১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন,ছিনতাইকারী ইমরান গ্রেফতার

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (৫৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গত (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫. ঘটিকায় কুখ্যাত মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত সিদ্দিকুর রহমান, যিনি পেশায় বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার ছিলেন এবং টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোডের বাসিন্দা গত শনিবার সকালে তার কর্মস্থল ঢাকার কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

ঐদিন সকাল অনুমানিক ৬ টা থেকে ৭ ঘটিকার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের উপরে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরান ভিকটিম সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

একপর্যায়ে আসামী ইমরান তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকের বাম হাতের উপরে অংশে তিনটি আঘাত করে। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময়, ছুরিকাঘাতের ফলে ছিটকে পড়া রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়।

আসামী দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তার ছুরি এবং রক্তমাখা জুতো জোড়া ঘটনাস্থলের সিঁড়িতে ফেলেই টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তিতে আশ্রয় নেয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম সিদ্দিক ঘটনাস্থলের নিচে সিঁড়ির কাছেই মারা যান।

উক্ত ঘটনার পরে অভিযুক্ত ইমরান কোনাবাড়ী, গাজীপুর এলাকায় যায় এবং ঐ দিনই আবার মাজার বস্তিতে ফিরে এসে আত্মগোপন করে। ছিনতাইকৃত মোবাইলটি মাজার বস্তি এলাকায় ১০০০/- টাকায় বিক্রয় করে।

ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র‍্যাব-১ এর সিপিসি-২, উত্তরা, ঢাকার আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ফেলে যাওয়া আলামত (ছুরি ও জুতো) পর্যালোচনা করে ঘাতক ছিনতাইকারী ইমরানকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫. ঘটিকার দিকে অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে আসামী ইমরান(৩০)কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আপনারা জানেন যে, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন যে কোন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ফাষ্ট রেসপন্ডার হিসেবে কাজ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১ এর চৌকশ আভিযানিক দল অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন ইমরান (৩০)একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে ছিনতাইকারীর ব্যবহৃত ছুরি ১টি এবং আসামীর ১ জোড়া জুতা।বর্তমানে আসামী ইমরান র‍্যাব-১ এর হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ থাকে যে, এ ঘটনার সংক্রান্তে গত ৬ ডিসেম্বর ২৫ ইং রাত ৮:৩০ ঘটিকায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রীয়াধীন।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন,ছিনতাইকারী ইমরান গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১১:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (৫৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গত (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫. ঘটিকায় কুখ্যাত মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত সিদ্দিকুর রহমান, যিনি পেশায় বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার ছিলেন এবং টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোডের বাসিন্দা গত শনিবার সকালে তার কর্মস্থল ঢাকার কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

ঐদিন সকাল অনুমানিক ৬ টা থেকে ৭ ঘটিকার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের উপরে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরান ভিকটিম সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

একপর্যায়ে আসামী ইমরান তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকের বাম হাতের উপরে অংশে তিনটি আঘাত করে। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময়, ছুরিকাঘাতের ফলে ছিটকে পড়া রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়।

আসামী দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তার ছুরি এবং রক্তমাখা জুতো জোড়া ঘটনাস্থলের সিঁড়িতে ফেলেই টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তিতে আশ্রয় নেয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম সিদ্দিক ঘটনাস্থলের নিচে সিঁড়ির কাছেই মারা যান।

উক্ত ঘটনার পরে অভিযুক্ত ইমরান কোনাবাড়ী, গাজীপুর এলাকায় যায় এবং ঐ দিনই আবার মাজার বস্তিতে ফিরে এসে আত্মগোপন করে। ছিনতাইকৃত মোবাইলটি মাজার বস্তি এলাকায় ১০০০/- টাকায় বিক্রয় করে।

ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র‍্যাব-১ এর সিপিসি-২, উত্তরা, ঢাকার আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ফেলে যাওয়া আলামত (ছুরি ও জুতো) পর্যালোচনা করে ঘাতক ছিনতাইকারী ইমরানকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫. ঘটিকার দিকে অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে আসামী ইমরান(৩০)কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আপনারা জানেন যে, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন যে কোন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ফাষ্ট রেসপন্ডার হিসেবে কাজ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১ এর চৌকশ আভিযানিক দল অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন ইমরান (৩০)একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে ছিনতাইকারীর ব্যবহৃত ছুরি ১টি এবং আসামীর ১ জোড়া জুতা।বর্তমানে আসামী ইমরান র‍্যাব-১ এর হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ থাকে যে, এ ঘটনার সংক্রান্তে গত ৬ ডিসেম্বর ২৫ ইং রাত ৮:৩০ ঘটিকায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রীয়াধীন।

ডিএস./