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭০ হাজার ১০০ মানুষের; আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল বানি সুফাইলা শহরে আল-ফারাবি স্কুলের কাছে বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু জুমা ও ফাদি তামের আবু আসসি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া এলাকা ছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নির্ধারিত ‘ইয়েলো লাইন’-এর বাইরে।
হতাহতের এই ভয়াবহ সংখ্যাটি এমন এক সময়ে এলো, যার কয়েক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু সেই চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্থল, নৌ ও আকাশপথে বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়ের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে অন্তত ৫৩৫ বার ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে। তিনি বরেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি নজিরবিহীন মাত্রায় অবনতির দিকে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে অবকাঠামো ও জরুরি সেবাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিন আল-কারারা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় আরও অন্তত তিনজন আহত হন। গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলের তুফাহ এলাকায়ও ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পূর্ব দিকেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা






















